স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সাইবার ক্রাইম অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশনের (সিসিএ ফাউন্ডেশন) উপদেষ্টা তথ্যপ্রযুক্তিবিদ একেএম নজরুল হায়দার ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৮ বছর।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, এই বছর পবিত্র হজ পালনে সৌদি আরব গেছেন তিনি। হঠাৎ অসুস্থতাবোধ করলে তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার সৌদি সময় রাত ১১টায় সেখানে তার মৃত্যু হয়। হজ যাত্রীদের সৌদি আরবে মৃত্যু হলে মরদেহ সেখানেই দাফন করা হয়। সে হিসেবে আজ বুধবার সকালে তার দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
নজরুল হায়দার তথ্যপ্রযুক্তি পেশাজীবীদের আন্তর্জাতিক সংগঠন আইসাকা’র ঢাকা চ্যাপ্টারের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়াও তিনি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব হেল্থ সায়েন্সের ডিপার্টমেন্ট অব হেলথ ইনফরমেটিক্সের প্রধান ও অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর, আইসিডিডিআরবি’র সিনিয়র অ্যাডভাইসর – আইটি, অ্যাপোলো হসপিটাল, ঢাকা’র জেনারেল ম্যানেজার (জিএম)-আইটি, পন্ডস ইন্ডিয়া লিমিটেডের বিজনেস সিস্টেম ম্যানেজারসহ দেশ-বিদেশে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন।
প্রবীণ এই পেশাজীবী তথ্যপ্রযুক্তি ও ব্যবস্থাপনা পেশায় কর্মরত ছিলেন। দীর্ঘ ৩৮ বছরের কর্মজীবনে তিনি অ্যাভিয়েশন, এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ, ম্যানুফ্যাকচারিং, হেলথকেয়ার ও ব্যাংকিং শিল্পে ইনফরমেশন সিকিউরিটি/তথ্যপ্রযুক্তি (আইএস/আইটি)-এর বিকাশ ও ব্যবস্থাপনায় ৩৩ বছর পার করেছেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী ও এক ছেলেসহ বহু গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
সিসিএ ফাউন্ডেশনের সভাপতি কাজী মুস্তাফিজ বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলেন, “বর্তমানে বিশ্বব্যাপী তথ্যপ্রযুক্তির যে বিপ্লব ঘটছে তাতে সাইবার নিরাপত্তার বিষয়টি প্রত্যেক দেশের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। একেএম নজরুল হায়দার সেক্ষেত্রে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে ব্যক্তিগতভাবে নিবেদিত প্রাণ হিসেবে কাজ করে গেছেন। তার মৃত্যুতে দেশের অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেলো।