দেশের আর্থিক, অবকাঠামো খাতসহ সামগ্রিক উন্নয়নের গতি সঞ্চারের তুলনায় পিছিয়ে রয়েছে পুঁজিবাজার। পুঁজিবাজার ও আর্থিক খাতের বিশ্লেষকদের মতে, এর প্রধার কারন বাজারের গভীরতা বা আকার কম থাকা। অর্থাৎ, পুঁজিবাজারে বেসরকারি খাতের বড় ও ভালো কোম্পানির শেয়ারের অভাব। তাদের মতে, একটি সক্ষম ও গতিশীল পুঁজিবাজার তৈরির ক্ষেত্রে বেসরকারি খাতের শীর্ষ কোম্পানিগুলোর বাজারে তালিকাভূক্ত হওয়া খুবই জরুরী। এরই প্রেক্ষিতে পুঁজিবাজারে দেশের ইলেকট্রনিক্স জায়ান্ট ওয়ালটনের আইপিও’কে স্বাগত জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। পুঁজিবাজারে ওয়ালটনের তালিকাভুক্ত প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ওয়ালটন দেশীয় ইলেকট্রনিক্স খাতের বড় কোম্পানি। তাদের রেকর্ড খুব ভালো। পুঁজিবাজারে ওয়ালটনের মতো ভালো ও বড় কোম্পানি আসবে। নিঃসন্দেহে বাজারের জন্য খুবই ইতিবাচক। এতে বাজারের গভীরতা বাড়বে। অন্যদিকে শেয়ার মার্কেটে গ্যাম্বলিং এর সুযোগ কমবে। বিনিয়োগকারীরা ভালো কোম্পানির শেয়ার কিনে লাভবান হতে পারবেন। ভালো বিনিয়োগকারীরা বাজারে আস্থা ফিরে পাবেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের ‘ডেপ্থ’ বা গভীরতা তুলনামূলক কম। অর্থাৎ বাজারে বড় ও ভালো কোম্পানির শেয়ারের অভাব রয়েছে। এতে করে গ্যাম্বলিং এর শিকার হন বিনিয়োগকারিরা। ফলে, তাদের মধ্যে আস্থার সংকট দেখা দেয়। এক্ষেত্রে পুঁজিবাজারে ওয়ালটনের মতো ভালো কোম্পানির শেয়ার ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। পুঁজিবাজারের আকার বৃদ্ধি ও চাঙ্গা করতে সরকারি কয়েকটি লাভজনক প্রতিষ্ঠানকে তালিকাভূক্ত করার উদ্যোগ নেয়ায় অর্থমন্ত্রী আহম মুস্থফা কামালকে ধন্যবাদ জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক এই গভর্নর। তিনি বলেন, অর্থমন্ত্রীর এই উদ্যোগ সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করতে পারলে পুঁজিবাজারে গভীরতা নিঃসন্দেহে বাড়বে। তার মতে, পুঁজিবাজারের গতি বৃদ্ধিতে সরকারি প্রতিষ্ঠানের চেয়ে বেশি ভূমিকা রাখবে বেসরকারি খাতের কোম্পানি। বিশেষ করে ওয়ালটন, রবির মতো বড় কোম্পানিগুলো।