TechJano

বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের এলএসই’র পাঠ্যসূচি অনুযায়ী প্রশিক্ষণ দিলো ভারতীয় প্রতিষ্ঠান

লন্ডন স্কুল অফ ইকোনমিক্স অ্যান্ড পলিটিক্যাল সায়েন্স (এলএসই) এর পাঠ্যসূচি অনুযায়ী বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের মাতৃভাষায় প্রশিক্ষণ দিয়েছে ভারতের ইন্ডিয়ান স্কুল অফ বিজনেস অ্যান্ড ফাইন্যান্স (আইএসবিএফ)। এতে দিনাজপুর জেলার ছয়টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ৫০০ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।

টিউলিপ ইন্টারন্যাশনল স্কুলে সম্প্রতি এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। এতে দিনাজপুরের সেইন্ট ফিলিপস হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ, দিনাজপুর হাইস্কুল, দিনাজপুর পুলিশ লাইন্স হাইস্কুল, দিনাজপুর কালেক্টরেট হাইস্কুল এবং দিনাজপুর সরকারি সিটি কলেজের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দিনাজপুর হাইস্কুলের প্রিন্সিপাল জনাব নিজামুল ইসলাম।

বিশেষ করে মাতৃভাষায় পড়াশোনা করা সরকারি প্রতিষ্ঠানের অধিকাংশ শিক্ষার্থীরা প্রথমবারের মতো এ ধরণের পরীক্ষামূলক প্রশিক্ষণে অংশ নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। কর্মশালায় শিক্ষার্থীদের উচ্ছ¡সিত দেখা যায়। তারা বলছেন, পারস্পরিক মত বিনিময় অংশটি তাদের জন্য খুবই উপকারী। তারা আরও এ ধরণের প্রশিক্ষণ আয়োজনের কথাও বলেন।

আইএসবিএফ পরিচালিত পরীক্ষণমূলক এ কর্মশালায় অংশগ্রহণের জন্য শিক্ষার্থীদের আমন্ত্রণ জানান টিউলিপ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রিন্সিপাল টুলেন হ্যান্সডাক। কর্মশালায় তিনি বলেন, “লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিক্স অ্যান্ড পলিটিক্যাল সায়েন্স (এলএসই) এর পাঠ্যসূচি অনুযায়ী আইএসবিএফ এর পরিচালিত পরীক্ষণমূলক প্রশিক্ষণের সকল কার্যক্রম প্রত্যক্ষ করেছি। কর্মশালার সেশনগুলো খুবই প্রাণবন্ত ছিল, শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণও দেখার মতো ছিল। আইএসবিএফ এর চিরাগ মেহতা পরিচালিত কর্মশালা দারুণ ছিল। দিনাজপুরের কয়েকটি স্কুলের অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা কর্মশালাটি পছন্দ করেছেন, তারা এরপরেও আইএসবিএফ এর এমন কর্মশালা আয়োজনের কথাও বলেছেন।”

আইএসবিএফ এর সহযোগী পরিচালক চিরাগ মেহতা বলেন, “এটা দারুণ অভিজ্ঞতা। কেননা এতে এলএসই’র প্রয়োগ ভিত্তিক শিক্ষার প্রতিফলন হয়েছে। যাতে বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের প্রত্যন্ত একটি শহরের শিক্ষার্থীরা অংশ নিয়েছেন। সাধারণত ভারতের বড় শহরগুলোর স্কুলে এমন কর্মকান্ড আয়োজন করা হয়। এতে শিক্ষার্থীরা জীবনঘনিষ্ঠ কিছু দক্ষতা সম্পর্কে জানতে পারেন। যার মধ্যে রয়েছে- সময় ব্যবস্থাপনা, টিমওয়ার্ক ও আলোচনা। এছাড়াও পাঠ্যপুস্তকের বাইরে তাদের শিখন প্রক্রিয়াকেও এটি এগিয়ে নেয়। স্কুলের প্রধান ও শিক্ষকরা এ কর্মশালার প্রশংসা করেছেন এবং শিক্ষকদের জন্য এমন কর্মশালা আয়োজনের কথা বলেছেন।”

Exit mobile version