আপনি এখন হুটহাট করে দক্ষ না হয়ে আপওয়ার্কে অ্যাকাউন্ট করতে পারবেন না। বিশ্বের অন্য দেশের জন্য যে নিয়ম বাংলাদেশের জন্যও একই নিয়ম। আপওয়ার্ক সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, আগের চেয়ে আপওয়ার্ক কর্তৃপক্ষ কড়া। ভুয়া অ্যাকাউন্ট ও অদক্ষ কর্মী ঠেকাতে আপওয়ার্ক নানা ব্যবস্থা নিয়েছে। তবে আপওয়ার্কে বাংলাদেশি অ্যাকাউন্ট অ্যাপ্রুভাল বন্ধ হয়নি।
বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস আপওয়ার্ক বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সারদের অ্যাকাউন্ট অ্যাপ্রুভ করা বন্ধ করে দিয়েছে বলে গুঞ্জন চলছে অনেক দিন ধরেই। এই গুঞ্জনের কারণেই ফ্রিল্যান্সারদের অনেকেই এই মার্কেটপ্লেসে কাজের চেষ্টা করা থেকেও বিরত থাকছেন। কিন্তু আপওয়ার্ক কর্তৃপক্ষের মতে, বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সাররা এখানে অনেক ভালো করছে। বাংলাদেশ থেকে আপওয়ার্কের অ্যাকাউন্ট অ্যাপ্রুভালও বন্ধ হয়নি।
আর্টিকেল লিখে প্রতি মাসে কমপক্ষে ৫০ হাজার টাকা আয়
২০১৫ সালে বিশ্বের জনপ্রিয় দুটি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস ই-ল্যান্স ও ও-ডেস্ক যৌথভাবে আপওয়ার্ক নামে যাত্রা শুরু করে। ১৯৯৯ সালে যাত্রা শুরু পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এ মার্কেটপ্লেসটিতে ঝুঁকতে শুরু করেন বাংলাদেশি ফ্রিল্যান্সাররা। বর্তমানে বিশ্বব্যাপী পরিচালিত এই মার্কেটপ্লেসে রেজিস্টার্ড গ্রাহক রয়েছেন প্রায় ১২ মিলিয়ন এবং ক্লায়েন্ট রয়েছেন প্রায় পাঁচ মিলিয়নেরও বেশি। প্রতিবছর এই সাইটটিতে প্রায় তিন মিলিয়ন জব পোস্ট করা হয় যার মূল্যমান প্রায় এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
দেশের ফ্রিল্যান্সারদের মধ্যে অন্যান্য মার্কেটপ্লেসে যত মানুষ কাজ করেন তার চাইতে এই সাইটে ফ্রিল্যান্সারদের সংখ্যা অনেক বেশি। কিন্তু অনেক দিন ধরেই আপওয়ার্কে বাংলাদেশি অ্যাকাউন্ট অ্যাপ্রুভ করার ক্ষেত্রে ঝামেলায় পড়তে হচ্ছিল তাদের। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত ও পাকিস্তানের ফ্রিল্যান্সাররা যখন ৪৫ মিনিটেই অ্যাকাউন্ট অ্যাপ্রুভ করার চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিচ্ছেন তখন বাংলাদেশিরা ৪৫ দিনেও তাদের অ্যাকাউন্ট অ্যাপ্রুভ করাতে পারছেন না। তবে, যাদের অ্যাকাউন্ট আগেই অ্যাপ্রুভ হয়েছে তারা কাজ করতে পারছেন।
আপওয়ার্কের এক কর্মকর্তা বলেছেন, বাংলাদেশ থেকে প্রচুর অ্যাকাউন্টও খোলা হয়। কিন্তু এসব অ্যাকাউন্টের বেশিরভাগ অকেজো অবস্থায় পড়ে থাকে। বাংলাদেশে আগে আপওয়ার্কের কাজকর্ম দেখার লোক থাকলেও এখন নেই। তাই আন্তর্জাতিক মান অনুসরণ করা হচ্ছে। সে মানে পৌঁছালেই কেবল অ্যাকাউন্ট খুলে কাজ করা উচিত।
অনলাইনে অর্থ আয়ের ১০ সহজ উপায়
বাংলাদেশ থেকে যারা আপওয়ার্কে কাজ করতে চান তাদের অ্যাকাউন্টে অ্যাপ্রুভাল পাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু দিক-নির্দেশনাও দেয়া হয় আপওয়ার্কের পক্ষ থেকে। যেমন, অ্যাকাউন্টে সব ইনফরমেশন দিতে হবে। বিশেষ করে যোগ্যাতার জায়গাটি বিশেষভাবে পূরণ করতে হবে এবং ওই সম্পর্কিত একটি টেস্ট দিতে হবে। তবে এগুলো যে করতে হবে এমন নয় তবে করলে অ্যাকাউন্ট অ্যাপ্রুভাল সহজ হতে পারে। এছাড়া অ্যাপ্রুভাল রিকোয়েস্ট রিজেক্ট হলে যোগ্যতার অংশে কিছুটা পরিবর্তন এনে আবারও সাবমিট করতে হবে। বারবার সাবমিট করার পর অ্যাপ্রুভাল হতে ২৪ ঘণ্টা থেকে ২৪ দিনেরও বেশি সময় লাগতে পারে।