মহাকাশের লাল লণ্ঠন থেকে গেছে মানুষের নাগালের বাইরেই। ১৯৬৯ এর চন্দ্রবিজয়ের পরে এবার মঙ্গলে পা রাখার পরিকল্পনা করে ফেলেছে নাসা। তবে এবার লালগ্রহের মাটিতে পা পড়তে চলেছে মানুষের। স্বপ্নপূরণ হতে চলেছে এক মার্কিন কিশোরীর। নাম অ্যালিসা কারসন। মঙ্গলে অভিযানের সময় তার বয়স হবে বত্রিশ। অভিযানটি হবে ২০৩৩ সালে।
আমেরিকার লুসিয়ানার অ্যালিসা কারসন হবেন সেই মিশনেরই কনিষ্ঠতম নভোশ্চর। যুক্তরাষ্ট্রের লুসিয়ানা অঙ্গরাজ্যের এই কিশোরী তাই প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন এবং নিজেকে প্রস্তুত করছেন। তবে মঙ্গল অভিযানের সময় অবশ্য অ্যালিসার বয়স হবে ৩২। কেননা, নাসার ওই অভিযানটি হবে ২০৩৩ সালে। অ্যালিসার জানাচ্ছেন, ‘কেউ কখনও যায়নি, তাই এমন জায়গায় পা রাখব আমি…সবার আগে। কিশোরীর গলায় দৃঢ়তার ছাপ’।
লুসিয়ানার হেমন্ডে থাকেন ১৭ বছর বয়সী এই কিশোরী। মহাকাশ বলতেই পাগল সে। ছোটবেলায় ব্যাকইয়ারডিগানস কার্টুন দেখতে দেখতেই তার পৃথিবী ছেড়ে যাওয়ার স্বপ্ন শুরু হয়। ওই কার্টুনের কিছু পর্বে দেখানো হয় যে, একদল প্রাণী বন্ধুরা বেশ কিছু অভিযানে যায়। একটি পর্বে তারা মঙ্গলগ্রহেও যায়।
টিন ভোগকে দেয়া এক সাক্ষাতকার আইসা বলেন, আমি তখন ভাবতাম লাল এই গ্রহটা নিশ্চয়ই খুব শীতল। মঙ্গলে প্রথম মানুষ হিসেবে পা রাখার জন্য আমি প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ নিচ্ছি। নিজের স্বপ্ন পূরণে একটি হাইস্কুলে চারটি ভাষা শিখছেন আইসা। এই কিশোরী বলেন, আমি মঙ্গলগ্রহ নিয়ে বিভিন্ন ভিডিও দেখা শুরু করেছি। আমার রুমে মঙ্গলের একটি বিশাল মানচিত্র আছে।
৯ বছর বয়সে কার্টুনে মঙ্গলকে দেখে লালগ্রহের প্রতি ভালবাসা তার। তখন থেকেই সে দিনরাত দেখতে থাকে রোভার্সের `ল্যান্ড` করার ভিডিও। বেডরুমে টাঙানো রয়েছে মঙ্গলের অতিকায় ম্যাপ। এরপরই নাসার স্পেস ক্যাম্পগুলোয় ঘুরতে থাকে সে। ইতিমধ্যে তার পাসপোর্ট প্রোগ্রামও সম্পূর্ণ। এবার প্রস্তুতি শুধু স্বপ্নের সফরের। তারপর ছোট্ট পাড়ি জমাবে পড়শি গ্রহে। ১৮ বছর বয়স হলেই শুরু হবে কঠিন ট্রেনিং। মহাকর্ষের সঙ্গে লড়াই, মহাকাশযান সম্পর্কে অভিজ্ঞ হয়ে ওঠা। নানা ধাপ পেরোতে হবে একে একে। তবে নাসা অবশ্য তাকে একটা শর্ত দিয়ে রেখেছে। মঙ্গলের মিশন শেষ না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে করতে পারবে না অ্যালিসা।
তবে মঙ্গল থেকে ফিরে আরও একটি অদ্ভুত ইচ্ছেপূরণ করতে চায় ইতিহাসের দরজায় পা রাখতে চলা মেয়েটি। অ্যালিসা কারসন জানিয়েছে, মঙ্গল থেকে ফিরে আমি দেশের প্রেসিডেন্ট হতে চাই।
সূত্র: জিনিউজ