দেশ

“বঙ্গবন্ধু ইনোভেশন গ্র্যান্ট” পেল স্টুডেন্ট টু স্টার্টআপের সেরা ১০ স্টার্টআপ

By Baadshah

October 19, 2019

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের আওতায় বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল এর অধীনে “উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন একাডেমী প্রতিষ্ঠাকরণ প্রকল্প” (আইডিয়া) এর মাধ্যমে সেরা ১০ স্টার্টআপ পেল “বঙ্গবন্ধু ইনোভেশন গ্র্যান্ট”। ‘আমার উদ্ভাবন, আমার স্বপ্ন’- এই স্লোগানকে সামনে রেখে শুরু হয়েছিল শিক্ষার্থীদের জন্য জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতা “স্টুডেন্ট টু স্টার্টআপ” এর দ্বিতীয় অধ্যায়।

১৬ অক্টোবর ২০১৯ বুধবার, “বঙ্গবন্ধু ইনোভেশন গ্র্যান্ট” স্টার্টআপদের হাতে তুলে দেওয়া হয় ডিজিটাল ডিভাইস অ্যান্ড ইনোভেশন এক্সপো ২০১৯ এর সমাপনী অনুষ্ঠান ঢাকার প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁয়ে। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী টিপু মুনশি, এমপি; বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ি সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আলহাজ এ কে এম রহমত উল্লাহ এমপি, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম এবং গেস্ট অব অনার হিসেবে ছিলেন ডব্লিউ.আই.টি.এস- এর মহাসচিব. ডাঃ. জামেস এইচ পিসান্ট। এছাড়াও ছিলেন বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক অথরিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসনে আরা বেগম, “উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন একাডেমী প্রতিষ্ঠাকরণ প্রকল্প” (আইডিয়া) এর পরিচালক (যুগ্ম-সচিব) জনাব সৈয়দ মজিবুল হক, বিসিএস এর সভাপতি মো. শাহিদ-উল-মুনীর, সেন্টার ফর রিসার্চ এন্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) এর সমন্বয়ক তন্ময় আহমেদ সহ আরো অনেকে। অনুষ্ঠানটি সভাপতিত্ব করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী জনাব জুনাইদ আহ্‌মেদ পলক এমপি।

প্রধান অতিথি হিসেবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী টিপু মুনশি, এমপি এ ধরনের আয়োজনের জন্য আয়োজকদের ধন্যবাদ জানিয়ে তার দেশের বিভিন্ন অভিজ্ঞতার বর্ণনা করেন। তিনি বলেন যে, দেশ এখন অনেক দূর এগিয়ে গেছে। বঙ্গবন্ধু একটি স্বপ্ন দেখেছিলেন সোনার বাংলার। ভেবেছিলেন একটি বাংলাদেশ হবে সোনার বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে সেই স্বপ্ন ধারণ করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দিনরাত পরিশ্রম করে এই দেশকে আজকের এই উন্নয়নের অবস্থায় নিয়ে এসেছেন। তিনি বিশ্বাস করেন বাংলাদেশ পথ হারাবে না কখনও, এগিয়ে যাবেই যাবে।

বিশেষ অতিথি হিসেবে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আলহাজ এ কে এম রহমত উল্লাহ এমপি বলেন তথ্য প্রযুক্তিতে উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশ বিশ্বের কাছে এখন আইকন স্বরূপ এবং বাংলাদেশ এক উন্নয়নের মহাসড়কে বর্তমান আছে। তথ্য প্রযুক্তির কল্যাণে দুর্যোগ প্রশমন এর ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এখন একটি রোল মডেল হিসেবেও চিহ্নিত। এই ধরনের মেলা আয়োজনের জন্য তিনি অত্যন্ত আনন্দ প্রকাশ করেন এবং একই সাথে আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান।

বিশেষ অতিথি হিসেবে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম বলেন যে এই আয়োজনটি একটি স্বার্থক আয়োজন। আমরা যা চেয়েছিলাম তার থেকে অনেক বেশি অর্জন করতে পেরেছি এই মেলা থেকে। আমাদের তরুনদের ইনোভেশন আমাদের এই মেলাতে আশা দর্শকদের পাশাপাশি বিনিয়োগকারীদেরও দৃষ্টিআকর্ষন করতে পেরেছে আমাদের স্টার্টআপরা। এই মেলায় সেমিনার বা অন্যান্য আয়োজনের মাধ্যমে বেশকিছু তথ্য, উপদেশ ও পরামর্শ এসেছে যা আমাদের আগামী দিনের পথচলতে সাহায্য করবে বলে জানান।

সভাপতির বক্তব্যে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্‌মেদ পলক এমপি বলেন যে ২০২০ ও ২০২১ মুজিব বর্ষ উপলক্ষ্যে তথ্য প্রযুক্তি পরিবার নিয়েছে হান্ড্রেড প্লাস স্ট্র্যাটেজি। ২০২০ সালে আইসিটি বিভাগের সকল কর্মকর্তা স্বাভাবিকের চেয়ে অন্তত ১০০ ঘন্টা বেশি কাজ করবে। একই সাথে সবাই মিলে ১০০ এর বেশি সার্ভিস নিয়ে আসা হবে। এই প্রথমবারের মত “বঙ্গবন্ধু ইনোভেশন গ্র্যান্ট” ১০ স্টার্টআপদের দেওয়া হলেও ভবিষ্যতে আরো ১০০ স্টার্টআপদের ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হবে। যারা পায়নি তারাও ভবিষ্যতে আইডিয়া প্রকল্পে সরাসরি আবেদন করতে পারেন। তিনি বিশ্বাস করেন যে এই স্টার্টআপরাই আগামীতে সারাবিশ্বে নেতৃত্ব দিতে পারবে। এই উদ্দেশ্য নিয়েই স্টুডেন্ট টু স্টার্টআপ এর মত কার্যক্রম শুরু করা হয়েছিল।

“উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন একাডেমী প্রতিষ্ঠাকরণ প্রকল্প” (আইডিয়া) এর পরিচালক (যুগ্ম-সচিব) জনাব সৈয়দ মজিবুল হক ডিজিটাল ডিভাইস অ্যান্ড ইনোভেশন এক্সপো ২০১৯ এর মাধ্যমে স্টার্টআপদেরকে তাদের পন্য এবং সেবা সকলের নিকট তুলে ধরার সুযোগ প্রদানের জন্য বিশেষ ধন্যবাদ জানান। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের ও তার পূর্ণাঙ্গরূপ দেবার জন্য কাজ করে যাবেন। তিনি স্টার্টআপদের এই অনুদান গ্রহণ করে তাদের পন্য বা সেবার উন্নয়নের জন্য অনুপ্রাণিত করেন এবং সীড ও গ্রোথ স্টেজেও স্টার্টআপদের আইডিয়া প্রকল্পের মাধ্যমে ভবিষ্যৎ ফান্ডিং এর ক্ষেত্রে পাশে থাকবেন বলে আশা ব্যক্ত করেন।

১৬ অক্টোবর ২০১৯, বুধবার এই প্রতিযোগীতার জাতীয় স্টার্টআপ ক্যাম্প থেকে প্রাপ্ত সেরা ৩০ স্টার্টআপ কে নিয়ে শুরু হয় এই আয়োজনের চূড়ান্ত সেরা ১০ স্টার্টআপ নির্বাচনের পিচিং সেশন। ডিজিটাল ডিভাইস অ্যান্ড ইনোভেশন এক্সপো ২০১৯ আয়োজনের শেষ দিন ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের হল অব ফেইম-এ এই চূড়ান্ত পিচিং সেশন অনুষ্ঠিত হয়। দেশের অভিজ্ঞ বিচারক ও আইডিয়া প্রকল্পের বাছাইকমিটি চূড়ান্ত বাছাই কার্যক্রম সম্পন্ন করে। এবারই প্রথমবারের মত বঙ্গবন্ধু ইনোভেশন গ্র্যান্ট” প্রদান করা হল শীর্ষ ১০ স্টার্টআপকে। প্রত্যেকে ১০ লক্ষ টাকা করে মোট ১ কোটি টাকা অনুদান প্রদান করা হয়। সেই সঙ্গে শীর্ষ ৩০-এ থাকা অপর ২০ স্টার্টআপ রানারআপ হিসেবে আইডিয়া প্রকল্প থেকে গ্রুমিং ও বিশেষ প্রশিক্ষণ নেয়ার সুযোগ পাবে। প্রশিক্ষণ শেষে স্টার্টআপগুলো প্রস্তুত হলে তাদের জন্যও অনুদান প্রদান করবে আইডিয়া প্রকল্প। প্রায় ২৫০০ স্টার্টআপ তাদের উদ্ভাবনী আইডিয়া নিয়ে এই প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণ করে। এদের মধ্য থেকে প্রাথমিকভাবে ৮ টি বিভাগ এর ২৪ টি ভেন্যু থেকে ৭৫ টি স্টার্টআপ বাছাই করা হয়। এবারে সাভারের শেখ হাসিনা জাতীয় যুব উন্নয়ন কেন্দ্রে “স্টুডেন্ট টু স্টার্টআপ: চ্যাপ্টার ২” এর জাতীয় স্টার্টআপ ক্যাম্পে, ৭৫ টি স্টার্টআপ থেকে প্রায় দুইশতাধিক শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেছে।

যে ১০ টি স্টার্টআপ “বঙ্গবন্ধু ইনোভেশন গ্র্যান্ট” পেল-

ঝুপরি ডটকম, ভিশন আইটি, ওয়ার্ল্ড এক্সজাম্পল, ইলেকট্রিক স্কেটেবল অ্যান্ড ওয়াকেবল সু, এডুবট, অবসর, ডিজিটং, ক্রস রোড ইনিশিয়েটিভ, ব্ল্যাকবোর্ড এবং কগনিশন ডট এআই।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের আওতায় বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল এর অধীনে “উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন একাডেমী প্রতিষ্ঠাকরণ প্রকল্প” (আইডিয়া) দ্বিতীয় বারের মত আয়োজন করছে প্রতিযোগিতাটি। উদ্ভাবনী ভাবনা ও উদ্যোক্তা খোঁজার এই আয়োজনের সহোযোগিতায় আছে সেন্টার ফর রিসার্চ এন্ড ইনফরমেশন (সিআরআই) এর ‘ইয়াং বাংলা’ প্ল্যাটফর্ম। আইডিয়া প্রকল্প সংক্রান্ত বিস্তারিত স্টার্টআপ বাংলাদেশ এর ওয়েবসাইট www.startupbangladesh.gov.bd পাওয়া যাবে।

#ICTDivision

#Student2StartupBD

#StartupBangladesh

#BCC

#iDEA

#CRI

#YoungBangla

#DigitalBangladesh