টেলিকম

ফাইভজির পরীক্ষামূলক অপারেশন জুলাইয়ের শুরুতে

By Baadshah

June 15, 2018

এ বছরেই ফাইভজির পরীক্ষামূলক অপারেশন শুরু হবে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। গত মঙ্গলবার ঢাকার কাওরান বাজারের জনতা টাওয়ার সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কে তথ্যপ্রযুক্তি সাংবাদিকদের সংগঠন বাংলাদেশ আইসিটি জার্নালিস্ট ফোরামের (বিআইজেএফ) নতুন কার্যালয় উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।সভায় মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের বিশ্বের সঙ্গে সমানতালে পথ চলবে। ফাইভজির প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। চলতি বছরের জুলাইয়ের দ্বিতীয় সপ্তাহেই এই প্রযুক্তির পরীক্ষা চালানো হবে।‘হুয়াওয়ের প্রযুক্তিগত সহায়তায় এই পরীক্ষা করা হবে।’-উল্লেখ করেন মন্ত্রী।

তিনি উল্লেখ করেন, আমরা যেহেতু এখন ৪জি প্রযুক্তিতেই আছি তাই আমাদের এর পরবর্তী পর্যায়ে যেতে হবে। আর সেটা হচ্ছে ৫জি। এক প্রশ্নে জবাবে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ প্রথমবারের মতো সফলভাবে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট মহাকাশে পাঠিয়েছে। এখন আমরা স্যাটেলাইট-২ নিয়ে কাজ শুরু করতে যাচ্ছি। ইতিমধ্যে ফ্রান্স দ্বিতীয় স্যাটেলাইটের ক্ষেত্রে সহায়তা দিতে আগ্রহী বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

ইতোমধ্যে  বিশ্বে আগামী প্রজন্মের ফাইভজি নেটওয়ার্কের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে হুয়াওয়ে। পরীক্ষাটি চালানো হয় ইতালির টুরিন শহরে। ফ্রিকুয়েন্সির যথাযথ ব্যবহারের ফলে পরীক্ষাধীন নেটওয়ার্কটি ৩ গিগাবিট পর্যন্ত স্পিড তুলতে সক্ষম হয়েছে।তাদের প্রযুক্তির মাধ্যমে ফ্রিকুয়েন্সির প্রতি হার্জে এক সেকেন্ডে ৩০ বিট ডাটা স্থানান্তর করা যাবে। এর ফলে স্পেকট্রাম কম থাকলেও ডাটা স্পিড কমবে না।

বিআইজেএফের নতুন কার্যালয় উদ্বোধনের পাশাপাশি অনুষ্ঠানে ছিল ‘প্রযুক্তি বাজেট’ নিয়ে বিশেষ আলোচনা। এতে অংশ নেন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবির, বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির (বিসিএস) পরিচালক এ ইউ খান জুয়েল, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কল সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিংয়ের (বাক্য) সভাপতি ওয়াহিদ শরীফ, সাধারণ সম্পাদক তৌহিদ হোসেন, ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (আইএসপিএবি) সভাপতি এম এ হাকিম, সাধারণ সম্পাদক ইমদাদুল হক, ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব)অর্থ সম্পাদক মোহাম্মদ আবদুল হক-সহ বিআইজেএফের সদস্যরা।

অনুষ্ঠানে বাজেটে তথ্যপ্রযুক্তির নানা বিষয়ে নিজেদের মতামত তুলে ধরেন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং এবারের বাজেটে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের যে বিষয়গুলোতে আরও নজর দেওয়া প্রয়োজন সেগুলোও তুলে ধরেন। তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সংগঠনগুলোর এমন দাবির পরিপ্রেক্ষিতে মোস্তাফা জব্বার বলেন, বাজেটে তথ্যপ্রযুক্তির নানা বিষয় নিয়ে ঈদের পরে আমি আবার অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বসবো। তিনি সব সংগঠনগুলোকে তাদের সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো লিখিত আকারে জমা দেওয়ার অনুরোধ জানান। অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বিআইজেএফ সভাপতি আরাফাত সিদ্দিকী সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক সাব্বিন হাসান।