ব্রিটেনে ছয় বছর বয়সের আগেই প্রতি চারজনে একজন শিশুর নিজেদের স্মার্টফোন রয়েছে। যদিও দেশটিতে ঠিক কোন বয়সে একজন মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবে তার একটি নির্দিষ্ট বয়স নির্ধারণে বিভিন্ন স্টেকহোল্ডার এবং পিতামাতারা কাজ করে যাচ্ছেন।
বিষয়টি নিয়ে একটি গবেষণা করেছে অনলাইন ট্রেড আউটলেট মিউজিক ম্যাগপাই, সেই গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, ২৫ শতাংশ শিশু যাদের বয়স ছয় বছরের কম তাদের স্মার্টফোন রয়েছে। একই সঙ্গে সপ্তাহে গড়ে ২১ ঘণ্টা ওই শিশুরা তাদের ফোনে সময় ব্যয় করে। দেশটির জনপ্রিয় পত্রিকা ইন্ডিপেনডেন্ট সোমবারই এমন প্রতিবেদন করেছে।
ওই জরিপে দেখানো হয়েছে, তিন চতুর্থাংশ পিতা-মাতারা অন্তত ৫০০ পাউন্ড খরচ করে তাদের সন্তানদের প্রথম ফোন কেনার পেছনে। তবে তাদের মধ্যে দুই তৃতীয়াংশ বলেন তারা মাসিক যে ব্যয় হয় তার হিসাব করেন না।
জরিপে অংশ নেওয়া বেশিরভাগ মায়েরা বলেন, তারা তাদের সন্তানকে ১১ বছর বয়সের আগে নিজের মোবাইল ফোন কিনে দিতে চান না। আমরা দেখেছি, ব্রিটেনে অন্তত ২৫ শতাংশ শিশু যাদের বয়স ছয় বছরের নীচে তাদের নিজেদের মোবাইল ফোন রয়েছে বলে গবেষক লিয়াম হাউলি বলেছেন।
হাউলি বলেন, আসলে বাবা-মা তাদের সন্তানদের ঠিক কোন বয়সে মোবাইল ফোন কিনে দেবেন তার সঠিক কোনো ব্যাখ্যা এখনো নেই। তবে তারা এটুকু নিশ্চিত হতে চান যে, সন্তানদের একটা উপযুক্ত সময় ফোন দেওয়া ভালো। জরিপে ১০ জনের আট জন পিতা-মাতা ফোনে তাদের সন্তানদের সময় দেওয়ার সময় বেঁধে দেন না। তবে বেশিরভাগ পিতা-মাতা মনে করেন, শিশুদের মোবাইল ফোন দেওয়ার সঠিক বয়স হওয়া উচিত ১১ বছর।
যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা স্টেট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক থমাস জয়নার বলেন, স্ক্রিনিং টাইমটাকে বর্তমান সময়ে একটু হলেও ছাড় দেওয়া যায়। তবে এর ঝুঁকিপূর্ণ দিক হচ্ছে হতাশা এবং আত্মহত্যা। সাম্প্রতিক এক স্টাডিতে বলা হচ্ছে, অল্প বয়সে শিশুদের ফোন এবং এমন ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস ব্যবহারের ফলে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ে বেশি। এমনকি, তাদের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতাও বেড়ে যায়।