২২শে ফেব্রুয়ারী, বৃহস্পতিবার ডব্লিওপি ডেভেলপার “গ্র্যান্ড সারপ্রাইজ ইভেন্ট” নামে একটি গ্র্যান্ড গালা ইভেন্ট হোস্ট করেছে। সন্ধ্যা ৭টায় রেডিসন ব্ল তে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়েছে।
ইভেন্টের অনন্যতা এবং উত্তেজনা বাড়াতে কোম্পানির কর্মচারীদের মাঝে প্রোফিট শেয়ার সহ বিভিন্ন ধরণের অসাধারণ সেগমেন্ট এর আয়জন করা হয়েছে। কোম্পানির কর্মচারী ও তাদের পরিবারের সদস্য, টেক এবং আইটি ইন্ডাস্ট্রির ব্যক্তি, দেশের বিভিন্ন নামকরা সংবাদ মাধ্যম সহ ৫০০ জনেরও বেশি লোক ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
এটি শুধুমাত্র কোম্পানির জন্য একটি অনুষ্ঠানই নয়, এটি কোম্পানির মাইলফলক, ১২ বছরের দীর্ঘ সফলতার জার্নি এবং কোম্পানির অন্যান্য অসামান্য অর্জন উদযাপনের অনুষ্ঠানও ছিল।
ইভেন্টটির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আকর্ষণ ছিল এর নাম। কারণ কোম্পানিটি ইভেন্টের নাম রেখেছে “গ্র্যান্ড সারপ্রাইজ ইভেন্ট” যা ইন্ডাস্ট্রির লোকজনকে ভাবতে এবং অনুমান করার একটি সুযোগ রেখে দেয়। এর নামকরণের পেছনের একটি বিশেষত্ব হল ডব্লিওপি ডেভেলপার এর, স্টার্টাইজ নামক প্যারেন্ট কোম্পানিকে সবার সামনে প্রথমবারের মতো উন্মোচন করা ।
৩০টির বেশি অনন্য টুলস এবং অসাধারণ প্লাগিন ডেভেলপমেন্ট এবং অসামান্য কন্ট্রিবিউশন এর জন্য ওয়ার্ডপ্রেস কমিউনিটিতে ডব্লিওপি একটি বিশেষ দৃষ্টান্তমূলক কোম্পানী হিসাবে দাঁড়িয়েছে। এটি ১৮০ এর বেশি দেশ জুড়ে বিস্তৃত এবং পুরো বিশ্বজুড়ে ৬ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ ব্যবহার করছে।
ডব্লিওপি ডেভেলপার ছাড়াও তাদের মোট ৫ টি কোম্পানি রয়েছে যেমন টেমপ্লেটলি, এক্স ক্লাউড, ইজি জবস এবং স্টোরওয়্যার।
প্রতিটি কোম্পানি ভিন্ন ভিন্ন কাজের জন্য নিবেদিত। যেমন ডব্লিওপি ডেভেলপার, তার 30+ প্লাগইনগুলির মাধ্যমে কোডিংয়ের প্রয়োজন ছাড়াই 5 মিলিয়ন ব্যবহারকারীকে অনায়াসে ওয়েবসাইট তৈরি করতে সহায়তা করে। অন্যদিকে, টেমপ্লেটলি ৫০০০+ ডিজাইন এবং ক্লাউড সহযোগিতা দিয়ে বিশাল টেমপ্লেট লাইব্রেরি তৈরি করেছে৷ এছাড়াও, ইজিজবস, মূলত আরটিফিশাল ইন্টিলিজেন্স-চালিত রিমোট নিয়োগকারী স্যাস প্ল্যাটফর্ম, যা বিশ্বব্যাপী ১০,০০০টিরও বেশি কোম্পানি ব্যবহার করে তাদের এমপ্লয়ি নিয়গ দিচ্ছে ।
অন্যদিকে, এক্সক্লাউড ওয়ার্ডপ্রেস হোস্টিংকে বৈপ্লবিক পরিবর্তন করে, উন্নত সমাধান প্রদান করে । সবশেষে, স্টোরওয়্যার শপিফাই স্টোরগুলিকে আরও সমৃদ্ধ করতে, ই-কমার্সের বৃদ্ধি এবং উদ্ভাবনে অবদান রাখার ক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করছে।
সুতরাং প্রতিটি কোম্পানিই একটি অনন্য ভূমিকা পালন করে, সম্মিলিতভাবে তাদের নিজ নিজ স্বকীয়তা উদ্ভাবন এবং দক্ষতার একটি ল্যান্ডস্কেপ তৈরি করে।
একটি প্যারেন্ট কোম্পানি গঠনের উদ্ভাবনী ধারণা থেকে, স্টার্টাইজ, উদ্ভূত হয়, শুধুমাত্র এই অসংখ্য কাজগুলি পরিচালনা করার জন্য নয় বরং কোম্পানিকে বৃদ্ধির নতুন স্তরে ত্বরান্বিত করার জন্য। এর প্রভাব শুধুমাত্র দেশেই নয় বরং পুরো বিশ্বজুড়ে সফলভাবে বিস্তার করবে। তাছাড়া বাংলাদেশী প্রযুক্তি শিল্পকে সুপারচার্জ এর পাশাপাশি এটি বহুদূরে পৌঁছে যাবে, যা বাংলাদেশের প্রযুক্তি খাতকে আগের চেয়ে আরও গুরুত্বপূর্ণ করে তুলবে।
স্টার্টাইজের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান, এম আসিফ রহমান বলেন, “প্রথাগত ব্র্যান্ড নয়, আমরা একটি কোর গ্রুপের কল্পনা করি যেটি উদ্ভাবন, এবং বৃদ্ধিকে উৎসাহিত করবে, এবং বিশ্বব্যাপী তা সমৃদ্ধ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।”
এছাড়াও, প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক, নাজমুল হাসান রুপক বলেন, “ একটি প্যারেন্ট কোম্পানি হিসাবে স্টারটাইজ উদ্বোধনের মাধ্যমে আমরা বৈচিত্র্যতার সাথে একটি নতুন যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছি। আমি এবং আমাদের টিম এই নতুন অধ্যায়ের জন্য সত্যিই উত্তেজিত, এবং প্রত্যাশা করছি আরো ভিন্ন মাত্রায় কিছু করা।”
আফসানা রহমান, সিএমও শেয়ার করেছেন “স্টার্টাইজ একটি নামের চেয়ে বেশি, একটি ব্র্যান্ডের চেয়েও বেশি – এটি প্রযুক্তি এবং এর বাইরেও উদ্ভাবনের প্রতিশ্রুতি। আমরা বাংলাদেশ থেকে যা সম্ভব তা নতুন করে সংজ্ঞায়িত করার জন্য এবং আমাদের সমাধান ব্যবহার করে টেকসই ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধি অর্জনে বিশ্বব্যাপী সাহায্য করার অপেক্ষায় রয়েছি।”
স্টার্টাইজের আগমনের সাথে ডব্লিওপি ডেভেলপার এর একটি নতুন যুগ শুরু হয়েছে, যেখানে নতুন টেক উদ্ভাবনীই নয় বরং বাংলাদেশের প্রযুক্তির ভবিষ্যত অফুরন্ত সম্ভাবনা আশা করা যাচ্ছে।