TechJano

প্রিমো এইচনাইন প্রো কেন সেরা ফোন? প্রি-বুকে ব্যাপক সুবিধা

দেশের স্মার্টফোন বাজারে একের পর এক চমক দিচ্ছে ওয়ালটন। সাশ্রয়ী দামে অত্যাধুনিক ফিচারসমৃদ্ধ ফোন দিয়ে গ্রাহকদের মন জয় করে নিয়েছে বাংলাদেশি এই ব্র্যান্ড। এরই ধারাবাহিকতায় নতুন আরেকটি বাজেট সেরা ফোন বাজারে ছাড়ার ঘোষণা দিলো ওয়ালটন। নজরকাড়া ডিজাইনের ‘প্রিমো এইচনাইন প্রো’ মডেলের ওই ফোনটিতে ব্যবহৃত হয়েছে ৪ জিবি র‌্যাম ও ৬৪ জিবি রম, পেছনে ট্রিপল ক্যামেরাসহ দুর্দান্ত সব ফিচার। প্রি-বুক বা আগাম ফরমায়েসে ফোনটি কেনা যাচ্ছে মাত্র ৮,৪৯৯ টাকায়।
ওয়ালটন মোবাইলের হেড অব সেলস আসিফুর রহমান খান বলেন, আমাদের লক্ষ্য দেশীয় ক্রেতাদের হাতে সাশ্রয়ী দামে অত্যাধুনিক ফিচারের ফোন তুলে দেয়া। যার ফলে ‘প্রিমো এইচনাইন প্রো’ বাজারে ছাড়া হয়েছে। কনফিগারেশনের দিক থেকে এটি মিড লেভেলের ফোন হলেও দামের দিক থেকে এন্ট্রি লেভেলের ফোনগুলোর চেয়েও অনেক সাশ্রয়ী।
তিনি জানান, ফোনটির রেগুলার মূল্য ৯,৪৯৯ টাকা। কিন্তু প্রি-বুকে ১০০০ টাকা ছাড় দেয়া হচ্ছে। ফলে এর দাম পড়ছে মাত্র ৮,৪৯৯ টাকা। ক্রেতারা ঘরে বসেই অনলাইনের ই-প্লাজা থেকে (https://bit.ly/primoh9pro) ফোনটির প্রি-বুক দিতে পারছেন। পাশাপাশি দেশের সব ওয়ালটন প্লাজা, মোবাইলের ব্র্যান্ড ও রিটেইল আউটলেটে ১ হাজার টাকা জমা দিয়ে ফোনটির প্রি-বুক দেয়া যাবে। ক্রিস্টাল স্কাই, মিডনাইট সায়ান, ব্ল্যাক এবং পার্পল এই চারটি আকর্ষণীয় রঙে বাজারে আসছে। তবে প্রি-বুকে শুধু ক্রিস্টাল স্কাই এবং ব্ল্যাক রঙ দুটি থাকছে। চলতি আগস্ট মাসের মধ্যেই প্রি-বুক দেয়া ক্রেতাদের কাছে ফোনটি পৌঁছে যাবে।
এই স্মার্টফোনটিতে ব্যবহৃত হয়েছে ৬.১ ইঞ্চির ইন-সেল এইচডি প্লাস ১৯:৯ রেশিওর ইউ-নচ আইপিএস ডিসপ্লে। পর্দার রেজ্যুলেশন ১৫৬০ বাই ৭২০ পিক্সেল। রয়েছে ২.৫ডি কার্ভড গ্লাসও। ফলে বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার এবং ভিডিও দেখা, গেম খেলা, বই পড়া বা ইন্টারনেট ব্রাউজিং হবে আরো প্রাণবন্ত।
অ্যান্ড্রয়েড ১০ অপারেটিং সিস্টেমে পরিচালিত ফোনটির উচ্চগতি নিশ্চিত করতে রয়েছে ১.৮ গিগাহার্টজ গতির ১২ ন্যানোমিটার হেলিও এ২০ প্রসেসর। উন্নতমানের গেমিং ও স্পষ্ট ভিডিওর অভিজ্ঞতা দিতে ব্যবহৃত হয়েছে পাওয়ার ভিআর জিই৮৩০০ গ্রাফিক্স। ৪ জিবি র‌্যাম ও ৬৪ গিগাবাইট অভ্যন্তরীণ মেমোরির সঙ্গে ২৫৬ জিবি পর্যন্ত মাইক্রো এসডি কার্ড ব্যবহার করা যাবে। ফলে অনেক বেশি ছবি, ভিডিও, ডকুমেন্টস ইত্যাদি সংরক্ষণ করা যাবে।
এই স্মার্টফোনের পেছনে রয়েছে এলইডি ফ্ল্যাশযুক্ত ট্রিপল অটোফোকাস ক্যামেরা। এফ ২.০ অ্যাপারচার সমৃদ্ধ এই ক্যামেরায় ব্যবহৃত হয়েছে ৫পি লেন্স ও পিডিএএফ প্রযুক্তি। ১/৩.০৬ ইঞ্চি সেন্সরের ১৩ মেগাপিক্সেলের সনি কামেরায় ছবি হবে নিখুঁত উজ্জ্বল ও রঙিন। ৫ মেগাপিক্সেলের সেকেন্ডারি ক্যামেরা দেবে ওয়াইড অ্যাঙ্গেলে ছবি তোলার সুবিধা। আর ০.৩ মেগাপিক্সেলের তৃতীয় ক্যামেরা নিশ্চিত করবে ছবি ডেফথ অব ফিল্ড।
দুর্দান্ত সেলফির জন্য এই ফোনের সামনে আছে এফ ২.২ অ্যাপারচার সমৃদ্ধ ৮ মেগাপিক্সেল ক্যামেরা। উভয় পাশের ক্যামেরায় ফুল এইচডি ভিডিও ধারণ করা যাবে। ক্যামেরায় নরমাল মোড ছাড়াও রয়েছে বোকেহ, বিউটি, কিউট মোড, ফেস ডিটেকশন, ডিজিটাল জুম, সেলফ টাইমার, অটো-ফোকাস, টাচ-ফোকাস, টাচ-শট, ফিংগার ক্যাপচার, ভলিউম ক্যাপচার, মিরর রিফ্লেকশনসহ আকর্ষণীয় সব ফিচার।
পর্যাপ্ত পাওয়ার ব্যাকআপের জন্য স্মার্টফোনটিতে ব্যবহৃত হয়েছে ৪০০০ মিলিঅ্যাম্পিয়ারের লিথিয়াম পলিমার ব্যাটারি। ভিওএলটিই বা ভোল্টি নেটওয়ার্ক সাপোর্টসহ ডুয়াল সিমের ফোরজি স্মার্টফোনটির অন্যান্য ফিচারের মধ্যে রয়েছে ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর, ডার্ক মোড, ফুল স্ক্রিন জেসচার নেভিগেশন, স্মার্ট ওয়েক আপ, মোশন জেসচার, কাস্ট স্ক্রিন, ওয়াই-ফাই, ব্লুটুথ, ল্যান হটস্পট, ওটিএ, ওটিজি, ফুল এইচডি ভিডিও প্লেব্যাক ও রেকর্ডিংসহ এফএম রেডিও।
বাংলাদেশে তৈরি এই স্মার্টফোনে রয়েছে বিশেষ রিপ্লেসমেন্ট সুবিধা। স্মার্টফোন কেনার ৩০ দিনের মধ্যে ত্রুটি ধরা পড়লে ফোনটি পাল্টে ক্রেতাকে নতুন আরেকটি ফোন দেয়া হবে। এছাড়াও, ১০১ দিনে প্রায়োরিটি বেসিসে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে ক্রেতা বিক্রয়োত্তর সেবা পাবেন। তাছাড়া, স্মার্টফোনে এক বছরের এবং ব্যাটারি ও চার্জারে ছয় মাসের বিক্রয়োত্তর সেবা তো থাকছেই।

Exit mobile version