গুগল-ফেসবুক-ইউটিউবের বাংলাদেশে কোনো অফিস নেই। কিন্তু তারা অর্থ হাতিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। লাভের টাকা কি বাংলাদেশ সরকারকে কর হিসেবে দেবে? এতে আবার যারা অ্যাডসেন্স পাচ্ছেন কিংবা অন্য সুবিধা পাচ্ছেন তা বন্ধ হয়ে যাবে না তো?
বাংলাদেশ থেকে গুগল, ফেসবুক, ইউটিউবের মতো ওয়েবসাইটে দেওয়া বিজ্ঞাপনের লেনদেন থেকে সব ধরনের রাজস্ব আদায়ের নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট। বৃহস্পতিবার হাই কোর্ট এক রিটের আবেদনে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের বেঞ্চ অন্তর্বর্তীকালীন এই আদেশ দেন। আদেশে সার্চ ইঞ্জিন গুগল, ইয়াহু, ই-কমার্সের আন্তর্জাতিক প্লাটফর্ম অ্যামাজন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুক ও ভিডিও শেয়ারিং সাইট ইউটিউবসহ ইন্টারনেটভিত্তিক আন্তর্জাতিক সব প্লাটফর্ম থেকে বিজ্ঞাপন, ডোমেইন বিক্রি, লাইসেন্স ফিসহ সব ধরনের লেনদেন থেকে উৎসে কর, শুল্কসহ সব ধরনের রাজস্ব আদায় করতে বলেছেন। একই সঙ্গে বিজ্ঞাপন, ডোমেইন বিক্রি, লাইসেন্স ফিসহ সব ধরনের লেনদেনের বিপরীতে এসব প্লাটফর্ম থেকে আদায়যোগ্য উৎসে কর, শুল্কসহ সব ধরনের রাজস্ব আদায়ে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে অর্থ সচিব, আইন সচিব, ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব, তথ্য সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনর, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান, বিটিআরসির চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ নিউজ পেপারস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি, গুগল, ইয়াহু, আমাজন ও ইউটিউব কর্তৃপক্ষকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। গুগল, ফেইসবুক, ইউটিউবে বাংলাদেশ থেকে যাওয়া বিজ্ঞাপনের অর্থ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অবৈধ পথে যাচ্ছে বলে তা তদারকির মধ্যে আনতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হচ্ছিল।আগামী ২৫ জুন প্রতিবেদনটি আদালতে দাখিল করবে। ২৮ জুন বিষয়টি আদালতে পরবর্তী আদেশের জন্য ধার্য থাকবে। এর আগে গত ৯ এপ্রিল বিষয়টি নিয়ে আদালতের নির্দেশনা চেয়ে মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লবসহ সুপ্রিম কোর্টের ছয় আইনজীবী হাই কোর্টে রিট আবেদনটি করেন। আবেদনের পক্ষে হুমায়ুন কবির পল্লব ছাড়াও ছিলেন মো. কাউছার, মাজেদুল কাদের, সাজ্জাদুল ইসলাম ও অপূর্ব কুমার বিশ্বাস। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন।এর কয়েকদিন আগেও এক প্রাক-বাজেট আলোচনায় অর্থমন্ত্রী ফেইসবুক, গুগল, ইউটিউব, অ্যামাজন ইত্যাদির উপর কর আরোপের কথা জানিয়েছিলেন।