বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর বাণিজ্যিক কার্যক্রম আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হতে যাচ্ছে। দেশের প্রথম এ স্যাটেলাইট থেকে পরিষেবা নিতে ৪৫টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ ছাড়াও আরও একাধিক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান আগ্রহ দেখিয়েছে।
উন্নত বিশ্বের পাশাপাশি সামরিক ও রাজনৈতিক প্রয়োজনে মহাকাশে স্যাটেলাইট পাঠানোর প্রতিযোগিতা শুরু হলেও এখন হয়ে উঠেছে অর্থনীতির একটি বড় সম্ভাবনা। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের মাধ্যমে এ খাতে বিনিয়োগের ফলে দেশের আর্থসামাজিক কাঠামোতেও ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। সম্প্রচার যোগাযোগ ও আবহাওয়ার নানা তথ্য সংগ্রহের পাশাপাশি মহাকাশ হয়ে উঠেছে প্রকৃতি সুরক্ষা ও খনিজ সম্পদ সন্ধানেরও বড় মাধ্যম। ফলে বিশ্বজুড়ে এখন মহাকাশ বিজ্ঞান পরিণত হয়েছে মহাকাশ বাণিজ্যে।
ফাইবার অ্যাট হোম প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা সুমন আহমেদ সাব্বির বলেন, স্যাটেলাইট প্রযুক্তিনির্ভর আরও অনেক শিল্প গড়ে উঠবে। জিপিএসনির্ভর, স্যাটেলাইট ট্রাকিং নির্ভরসহ নানা ধরনের ব্যবসা তৈরি হয়েছে। সেগুলো হয়তো একটা স্যাটেলাইটে হবে না, ভবিষ্যতে আরও মাল্ট্রিপল স্যাটেলাইটের প্রয়োজন হবে। অথবা এই স্যাটেলাইটের সঙ্গে অন্য স্যাটেলাইট ব্যবহার করে আমরা বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজে লাগাতে পারব।
মহাকাশবিষয়ক প্রতিষ্ঠান প্লেনেটের গবেষণা থেকে জানা গেছে, ১৭টি এলজিজি লক্ষ্যমাত্রায় ১২টি অর্জনে সহায়তা করবে স্যাটেলাইট থেকে পাঠানো তথ্য। মহাকাশ থেকে পাঠানো ছবি ও তথ্যে কৃষি উৎপাদন বাড়ানো যাবে। তৃণমূলের টেডিকরণ ব্যবস্থায় শিক্ষা ও স্বাস্থ্যখাতে অগ্রগতি আসবে, দূর হবে অর্থনৈতিক বৈষম্য।
বিটিআরসি সাবেক চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশে কেউ সুবিধা পাচ্ছে, কেউবা সুবিধা পাচ্ছে না, সেখানে স্যাটেলাইট একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। সেসব এলাকাতে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ইন্টারনেট এবং টেলিকমিউনিকেশন সেবা প্রদান করে আমরা ডিজিটাল ডিভাইট দূর করব।
ইনভেস্টমেন্ট ফার্ম স্পেসের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে বৈশ্বিক মহাকাশ বাণিজ্য উন্নীত হয়েছে ৩৬০ মিলিয়ন ডলারে- যা ২০২৬ সাল নাগাদ ৫৬৮ মিলিয়ন ডলারে দাঁড়াবে।
তথ্যসূত্র:যুগান্তর
আরও পড়ুন: