ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ড. ওয়াজেদ মিয়া শ্রেষ্টতম বিজ্ঞানী হওয়া সত্বেও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ স্বাধীন সত্ত্বা এবং এ দেশটি অর্জনের ক্ষেত্রে তার অবদান ছিল অসাধারণ ও অপরিসীম।
তিনি বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বর্তমানে দেশের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির যে সোপান তৈরি করেছেন এর প্রেরণাদাতা ছিলেন ড. ওয়াজেদ মিয়া। প্রধানমন্ত্রীরস্বামী হয়েও ওয়াজেদ মিয়া সাধারণ মানুষের মত জীবন যাপন করেছেন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন বঙ্গবন্ধুর জামাতা হিসেবে বস্তুতপক্ষে যে পরিমাণ বা যেভাবে বিভিন্ন জায়গায় উপস্থিতি থাকা প্রয়োজন ছিল তা তিনি সচেতনভাবে এড়িয়ে গেছেন।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগে প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করছিলেন। মন্ত্রী আজ আগারগাঁওস্থ আইসিটি টাওয়ারের বিসিসি’র মিলনায়তনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার দশম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করছিলেন।
মোস্তাফা জব্বার বলেন একটি জাতির সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য সবচেয়ে বড় প্রয়োজন হচ্ছে বিজ্ঞান চর্চা। ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান চর্চার ক্ষেত্রে পথ দেখিয়ে গেছেন। তিনি বলেন আজকে আমরা যখন ডিজিটাল বাংলাদেশের কথা বলি, চতুর্থ বিপ্লবের কথা বলি তখন কিন্তু বিজ্ঞান চর্চার বিষয়টি সামনে চলে আসে।
ড. ওয়াজেদ মিয়ার মতো মানুষের অনেক দরকার ছিল উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন আশা করি আমাদের নতুন প্রজন্ম থেকে ড. ওয়াজেদ মিয়াকে অনুসরণ করার মতো আমরা অনেক সন্তান পাবো, যারা বিজ্ঞান চর্চা করবে, পৃথিবীর ডিজিটাল রুপান্তরে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখবে।
প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক বলেন ড. ওয়াজেদ মিয়া দেশবরণ্য বিজ্ঞানীই ছিলেন না, তিনি ছিলেন নির্লোভ, নিরহংকারী সাহসী দেশপ্রেমিক, রাজনীতিবিদ ও দায়িত্বশীল স্বামী। ওয়াজেদ মিয়া ছিলেন তীক্ষ্ণ মেধাবী ছাত্র। ছাত্রলীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হলের ছাত্র সংসদের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি ওয়াজেদ মিয়ার শিক্ষা ও জ্ঞানের আদর্শে অনুপ্রাণীত হয়ে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলার উপর গুরুত্বারোপ করেন।