চাপ—সে তো সব অফিসেই থাকে! সে গুগল হোক, আর ফেসবুক। সভায় বসের ঝাড়ি বা কোনো বিষয়ে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ে কর্মীদের নাজেহাল অবস্থাও প্রায় সব অফিসেই হয়ে থাকে। এ থেকে মুক্তির উপায় কী? উপায় হচ্ছে মেডিটেশন বা ধ্যান। গুগলের কর্মীরাও এটি খুব ভালোভাবেই জানেন। তাই তাঁরা নিয়ম করেই নিয়েছেন যে সভার আগে-পরে তাঁরা কিছুটা সময় ধ্যান করবেন। এতে তাঁদের মনোযোগ ঠিক থাকে। গুগলের এন্টারপ্রেনার্সদের নিয়ে কাজ করা পার্টনারশিপ টিমের কর্মী কনর সোয়ানসন এ তথ্য জানান। দ্য নেক্সট ওয়েব সম্মেলনে কথা বলার সময় সোয়ানসন জানান, কাজের ক্ষেত্রে উৎপাদনশীলতা বাড়াতে ও মিটিংয়ের বিষয়গুলো ঠিকমতো মানিয়ে নিতে মিটিংয়ের আগে ও পরে এক মিনিট ধ্যান করা হয়। তবে সবকিছু গুছিয়ে×ঠিকঠাক করে নিয়ে এটা করতে হবে—এমন নয়। জীবনের খুব গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের প্রয়োজনে এ ধ্যান করা, বিষয়টি তা নয়। বরং চারপাশের পরিস্থিতি সম্পর্কে কয়েক সেকেন্ডে একটু বুঝে নেওয়া। এর আগে ২০১৭ সালে উইয়ার্ড ম্যাগাজিনের এক প্রতিবেদনে গুগলের কর্মীরা মিটিংয়ের পর কীভাবে ধ্যান করে সবকিছু ঠিকঠাক করেন তা উঠে আসে। চ্যাড-ম্যানং টান নামের গুগলের এক কর্মী গুগলের সব কর্মীর জন্য সাত সপ্তাহের একটি মেডিটেশন কোর্স চালু করেছিলেন। ওই কোর্সকে বলা হতো ‘সার্চ ইনসাইড ইয়োরসেলফ’। এটি দারুণ জনপ্রিয় হয়েছিল। গুগল, অ্যাপল বা ফেসবুকের মতো অফিসে কাজ পাওয়া যতটা দারুণ বলে মনে হয়, এর চ্যালেঞ্জ ও সমস্যাগুলো তেমনই জটিল। গুগলের ক্ষেত্রে যদি প্রতিষ্ঠানের উৎপাদনশীলতা বাড়াতে এবং কর্মীদের চাপ নিয়ন্ত্রণে ধ্যানের পদ্ধতি গ্রহণ করা হয়, ভবিষ্যতে হয়তো অন্যান্য প্রতিষ্ঠানেও এটি চালু হয়ে যেতে পারে।