TechJano

পাওয়ার ব্যাংক কিনতে চাচ্ছেন বা ব্যবহার করছেন? জেনে নিন কিছু জরুরি তথ্য

বর্তমানে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত ইলেকট্রনিক গ্যাজেট সম্ভবত স্মার্টফোন। আমাদের জীবনে স্মার্টফোনের প্রয়োজন নতুন করে বলার প্রয়োজন নেই। সবাই সবখানে তার ফোন দিয়ে ব্যস্ত থাকে৷ আর বিশ্বের সব জায়গায়ই একজন ব্যক্তি একটি অথবা দুটি ফোনের মালিক। অতি ব্যবহারের কারণে তাই এর ব্যাটারিও দ্রুত ফুরিয়ে যায়। আর সে কারণেই তো প্রয়োজন বেড়েছে পাওয়ার ব্যাংক।  জরুরি প্রয়োজনে কিংবা ট্র্যাভেলের সময় পাওয়ার ব্যাংক খুবই দরকারি একটি ডিভাইস।সেখানে সঞ্চিত থাকে বিপুল চার্জ। দশ-বিশ হাজার এমএএইচ শক্তির এই পাওয়ার ব্যাংক মোবাইলগুলোকে চালু রাখছে চিন্তা ছাড়াই।

চার্জ ফুরালেই পকেট বা ব্যাগ থেকে পাওয়ার ব্যাংক বের করে ফোন চার্জ করে নিতে পারেন। ব্যাপক সুবিধাজনক হওয়ার কারণে তাই এটি জনপ্রিয় হয়েছে। জেনে নিন, পাওয়ার ব্যাংক সম্পর্কে জরুরি তথ্য:-

১. এককথায় বলা যায়, পাওয়ার ব্যাংক যত বেশি শক্তির হবে তত ভালো। অর্থাৎ, আপনি তত বার মোবাইলটাকে পূর্ণ চার্জ দিতে পারবেন। তবে মোবাইলের ব্যাটারির শক্তিমত্তার চেয়ে পাওয়ার ব্যাংকের শক্তি অন্ত দ্বিগুণ হওয়া জরুরি।

২. পাওয়ার ব্যাংকে এমনিতেই ইউএসবি চার্জিং কানেক্টিভিটি থাকে। তবুও দেখে নিন। আর মোবাইলের ইউএসবি পোর্টের সঙ্গে মিলিয়ে কিনবেন। অর্থাৎ, আপনার মোবাইল ইউএসবি-বি পোর্টের হলে একই পোর্টের পাওয়ার ব্যাংক কিনতে হবে।

৩. ব্যবহার নির্দেশিকা দেখে এর ব্যবহার শিখে নিন। এলইডি ইন্ডিকেটর লাইটের মাধ্যমে পাওয়ার এর ব্যাটারির লেবেল বোঝা যাবে ৷

৪. লিথিয়াম-পলিমার ব্যাটারির পাওয়ার ব্যাংকই সবচেয়ে সেরা ৷

৫. কমপক্ষে ২.১ অ্যাম্পিয়ার কাউন্টের পাওয়ার ব্যাংক কিনুন ৷

৬. পাওয়ার ব্যাংকটিকে মনে করে সবসময় চার্জ করে রাখতে হবে। অন-অফের অপশন থাকলে মোবাইলে চার্জ না দেওয়া অবস্থায় পাওয়ার ব্যাংকটি অন রাখবেন না।

৭. মোবাইলের মতোই একে যত্ন নিতে হবে। পানিতে ভেজাবেন না।

এখানে সঠিক পাওয়ার ব্যাংক নির্বাচনের জন্য কয়েকটি টিপস দেয়া হল:

ব্যাটারি ক্যাপাসিটি:

বেশিরভাগ মানুষ পাওয়ার ব্যাংক কেনার আগে যে বিষয়টি অগ্রাহ্য করে তা হল ব্যাটারি ক্যাপাসিটি অথবা মিলিঅ্যাম্পিয়ার-আওয়ার। পাওয়ার ব্যাংক কেনার সময় অবশ্যই এর মিলিঅ্যাম্পিয়ার-আওয়ার আপনার ফোনের মিলিঅ্যাম্পিয়ার-আওয়ার এর চেয়ে বেশি হওয়া উচিত। বেশিবার চার্জ দেয়ার জন্য ব্যবহারকারিকে অবশ্যই ১০,০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ার-আওয়ার চার্জার নেয়া উচিত। এটি ডিভাইসকে অন্তত তিনবার চার্জ করতে পারবে।

বহনযোগ্যতা এবং স্থায়িত্ব:

পাওয়ার ব্যাংক সাধারণত জরুরি সময়ে এবং ট্র্যাভেল করার সময় বেশি ব্যবহৃত হয়। তাই এটি হওয়া উচিত রাফ ইউসের উপযোগী। পাশাপাশি এটি পাতলা ও সুবিধাজনক আকারের হওয়া উচিত ফলে এটিকে সবজায়গায় সহজেই বহন করা যাবে। তবে মসৃণ পাওয়ার ব্যাংক কিনলেও একটি বিষয় খেয়াল রাখতে হবে তা হল, এটি শক্ত হওয়া জরুরি যাতে পড়ে গেলে বা যেকোনো সামান্য আঘাতে যেন ডিভাইসটি ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।

নিম্ন-গ্রেড পাওয়ার ব্যাংক:

পাওয়ার ব্যাংক কেনার ক্ষেত্রে সবচেয়ে কমন যে ভুলটি সবাই করে থাকে, অনেকেই মনে করেন পাওয়ার ব্যাংক কেনার জন্য বেশি টাকা খরচ করে ব্র্যান্ডের ডিভাইস কেনা অতটা জরুরি নয়। কিন্তু নিম্নমানের পাওয়ার ব্যাংকের পারফরম্যান্স খারাপ এবং বিপজ্জনক। কেননা বেশি চার্জিং এ এটি যেকোনো সময় বিস্ফোরিত হতে পারে।

অন্যান্য দিক:

আপনি যদি পাওয়ার ব্যাংককে মাল্টি-ইউটিলিটি ডিভাইস হিসাবে ব্যবহার করতে চান তাহলে বাজারে এমন বেশ কিছু পাওয়ার ব্যাংক রয়েছে যেগুলোতে অতিরিক্ত ফিচার হিসাবে ফ্ল্যাশলাইট, ব্যাটারি লেভেল ইন্ডিকেটর, অতিরিক্ত ইউএসবি পোর্ট এমনকি ব্লুটুথ স্পিকারও দেয়া থাকে।

 

Exit mobile version