তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তিগত ও সংগ্রামী জীবনের ইতিহাস, তথ্য ও উপাত্ত তুলে ধরার জন্য ডিজিটাল মিডিয়া এই মুহূর্তে সবচেয়ে শক্তিশালী মাধ্যম। কারণ আমাদের শিশু-কিশোর ও তরুণরা তথ্য উপাত্ত পেতে এই মাধ্যম ব্যবহার করেন। তিনি বলেন একটি দেশ প্রেমিক প্রজন্ম গড়ে তুলতে তরুনদের কাছে বঙ্গবন্ধু কে চর্চার সুযোগ তৈরি করে দিতে হবে।
আর এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে করোনাতেও আইসিটি বিভাগ কোটি কোটি মানুষের কাছে বঙ্গবন্ধুকে পৌঁছে দিয়েছে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।
মুজিববর্ষ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে অনুষ্ঠিত বিশ্বের সর্ববৃহৎ আন্তর্জাতিক অনলাইন বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ চর্চা’বিষয়ে কুইজ প্রতিযোগিতা ‘মুজিব অলিম্পিয়াড’ এর বিজয়ীদের নাম ঘোষণাকালে প্রতিমন্ত্রী প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যক্তি, রাজনৈতিক ও রাষ্ট্রীয় কর্মজীবন সম্পর্কিত বিষয়াবলি নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ঘরের লক্ষ্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের আইসিটি অধিদপ্তর এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে ।
বঙ্গবন্ধু হত্যার পর মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন বর্তমান ও আগামী প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হিসেবে গড়ে উঠতে এ অনলাইন প্ল্যাটফর্মটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। তিনি মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস, জাতির পিতার জীবনআর্দশ, দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে নিজেদেরকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ সৈনিক হিসেবে গড়ে উঠতে নতুন প্রজন্মের প্রতি আহবান জানান।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব নিয়াজ মোহাম্মাদ জিয়াউল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইসিটি অধিদপ্তর মহাপরিচালক এ বি এম আরশাদ হোসেন, সিআরআই সমন্বয়ক তন্ময় আহমেদ।
ভার্চুয়াল মাধ্যমে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এসময় তিনি জানান, বিজয়ীদের শারীরিক ভাবে উপস্থিত হতে পারার সুযোগ না থাকায় স্থানীয় জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে তাদের কাছে এক লক্ষ টাকা করে পুরস্কার পৌঁছে দেয়া হবে। বিজয়ীরা আগামী ১৪ জুলাইয়ের মধ্যে প্রত্যেকেই নিজ নিজ জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে পুরস্কারের টাকা গ্রহণ করবেন।
উল্লেখ্য, মুজিব অলিম্পিয়াডে ‘অনলাইন কুইজ’ পর্বে ১০ জন এবং ‘আমার বঙ্গবন্ধু প্রতিযোগিতা’য় বিজয়ী হয়েছেন ১২ জন।
কুইজের শত প্রশ্নের সঠিক জবাব দিয়ে ১০ বিজয়ীর মধ্যে রয়েছেন ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মোঃ নাজিব আলম ও মুহাম্মাদ আতিকুল্লাহ, বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজের রাজলক্ষ্মী মন্ডল ও সাবিত ইবনে মুয়াজ,ভোলার চরফ্যাশনের শেখ মাহের আনসারি মাহিম, নেত্রকোনার আব্দুল্লাহিল রাকিব আল হাসান,বগুড়ার সদরের মুহাম্মাদ কামরুজ্জামান জারিফ, গাইবান্ধার তালহা জুবায়ের এবং ঢাকার মিরপুরের মার্জু আলম ও জিগাতলার সিফাত রাব্বি প্রিয়ম।
এছাড়াও আমার বঙ্গবন্ধু প্রতিযোগিতায় বিজয়ীরা হলেন- নারায়ণগঞ্জের সিদরাতুল মুনতাহা,ঢাকার ইসরাত জাহান নূর ইভা, বর্ণিক বৈশ্ব, সাইফুল ইসলাম খান, আফিদ নূর, পিরোজপুরের চন্দ্রিকা মণ্ডল, গোপালগঞ্জ থেকে বিশ্বজিৎ সরকার, পটুয়াখালীর এ এন এম আকিব, ঝালকাঠির শতদল বিশ্বাস,জয়পুর হাটের হাবিবা সুলতানা বৃষ্টি, শরীয়তপুরের দেওয়ান ফারিয়া তাসনিম এবং নরসিংদীর মোছামাৎ তহুরা আক্তার তন্বি।