টেলিকম

প্রশ্ন তুলেছে গ্রামীণফোন

By Baadshah

February 21, 2019

এসএমপি নির্দেশনার যৌ ক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে গ্রামীণফোন। বাজারে সত্যিকার অর্থে প্রতিযোগিতা তৈরি র বদলে আরোপকৃত এ নির্দেশনা প্রতিষ্ঠানের কার্যকরী পরিচালনা ও সময়মতো বিনিয়োগকে বাধাগ্রস্ত করবে এবং উন্নত গ্রাহকসেবার বিপরীতেও বাধা তৈরি করবে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

যেখানে বিদ্যমান আইন ও নীতিমালা সুষ্ঠু প্রতিযোগিতাকে প্রাধান্য দিয়েই তৈরি সেখানে প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ তৈরিতে আলাদা এসএমপি নীতিমালা ও নির্দেশনার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন সেশনে উপস্থিত থাকা গ্রামীণফোনের হেড অব রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স হোসেন সাদাত।

সাদাত উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, নিয়ন্ত্রকদের প্রস্তাবিত সমাধান এবং এ সমাধানের দিকে যাওয়ার প্রক্রিয়া এর আগে কখনও কোনো এসএমপি’ ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয়নি। বিশেষ করে, যেখানে কর্তৃত্বপূর্ণ অবস্থানের সুযোগ নেয়া বা এর অপব্যবহার কিংবা অপ্রতিযোগিতামূলক আচরণের কোনো প্রমাণই নেই নির্দিষ্ট ওই প্রতিষ্ঠানের বিপক্ষে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এসএমপি’র প্রাথমিক নির্দেশনা প্রতিযোগিতাকে উৎসাহিত করতে করা হয়নি বরঞ্চ এটা অন্য অপারেটরদের সুবিধাদানে সহায়ক।’ তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানের প্রবৃদ্ধি, উদ্ভাবনী দক্ষতা ও বিনিয়োগের সক্ষমতা কেড়ে নেয়ার জন্য এসএমপি’র নির্দেশনাবলী ব্যবহার করা উচিৎ নয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘একটি প্রতিষ্ঠানকে এসএমপি হিসেবে ঘোষণা দিয়ে ওই প্রতিষ্ঠানের বিপক্ষে বাজার আধিপত্যের অপব্যবহার কিংবা যৌথ আধিপত্যের সুযোগ নেয়ার কোনো প্রমাণ ছাড়াই অযৌক্তিকভাবে নিয়ন্ত্রণ ও আসাঞ্জস্যমূলক নির্দেশনা আরোপ করা সুষ্ঠু প্রতিযোগিতার নিয়মবিরুদ্ধ এবং সার্বিকভাবে গ্রাহকদের সেবা প্রদানে জন্য ক্ষতিকর।’

নিয়ন্ত্রক সংস্থার আরোপিত নির্দেশনাটি একটি প্রতিযোগিতা বিরোধী অবস্থান বলে প্রতীয়মান হয়। অথচ, তাদের লক্ষ্য হওয়া উচিৎ ছিলো একটি প্রতিযোগিতামূলক বাজার ব্যবস্থা যেখানে যোগ্যতা হবে ব্যবসায়িক উন্নতির একমাত্র মাধ্যম।

গত সপ্তাহে গ্রামীণফোনকে তাৎপর্যপূর্ণ বাজার ক্ষমতাধর (এসএমপি) ঘোষণা দেয়া হয়। বিটিআরসি’র প্যারামিটার অনুযায়ী কোনো টেলিকম অপারেটরকে এসএমপি হিসেবে ঘোষণা দেয়া হবে যদি তাদের নিম্নলিখিত বিষয়গুলোতে সর্বনিম্ন ৪০ শতাংশ বাজারহিস্যা থাকে। বিষয়গুলো হলো: ১) গ্রাহক ভিত্তি ২) বার্ষিক আয় এবং ৩) বরাদ্দকৃত তরঙ্গ। উল্লখিত তিনটি কারণের দু’টি পুরণের জন্য গ্রামীণফোনকে এসএমপি ঘোষণা করা হয়। বর্তমানে, কোনো অপারেটররই ৪০ শতাংশের বেশি বরাদ্দকৃত তরঙ্গ নেই।