দেশ

বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোর বৈপ্লবিক রূপান্তর করতে পারে ডাটা অ্যানালাইটিক্স

By Baadshah

November 05, 2019

দেশের শীর্ষস্থানীয় আইটি ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনিয়োগকারী কোম্পানি ইজেনারেশন লিমিটেড এবং মাইক্রোসফট যৌথভাবে ‘ডিজিটাল ফাস্ট – মর্ডান ওয়ার্কপ্লেস : এনগেজড কাস্টোমারস, এমপাওয়ার্ড এমপ্লয়িজ অ্যান্ড অপটিমাইজড অপারেশনস’ শীর্ষক গোলটেবিল আয়োজন করেছে।  ডাটা, শক্তিশালী ম্যাট্রিক্স এবং অ্যানালাইটিক্যাল টুলস ব্যবহার করে ওয়ার্কপ্লেস ইনসাইট তৈরি করা, কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি, কর্মীদের সম্পৃক্ততা বাড়ানো এবং ব্যবসায় প্রক্রিয়ার প্রবৃদ্ধি বিষয়ে আলোচনা ও কৌশল নির্ধারণের জন্য রবিবার রাজধানীর দ্য ওয়েস্টিন ঢাকায় এই গোলটেবিলের আয়োজন করা হয়।  অনুষ্ঠানে বিভিন্ন খাতের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা (সিটিও) এবং তথ্যযুক্তি বিভাগের প্রধানরা অংশগ্রহণ করেন।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ইজেনারেশনের চেয়ারম্যান শামীম আহসান এবং স্বাগত বক্তব্য রাখেন মাইক্রোসফট বাংলাদেশ, ভুটান, ব্রুনাই দারুসসালাম এবং নেপালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফিফ মোহাম্মদ আলী।  এসময় ডাচ-বাংলা ব্যাংক লিমিটেডের চেয়ারম্যান সায়েম আহমেদ, আইপিডিসি ফিন্যান্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মমিনুল ইসলাম বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।  গোলটেবিলে অন্যান্যের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল সেলিম আহমেদ খান, ইজেনারেশনের নির্বাহী ভাইস চেয়ারম্যান এসএম আশরাফুল ইসলাম; তাহের আহমেদ চৌধুরী, উপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ইসলামি ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড; ওমর ফারুক খন্দকার, প্রধান তথ্য প্রযুক্তি কর্মকর্তা, সোনালি ব্যাংক লিমিটেড; মোঃ মইনুল ইসলাম, প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা, লংকা বাংলা সিকিউরিটিস; শ্যামল বি দাশ, প্রধান ডিজিটাল কর্মকর্তা, ব্রাক ব্যাংক লিমিটেড প্রমুখ।

ইজেনারেশনের চেয়ারম্যান শামীম আহসান বলেন, সকল বৃহৎ ডিজিটাল ইকোনমিতে ডাটাকে নতুন চালিকাশক্তি হিসেবে ধরা হয়।  আগামীতে বাংলাদেশের সকল পাবলিক এবং প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানকে পরিচালনার জন্য ডাটাকে ইনসাইট হিসেবে প্রস্তুত করা আবশ্যক হয়ে পড়বে। প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রতিদিনের কার্যক্রমে বিশাল পরিমান ডাটা তৈরি হয়, যা উৎপাদনশীলতায় প্রভাব, জনবলের কার্যকারিতা এবং কর্মীদের সম্পৃক্ততায় ব্যবহার করা যাবে। বিশ্বব্যাপী যেসব কোম্পানি এর গুরুত্ব বুঝতে পেরেছে তারা অধিক লাভের জন্য সেটি বাস্তবায়ন করেছে। এখন সময় বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোকেও ডাটার যথাযথ ব্যবহার করা এবং ইনসাইটের মাধ্যমে তাদের টিমের কাজের ধরণে নতুন রূপান্তর করা।

মাইক্রোসফট বাংলাদেশ, ভুটান, ব্রুনাই দারুসসালাম এবং নেপালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফিফ মোহাম্মদ আলী বলেন, চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের এই যুগে, সকল সিএক্সও’দের কাছেই নিরাপত্তা সবচেয়ে বড় বিষয় বিষয়। সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানগুলো ক্লাউড সেবা বাস্তবায়ন শুরু করেছে।  এটা শুধুমাত্র কার্যকারিতা এবং খরচ কমানোর জন্য নয়, পাশাপাশি ব্যবসায়ের কৌশলগত লক্ষ্য অর্জন করা এবং বিদ্যমান সল্যুউশনের সাথে নিরাপত্তা ও প্রাইভেসির মানও বাড়ানো। গার্টনার ২০১৯ সালে এন্ডপয়েন্ট প্রোটেকশন প্লাটফর্ম এবং ক্লাউড অ্যাক্সেস সিকিউরিটি ব্রোকার (সিএএসবি) এর নেতৃত্বদানকারী হিসেবে মাইক্রোসফটকে স্বীকৃতি দিয়েছে।  আমরা যেহেতু শক্তিশালী ও নতুন কার্যক্ষমতা সম্পন্ন সল্যুউশন তৈরি করছি, সেখানে মাইক্রোসফটের সিকিউরিটি অ্যান্ড আইডেন্টি পোর্টফোলিওর সেরা সল্যুউশনকে ইন্টিগ্রেট করা হচ্ছে।  এর মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশি গ্রাহকদের তাদের পোর্টফোলিওর সাথে পুরোপুরি ইন্টিগ্রেটেড সল্যুইশন প্রদান করতে সক্ষম হচ্ছি।

সাম্প্রতিক জরিপে দেখা গেছে গ্লোবাল ২০০০ সিইও’দের ৬৬ শতাংশই দ্রুতবর্ধমান নতুন প্রবৃদ্ধির জন্য তাদের কর্পোরেট কৌশলে ডিজিটাল রূপান্তর বাস্তবায়ন করেছেন।  আগামী কয়েক বছরের মধ্যে ৫০ শতাংশের অধিক জনবল ২০০০ শতাব্দির হবে, যারা তাদের কোম্পানির লক্ষ্যের সাথে তাল মিলিয়ে আরও উন্মুক্ত সহযোগি কর্মক্ষেত্র, উদ্দেশ্য সম্পর্কে অধিক সচেতন এবং গভীর সম্পৃক্ততাকে প্রাধান্য দেবে।  বিশেষজ্ঞরা ধারণা করেন, আগামী ২০২০ সালের মধ্যে ডিজিটাল ডাটার পরিমান হবে ৪৪ জেট্টাবাইটস, যা ২০১৩ সালের তুলনায় ১০ গুন বেশি।

স্থানীয় পাবলিক এবং প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানগুলো যাতে ইন্টেলিজেন্ট ক্লাউড এবং ইন্টেলিজেন্ট এজের সুবিধা গ্রহণ করতে পারে সেই লক্ষ্যে মাইক্রোসফটের সাথে যৌথভাবে কাজ করছে ইজেনারেশন।  মাইক্রোসফটের একমাত্র বাংলাদেশি এলএসপি হিসেবে ব্যবসায় মান পুন:গঠন, কর্মী ও গ্রাহকদের পার্সোনালাইজড অভিজ্ঞতা এবং ব্যবসায় প্রক্রিয়াকে অপটিমাইজেশনের মাধ্যমে জনগন, ডাটা এবং প্রক্রিয়াকে একত্রীকরণ করে দেশের ডিজিটাল রূপান্তরে সরকার, মাইক্রোসফট এবং অন্যান্য অংশীদারদের সাথে একাত্মভাবে কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি।  গ্লোবাল সিস্টেমস ইন্টিগ্রেটর কোম্পানিটির অত্যাধুনিক প্রযুক্তি যেমন ব্লকচেইন, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ম্যাশিন লার্নিং, ডাটা সায়েন্স, ইন্টারনেট অব থিংস ইত্যাদি বিষয়ে বিশেষজ্ঞ টিম রয়েছে। রয়েছে আধুনিক বিশেষায়িত টুলস ও ফাংশনসহ সবদিক থেকে অগ্রগামী প্রতিষ্ঠান।