পাঠাও যাঁরা চালান তাঁরা কি নির্ভরযোগ্য? কয়েকদিন ধরেই এ প্রশ্ন উঠছিল? বিশেষ করে যাঁরা পাঠাও রাইড নেন তাঁদের মধ্যে। বিষয়টি নিয়ে কয়েকজন পাঠাও চালকের সঙ্গে কথা হয়। একজন বললেন, যতগুলো রাইড শেয়ারিং সেবা আছে এর মধ্যে পাঠাও চালকেরা সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য। কেউ কেউ হয়তেো একটু বাড়াবাড়ি করে ফেলেন, কিন্তু সবাই নিয়মশৃঙ্খলা মেনেই রাইড শেয়ার করেন। তাদের ওপর আস্থা রাখা যায়। তাইতো পাঠাও এতদূর আসতে পেরেছে। রাইড শেয়ারিং বলতেই এখন মানুষ পাঠাওকে বোঝে। আরেক চালক বলছিলেন, পাঠাও চালায় যাঁরা তারা অনেকটাই পেশাদার। বাড়তি কিছু ইনকাম হয় যা তার কাজে লাগে। ধরুন, আপনার বাইক দিয়ে রাস্তায় চলার পথে একটি রাইড দিয়ে দিলেন। লাভ হলো দুজনেরই। আপনি তো নিয়ম মানবেনই। কিন্তু অনেক সময় মেজাজ নিয়ন্ত্রণ রাখা যায় না। প্রথমবারের মতো পাঠাওতে ওঠা এক যাত্রী বললেন, ছুটির দিনে বেশতো মজা করে এলাম। নির্ভর না করলে আর এলাম কিভাবে? পাঠাওয়ের সুনাম শুনলেও আরেক রাইড শেয়ারিং সেবার ওপর কিছুটা বিরক্তি প্রকাশ করলেন এক যাত্রী বললেন, এতো বেশি চার্জ। বৃষ্টির দিনে একটু জ্যাম থাকায় ৬০ টাকা দূরত্বের ভাড়া তিনি পরিশোধ করেছেন ৫৪৩ টাকা! রাগ তো হওয়া স্বাভাবিক। অবশ্য নিয়মিত প্রমোকোড পেয়ে উবারের ওপর খুশি আরেক যাত্রী। তিনি বললেন, বাইকের চেয়েে উবারে তিনি বেশি মজা পান। তবে, চালকদের আরও সাবধানে গাড়ি চালাতে হবে। ঢাকার জনজীবনে পাঠাও সেবাকে আরও ছড়িয়ে দিতে কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি। প্রতিষ্ঠানটির একজন কর্মী জানালেন, জীবনযাত্রাকে আরও সহজ করতে কাজ করছে পাঠাও। প্রতিদ্বন্দ্বীতা বলে কিছু নেই। বরং বাজার বড় হচ্ছে।