প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষদের জন্য বিশেষ পরামর্শ নিশ্চিতে নতুন প্রোগ্রাম চালুতে প্রতিষ্ঠান সুইসকন্ট্যাক্টের সাথে অংশীদারিত্বের মাধ্যমে নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে দেশের ডিজিটাল সেবায় অগ্রণী প্রতিষ্ঠান ডিজিটাল হসপিটাল। নতুন এ উদ্যোগের আওতায়, গ্রামে বসবাসকারী রোগীদের জন্য কমিউনিটি প্যারামেডিকের (সিপি) চেম্বারে অবকাঠামোগত পরিবর্তন আনা হবে। রোগীর অবস্থা বুঝে প্রয়োজন অনুসারে সিপি রোগীদের বিভিন্ন ই-স্পেশালিষ্টের কাছে রেফার করবেন; একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করতে সাহায্য করবেন, যিনি কিনা ভিডিও কলের মাধ্যমে পরামর্শ দিবেন এবং কার্যকরী প্রেসক্রিপশন ও পরামর্শ প্রদান করবেন। এই প্রোগ্রামের অধীনে একাধিক বিশেষজ্ঞ রয়েছেন। গত বছর পরী¶ামূলকভাবে চালুর পর ডিজিটাল হসপিটাল ছয় মাসে গাইনোকোলজি, কার্ডিওলজি, মেডিসিন বিশেষজ্ঞের মাধ্যমে ৮ হাজারের বেশি মানুষকে বিশেষজ্ঞ পরামর্শ প্রদান করেছে। সুইসকন্টাক্টের সাথে অংশিদারিত্বের মাধ্যমে গ্রামের আরও বেশি মানুষকে সেবা প্রদান করা সম্ভব হবে। মানসম্পন্ন ¯^াস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা এবং ¯^াস্থ্যসেবায় ধনী-দরিদ্র, গ্রাম-শহরের মধ্যকার ব্যবধান ঘোচানো ডিজিটাল হসপিটাল ও সুইসকন্টাক্ট উভয়েরই ল¶্য, কারণ প্রতিষ্ঠান দুটির বিশ্বাস প্রত্যেক মানুষেরই সু¯^াস্থ্যের অধিকার রয়েছে। ¯^াস্থ্যসেবা লাভের ¶েত্রে ব্যবধান হ্রাস করতে, টারশিয়ারী ¯^াস্থ্যসেবা কেন্দ্রে ভিড় কমাতে এবং স্থানীয় ¯^াস্থ্যসেবা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার ল¶্যে গত ১০ ডিসেম্বর ডিজিটাল হসপিটাল ও সুইসকন্টাক্ট এই নতুন প্রোগ্রাম চালু করে। এই প্রোগ্রামটি ¯^াস্থ্যসেবা পেতে দেশের বিভিন্ন জায়গায় যাতায়াতের সময় ও খরচ কমিয়ে রোগীদের আর্থিক ¶েত্রেও সহায়তা করবে। ডিজিটাল হসপিটাল সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং সিসিও অ্যান্ড্রু স্মিথ বলেন, “বাংলাদেশের বেশিরভাগ পরিবার এবং জনগোষ্ঠীকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ পেতে ঢাকায় ভ্রমণ করতে হয় যা অত্যন্ত ব্যায়বহুল ও সময় সাপে¶। এখন আমরা সেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়ে আসছি তাদের এলাকার স্থানীয় কমিউনিটি প্যারামেডিকের কাছে। এটি ¯^াস্থ্যসেবা গ্রহণের হার বৃদ্ধি করবে এবং সকলেই বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সাথে পরামর্শ নিতে পারবেন। এই উদ্যোগ ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার ¶েত্রে সরকারের প্রচেষ্টায় অবদান রাখবে।”