রাজধানীতে সবাই একটু স্বস্তি চান যানজটে। সঙ্গে টু পাইস কামাতে। তো এককাজে দুই কাজ হলে মন্দ কি? বাইক চালকেরা জনপ্রিয় রাইড শেয়ারিং হিসেবে পাঠাওয়ে ঝুঁকছেন। অন্য কোনো প্ল্যাটফর্ম এর ধারে কাছে নেই। তাই পাঠাও চালক বাড়ছে। কিন্তু দুশ্চিন্তা আছে যাত্রীদের নিয়ে। একটু খেয়াল করলে দেখবেন, শুরুতে সিএনজি চালকদের দাপট কমলেও এখন আবার ফিরে এসেছে। কারণ, ভাড়া নিয়ে কিছু সমস্যা। তবে খুশির খবর চালক বাড়ছে সবখানে। কিন্তু যাত্রী কমে যেতে দেখা যাচ্ছে। কয়েকজন পাঠাও চালক বলছেন, আয় কমছে তাই অন্য লাইনে ভাবছেন। সম্প্রতি কয়েকটি অনলাইনে খবর হয়, পাঠাও চালকদের সংখ্যা দিনদিন বাড়লেও সে হারে বাড়ছে না যাত্রী সংখ্যা। কয়েকজন পাঠাও চালকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বর্তমানে পাঠাওয়ে যাত্রীদের সংখ্যা কমে গেছে। প্রথম দিকে যাত্রী ভালো পাওয়া গেলেও এখন তেমন পাওয়া যাচ্ছে না। তবে চালকদের সংখ্যা দিনদিন বাড়ছে। তাদের দাবি, শুরুতে আয়ের পরিমাণ বেশি ছিল। ৭-৮ ঘণ্টার বেশি সময় দিয়ে পাঠাও থেকে তাদের আয় হয় ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা। কিন্তু এখন সেটা কমে গেছে। দিনে দিনে চালকসংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় আয় কমেছে। সাইফুল ইসলাম শান্ত নামে এক চালক জানান, শুরুতে বেশ ভালো আয় হতো। কিন্তু এখন অনেক চালক। বিভিন্ন পয়েন্টে কমপক্ষে ৪ থেকে ৫ জন ফ্রি-ল্যান্সার রাইডার যাত্রীর জন্য অপেক্ষা করেন। ফলে একটি রিকোয়েস্ট আসার সাথে সাথে প্রতিযোগিতা শুরু হয়। কার আগে কে যাত্রী গ্রহণ করবেন। ফলে যাত্রী পাওয়ার জন্য খালি গাড়ি নিয়ে ঘুরতে হয়। এতে তেল খরচ বাড়ে। যারা মোটরসাইকেলের মাধ্যমে রাইড শেয়ার করেন, তাদের বলা হয় ফ্রি-ল্যান্সার। আর প্রাইভেটকারে রাইড শেয়ারকারীদের বলা হয় ক্যাপ্টেন। রাজধানীতে এক হাজারের বেশি ফ্রি-ল্যান্সার ও ক্যাপ্টেন রয়েছেন। পাঠাওয়ের মার্কেটিং ম্যানেজার নাবিলা মাহবুব গণমাধ্যমকে জানান, যানজট এড়িয়ে সহজে গন্তব্যে পৌঁছে দেয়ার জন্য চালু করা হয় মোটরসাইকেলের মাধ্যমে রাইড শেয়ারিং সেবা পাঠাও। তবে সব ফ্রি-ল্যান্সার রাইডার ও ক্যাপ্টেনদের আয়ের পরিমাণ নির্ভর করে তাদের রাইড শেয়ার সংখ্যার ওপর।