চুক্তিটি আরো পরিবেশ-বান্ধব উপায়ে শিল্পখাত, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও ব্যবহারকারীদের রিসাইকেল এবং বর্জ্য ব্যবহারকে পরিমিত করতে উৎসাহিত করবে বলে প্রত্যাশা করা যাচ্ছে।

ই-কমার্স

বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে উৎসাহিত করতে চুক্তিবদ্ধ হল দারাজ এবং বিডি রিসাইকেল টেকনোলজিস

By Baadshah

May 24, 2022

উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা ও দীর্ঘমেয়াদী অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যে সম্প্রতি বিডি রিসাইকেল টেকনোলজিস লিমিটেডের (বিআরটিএল) সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে দেশের শীর্ষস্থানীয় অনলাইন মার্কেটপ্লেস দারাজ বাংলাদেশ লিমিটেড। (http://daraz.com.bd)। এ চুক্তির আওতায়, প্রতিষ্ঠান দু’টি পরিবেশের ওপর মানুষের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলায় বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে বৈশ্বিক লক্ষ্য অর্জনে কাজ করবে। চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে দারাজ বাংলাদেশের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির চিফ করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার এএইচএম হাসিনুল কুদ্দুস (রুশো); আহসান জামিল, ম্যানেজার-সিএসআর অ্যান্ড সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট এবং মশিউর রহমান, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ, সিএসআর অ্যান্ড সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট। অন্যদিকে, বিআরটিএল’র পক্ষে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী সৈয়দ আমিন; সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুস সাদাত এবং বিজনেস ডেভেলপমেন্ট বিভাগের ম্যানেজার হাসিবুল হাসান হিমেল। এ চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানটি রাজধানীর বনানীতে অবস্থিত দারাজের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে পরিবেশ দূষণের ক্রমবর্ধমান উদ্বেগ ও বায়োনেটওয়ার্কের ওপর এর নেতিবাচক বিষয়গুলোকে চিহ্নিত করে দারাজের চিফ করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার এএইচএম হাসিনুল কুদ্দুস (রুশো) বলেন, “দারাজে আমরা দৃষ্টান্তমূলক নানা উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে নিরলস আমাদের দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করি, সেটা করপোরেট ক্ষেত্র হোক কিংবা মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষা সংশ্লিষ্ট। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাগুলো সম্পর্কে আমরা অবগত। বাংলাদেশ সরকার নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে এ লক্ষ্যগুলো পূরণে বহুমুখী নানা উদ্যোগ গ্রহণ করে যাচ্ছে। আমরাও এ অগ্রগতির পথে সহযোগী হিসেবে কাজ করে যেতে চাই। তাই, আমরা সুরক্ষা ও টেকসই বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ক্রমবর্ধমান উদ্বেগ নিরসনে বিডি রিসাইকেল টেকনোলজিসের সাথে চুক্তি করেছি।”

এ পার্টনারশিপটি দারাজে’র বেশ কিছু ইতিবাচক সিএসআর উদ্যোগুলোর একটি। এ চুক্তিটি আরো পরিবেশ-বান্ধব উপায়ে শিল্পখাত, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও ব্যবহারকারীদের রিসাইকেল এবং বর্জ্য ব্যবহারকে পরিমিত করতে উৎসাহিত করবে বলে প্রত্যাশা করা যাচ্ছে। এ উদ্যোগটি বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোকে ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের অভিমুখে যেতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।