ব্যক্তি-গোষ্ঠি ছাড়িয়ে সারা বিশ্বে রাষ্ট্রীয় পর্যায়েও সাইবার দুর্বৃত্তায়ন এখন বড় চ্যালেঞ্জ। যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ খাতকে লক্ষ্য করে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে ফেলতে পারে সাইবার দুর্বৃত্তরা। বাংলাদেশও এর বাইরে নয়। সাম্প্রতিক প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনার মতো জাতীয় ইস্যুর পেছনেও আন্তর্জাতিক কোনো গোষ্ঠী জড়িত থাকতে পারে। শিক্ষা খাতকে ধ্বংস করার জন্য এটি হতে পারে। এজন্য এসব বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
শনিবার রাজধানীতে আয়োজিত সাইবার সচেতনতা বিষয়ক এক কর্মশালায় এসব কথা জানান সাইবার নিরাপত্তা প্রকৌশলী ও গবেষক মো. মেহেদী হাসান। জাতীয় জাদুঘরে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সাইবার ক্রাইম অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশন দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করে। এতে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও জেলা থেকে অংশ নেন সংগঠনের প্রায় ১০০ জন চ্যাম্পিয়ন সদস্য (সাইবার সচেতনতাকর্মী)।
অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন ঢাকা মহানগর পুলিশের সাইবার নিরাপত্তা ও অপরাধ বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) নাজমুল ইসলাম। তিনি বলেন, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মেয়েরা প্রেমঘটিত কারণে সাইবার অপরাধের শিকার হচ্ছে। এ নিয়ে সচেতনতার বিকল্প নেই। শহর ও গ্রামে সবাই ইন্টারনেট সুবিধা পাচ্ছেন। কিন্তু গ্রামের মানুষ শহরের মানুষদের তুলনায় কম সচেতন। তাই গ্রামে সচেতনতামূলক কার্যক্রম বেশি দরকার।
এ পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, শিগগির ঢাকা মহানগর পুলিশে ‘লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড’ নামে সেবা চালু হবে। এর মাধ্যমে হারানো ফোনসহ বিভিন্ন জিনিস প্রযুক্তির সাহায্যে উদ্ধার করার সেবা মিলবে।
অনুষ্ঠানে অপরাধ ও সাইবার নিরাপত্তা, তথ্যপ্রযুক্তি আইন, সামাজিক সচেতনতামূলক কার্যক্রম নিয়ে বিষয়ভিত্তিক আলোচনা করেন মো. মেহেদী হাসান, সংগঠনের আহ্বায়ক কাজী মুস্তাফিজ ও সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ হাসান।
আয়োজকরা জানান, স্বেচ্ছাসেবী এই কার্যক্রম আগামী ২০ মে চতুর্থ বর্ষে পদার্পণ করছে। এ উপলক্ষে সমাজে সাইবার সচেতনতায় নেতৃত্ব তৈরির উদ্দেশ্যে ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে এটি আয়োজন করা হয়।