বাংলাদেশ সময় সকাল ৮টা ৩৬ মিনিট ৩০ সেকেন্ড গ্রহণটি শুরু হয়ে বেলা ১টা ৪৮ মিনিট গ্রহণ শেষ হবে। বেলা ১১টা ১২ মিনিট ১৬ সেকেন্ড কেন্দ্রীয় গ্রহণ ঘটবে। গ্রহণটির সর্বোচ্চ মাত্রা হবে ১.১৯৫৩।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়, তামার মতো রক্তিম দেখাবে চাঁদটিকে। কিন্তু ঘণ্টাখানেক যেতে না যেতেই পুব আকাশ থেকে একেবারেই হাপিস হয়ে যাবে তামাটে এ চাঁদ। সোয়া ঘণ্টা বাদে ছায়ার আড়াল থেকে আবারো উঁকি দেবে। এই সময়টাতে পৃথিবীর ছায়ায় ঢাকা পড়ে গ্রহণ লাগবে এ চাঁদে। ঘণ্টাখানেক পর স্বমহিমায় মধ্যগগনে অধিষ্ঠিত হবে, অন্যদিনের তুলনায় আয়তনে ও আলোয় বেড়ে যাবে। যাকে বিজ্ঞানীরা বলে থাকেন, ‘সুপার মুন’।
পৃথিবীর আকাশে আগামীকাল দেখা দেবে রক্তবর্ণের চাঁদ, যা এক ধরনের সুপারমুন। আমেরিকার আদি বাসিন্দাদের কাছে এটি ‘নেকড়ে চাঁদ’ বলে পরিচিত। ওই পূর্ণিমায় চাঁদের আলোয় পৃথিবী এতটাই ভেসে যায় যে নেকড়েরা ডেরা থেকে বেরিয়ে ডাকতে শুরু করে।২০১৯ সালের ২১ জানুয়ারি রাতে পৃথিবীর আকাশে দেখা দেবে ‘নেকড়ে চাঁদ’।
যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণাকেন্দ্র নাসার তথ্য মতে, চাঁদ নিজের কক্ষপথে আবর্তনের যে পর্যায়ে পৃথিবীর খুব কাছে চলে আসে, তখন সুপারমুন দেখা দেয়। এ সময় পৃথিবী থেকে চাঁদকে ১৪ শতাংশ বড় দেখায়। এর উজ্জ্বলতাও বেড়ে যায় ৩০ শতাংশ পর্যন্ত।
বাংলাদেশে গ্রহণটি দেখা যাবে না। তবে, উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকায় গ্রহণটি পুরোপুরিভাবে এবং পশ্চিম ইউরোপ ও উত্তর-পশ্চিম আফ্রিকার কিছু স্থানে আংশিকভাবে দেখা যাবে। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটেও বিষয়টির তথ্য রয়েছে।
এরপর আবার ২০২১ সালের ২৬ জুন দেখা যাবে পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ। সর্বশেষ, গত বছরের ২৭জুলাই পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ দেখা গিয়েছিলো। চাঁদ ও সূর্যের সাথে এক সরলরেখায় পৃথিবী চলে এলে চন্দ্রগ্রহণ হয়। তখন সূর্যের আলো পৃথিবীতে আটকে গিয়ে আর চাঁদে পৌঁছাতে পারে না। ফলে চন্দ্রগ্রহণ হয়।