বাংলাদেশের বৃহত্তম-অন-ডিমান্ড ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম পাঠাও লিমিটেড সম্প্রতি তাদের ইউজার এবং রাইডারদের জন্য বেশ কিছু নতুন সেবা নিয়ে এসেছে। নতুন ফিচারগুলির মধ্যে রয়েছে ঝামেলাহীন ডিজিটাল লেনদেন, পাঠাও অ্যাপের মাধ্যমে পাওনা সামঞ্জস্য করা, ড্রাইভারদের জন্য ভয়েস ইন্সট্রাকশন ট্রেনিং এবং সবার জন্য লাইভ চ্যাট সাপোর্ট। নতুন এই ফিচারগুলো গ্রাহকদের জন্য এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যেন এই ফিচারগুলি পাঠাও অ্যাপ ব্যবহারের অভিজ্ঞতা কে আরো উপভোগ্য করে তুলতে পারে। ডিজিটাল পেমেন্ট প্রসেসকে আরো সুবিধাজনক করতে পাঠাও শুরু করেছে ঝামেলাহীন ওয়ান স্টেপ প্রসেস। এখন থেকে পাঠাও ব্যাবহারকারীরা তাদের বিকাশ অ্যাকাউন্ট অ্যাপে সংরক্ষণ করার সুবিধা পাবেন। পূর্বে ডিজিটাল পেমেন্টের জন্য গ্রাহকদের কয়েকটি ধাপ অনুসরন করতে হতো। অর্থ প্রদানের ক্ষেত্রে প্রতিবার তাদের অ্যাকাউন্ট নম্বর, ওটিপি এবং পিন নম্বর প্রবেশ করতে হতো। এই নতুন ফিচারের ফলে এখন ডিজিটাল পেমেন্টের ক্ষেত্রে কেবলমাত্র সংরক্ষিত অ্যাকাউন্টের পিন নম্বর প্রদান করলেই হবে। ইতোপূর্বে, পাঠাও এর ফ্রিল্যান্স ড্রাইভারদের জন্য পাঠাও এর কমিশন প্রদান করা তুলনামূলকভাবে একটু দীর্ঘমেয়াদি প্রক্রিয়া ছিল। এখন থেকে ড্রাইভাররা খুব সহজেই পাঠাও ড্রাইভ অ্যাপ থেকে থার্ড পার্টি ডিজিটাল পেমেন্ট সার্ভিসের মাধ্যমে এই অর্থ সরাসরি প্রদান করতে পারবেন। নতুন এই সিস্টেমের ফলেই মুহুর্তের মধ্যেই বকেয়া পরিশোধ করা সম্ভব হবে। এছাড়াও, পাঠাও রাইডার এবং ক্যাপ্টেনদের জন্য রয়েছে ভয়েস ইন্সট্রাকশন ফিচার। এটি এমন একটি প্রাক-রেকর্ডকৃত ভয়েস নির্দেশাবলী, যেখানে সহজেই পাওয়া যাবে বিভিন্ন সমস্যার সমাধান এবং এই সেবার মাধ্যমে ড্রাইভাররা নিজেরাই বেশিরভাগ সমস্যা সমাধান করতে পারবেন। এই অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে ড্রাইভাররা গাড়ি চালানোর যাবতীয় সব নির্দেশাবলীসহ কিভাবে পাঠাও কাজ করে এবং ব্যবহারকারীদের পরিসেবা প্রদানের নিয়ম সম্পর্কে জানতে পারবেন। ফলে তাদের পেশাদারিত্ব আরো বৃদ্ধি পাবে। এছাড়া পাঠাও ড্রাইভ অ্যাপের ভয়েস প্রশিক্ষণ বিভাগে রাইডার এবং ক্যাপ্টেনরা সাধারণত যেসব প্রশ্নের সম্মুখীন হন সেগুলোর উত্তরও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সবশেষে, গ্রাহকদের আরো উন্নত সেবা দেওয়ার জন্য পাঠাও চালু করেছে লাইভ চ্যাট সাপোর্ট। ব্যবহারকারী এবং চালকরা এখন থেকে তাদের যেকোনো ধরণের প্রশ্ন নিয়ে ফেসবুক মেসেঞ্জারের মাধ্যমে পাঠাও সাপোর্টের সাথে সরাসরি কথা বলতে পারবেন। এটি অনেকটা মোবাইল ফোন কলের মতোই সমাধান প্রদান করবে এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে ফোন কলের চেয়েও দ্রুত সমাধান দিতে সক্ষম এই সেবা। লাইভ চ্যাট অপশনটি ইতিমধ্যে পাঠাও এর ফেসবুক মেসেঞ্জারে চালু করা হয়েছে এবং অতি শীঘ্রই পাঠাও অ্যাপেও পাওয়া যাবে এই সেবা। এ প্রসঙ্গে পাঠাওয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হুসেন এম ইলিয়াস বলেছেন, “পাঠাও সবসময় দ্রুত এবং সুবিধাজনক রাইড শেয়ারিং সার্ভিস প্রদানের কথা চিন্তা করে। ব্যবহারকারীদের পাঠাও ব্যবহারের সর্বোৎকৃষ্ট অভিজ্ঞতা দেওয়ার জন্য আমরা নতুন এই সেবাগুলি চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি । এছাড়াও, আমরা আরো কয়েকটি নতুন ফিচার নিয়ে কাজ করছি যা আমরা অতি দ্রুত গ্রাহকদের জন্য নিয়ে আসব। আমি বিশ্বাস করি যে এই ফিচারগুলোও গ্রাহকদের পাঠাও ব্যবহারের অভিজ্ঞতাকে আরো উন্নত করবে এবং বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে আমাদের প্রচেষ্টাকে সহায়তা করবে।” পাঠাও সর্ম্পকে: পাঠাও বাংলাদেশের বৃহত্তম রাইড শেয়ারিং, ই-কমার্স ও ফুড ডেলিভারি সেবা প্রদানকারী ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম। দেশব্যাপী হাজার হাজার মানুষের জন্য নতুন কর্মসংস্থান তৈরির পাশাপাশি সামগ্রিকভাবে জীবন যাত্রার মান বৃদ্ধিতে পাঠাও কার্যকরী ভূমিকা রেখে চলেছে। দেশের বৃহৎ অবকাঠামো সমস্যার প্রেক্ষিতে পাঠাও একটি বা¯তব সমাধানের দিকে এগোচ্ছে। নিজেদেরকে দেশের সর্ববৃহৎ ই-কমার্স ডেলিভারি কোম্পানি হিসেবে প্রতিষ্ঠার পর পাঠাও যাতায়াত সেবায় নতুন দিগন্ত উন্মোচিত করেছে। পাঠাও মোটরবাইক, গাড়ির নানামুখী ব্যবহারের পর এবার ফুড সার্ভিসের মধ্য দিয়ে প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে বাংলাদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। পাঠাও বাংলাদেশ সরকারের রাইড শেয়ারিং নীতিমালা ২০১৮ অনুমোদিত প্রথম রাইড-শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম। বর্তমানে পাঠাও দৈনন্দিন জীবনের চাহিদা মেটাতে ডিজিটাল লাইফ স্টাইল প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করছে।