প্রযুক্তি খবর

ফেসবুকের ‘৫ লাখ পাউন্ড জরিমানা’!

By Baadshah

July 13, 2018

কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা কেলেঙ্কারিতে স্বচ্ছতার অভাব ও গ্রাহকের তথ্য সুরক্ষার নিশ্চয়তা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় ফেসবুকের ৫ লাখ পাউন্ড জরিমানা করতে যাচ্ছে যুক্তরাজ্যের ডেটা সুরক্ষা পর্যবেক্ষণ কর্তৃপক্ষ।। দেশটির ইনফরমেশন কমিশনার অফিস এ তথ্য জানিয়েছে।

ব্রিটেনের তথ্য কমিশনার এলিজাবেথ ডেনহাম বলেন, তথ্য সুরক্ষা আইনের অধীনে গ্রাহকদের যতটুকু সুরক্ষা দেয়া দরকার তা দিয়ে ফেসবুক ব্যর্থ হয়েছে। যারা এ ধরনের অন্যায় করে তাদের জরিমানা ও শাস্তি তাদের জন্যই। তবে আমার মূল লক্ষ হল আমাদের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় জনগণের বিশ্বাস পূণরায় ফিরিয়ে আনা।

যুক্তরাজ্যের ইনফরমেশন কমিশনার’স অফিস (আইসিও)-এর পক্ষ থেকে বলা হয়, এই দলগুলো ডেটা ব্রোকারদের কাছ থেকে মানুষের লাইফস্টাইলের তথ্য নিতে পারে, আর এসব তথ্য নিতে প্রয়োজনীয় মানুষের অনুমতি নেওয়া নাও হতে পারে। আইসিও জানিয়েছে যুক্তরাজ্যের লেবার পার্টি ‘এমা’স ডায়েরি’-কে ব্যবহারের কথা নিশ্চিত করেছে কিন্তু এ নিয়ে বিস্তারিত তথ্য দেয়নি। তবে এই ডেটা সরবরাহকারীদের মালিক প্রতিষ্ঠান লাইফসাইকেল মার্কেটিং ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ান-কে বলেছে, তারা আইসিও’র দাবির সঙ্গে একমত নয়।

ব্রেক্সিট গণভোটের প্রচারণা চালানোর সময় রাজনৈতিক প্রচারণায় ব্যক্তিগত ডেটা ব্যবহার নিয়ে চলমান এক তদন্ত শুরুর ১৬ মাস পর আইসিও এই পদক্ষেপ নিচ্ছে। এর মধ্যে জানা যায় লন্ডনভিত্তিক পরামর্শদাতা প্রতিষ্ঠান কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা তাদের হাতে যাওয়া লাখ লাখ ফেইসবুক ব্যবহারকারীর ডেটা মুছে ফেলার বিষয়টি নিশ্চিত করতে ব্যর্থ হয়েছে সোশাল জায়ান্টটি। যদিও কেমব্রিজ অ্যানালিটিকার দাবি ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে ফেইসবুকের অনুরোধ পাওয়ার পর এই ডেটা মুছে দিয়েছে।

ফেসবুকের প্রধান প্রাইভেসি অফিসার এরিন এগান এ বিষয়ে বলেছেন, আমরা আগেও বলেছি যে ২০১৫ সালে ক্যাম্বব্রিজ অ্যানালিটিকার বিষয়ে আমাদের আরও খতিয়ে দেখার এবং সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নেয়া উচিত ছিল। আমরা তথ্য সুরক্ষার বিষয়ে ব্রিটেনের তথ্য কমিশন ও যুক্তরাষ্ট্র ও অন্য দেশগুলোর সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করছি। আমরা তথ্য কমিশনের প্রতিবেদন পর্যবেক্ষণ করছি এবং এ বিষয়ে শীঘ্রই প্রতিক্রিয়া জানাবো।

এদিকে ব্রিটেনের আইটি সার্ভিস ম্যানেজম্যান্ট কোম্পানি ক্যাম্বব্রিজ অ্যানালিটিকার বিরুদ্ধেও গুরুতর অভিযোগ আনতে যাচ্ছে দেশটির ইনফরমেশন কমিশনার অফিস। কোম্পানিটি ফেসবুকের মতো সামাজিক প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য বিশ্লেষণ করে রাজনৈতিক দলগুলোকে সুবিধা দিয়ে থাকে।

সূত্র: গার্ডিয়ান