গত ফেব্রুয়ারিতে দেশে মোবাইল ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৮.৯৪ লাখ বৃদ্ধি পেয়ে মোট ১৫.৮৪ কোটিতে পৌঁছেছে । বিটিআরসি-এর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, এই মাসে গ্রাহক সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে দেশের সবগুলি অপারেটরের। তবে গ্রাহক সংখ্যা বৃদ্ধির হারে অন্য অপারেটরগুলির তুলনায় এগিয়ে রয়েছে বাংলালিংক।
গত জানুয়ারিতে বাংলালিংক-এর গ্রাহক সংখ্যা ছিলো ৩.৩৬৯ কোটি। ফেব্রুয়ারির শেষে এই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৩.৪০২ কোটিতে। অর্থাৎ, ফেব্রুয়ারিতে বাংলালিংক-এর গ্রাহক সংখ্যা বৃদ্ধির হার ছিলো ১.০%। একই সময়ে গ্রামীণফোন-এর গ্রাহক সংখ্যা ০.৬% হারে বৃদ্ধি পেয়ে ৭.৩৪৭ কোটি এবং রবি-এর গ্রাহক সংখ্যা ০.৩% হারে বৃদ্ধি পেয়ে ৪.৭০৩ কোটিকে দাঁড়ায়। এছাড়া ফেব্রুয়ারিতে টেলিটকের গ্রাহক সংখ্যা ০.৯% হারে বৃদ্ধি পেয়ে পৌঁছায় ৩৯.২ লাখে ।
টেলিকম খাতে গ্রাহক সংখ্যা অনুসারে বাজার দখলের ক্ষেত্রেও ফেব্রুয়ারিতে কিছু পরিবর্তন এসেছে। এক্ষেত্রে বাংলালিংক ও টেলিটকের বাজার দখলের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে যথাক্রমে ০.০৯% ও ০.০১%। অপরদিকে, গ্রামীণফোন ও রবি-এর বাজার দখলের পরিমাণ হ্রাস পেয়েছে যথাক্রমে ০.০১% ও ০.০৯% ।
বাংলালিংক-এর গ্রাহক সংখ্যা বৃদ্ধির বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির চিফ কর্পোরেট এ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমান বলেন, “গ্রাহক সেবার মান বৃদ্ধির লক্ষ্যে আমরা প্রতিনিয়ত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। গত বছর আমরা সর্বোচ্চ পরিমাণ স্পেকট্রাম ক্রয় করে গ্রাহক সেবার মান আরও বৃদ্ধি করতে সক্ষম হয়েছি। এই মুহূর্তে গ্রাহক প্রতি স্পেকট্রাম প্রদানের ক্ষেত্রে বেসরকারী অপারেটরগুলির মধ্যে শীর্ষে রয়েছে বাংলালিংক। উন্নত মানের সেবা প্রদানের কারণেই উল্লেখযোগ্য মাত্রায় বাংলালিংক-এর গ্রাহক সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।”
বাংলালিংক-এর মানসম্মত সেবার কারণে ভবিষ্যতেও এর গ্রাহক বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে বলে আশা করেন তাইমুর রহমান।