দেশ

বাংলাদেশে অ্যামাজনের বৈশ্বিক সেলার সম্মেলন অনুষ্ঠিত

By Editor

September 22, 2019

দেশের ই-কমার্র্স খাতকে আরও সমৃদ্ধ করার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজারে দেশীয় পণ্য সেবার প্রসারে ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব) এবং এরিয়া-৭১ এর যৌথ আয়োজনে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়ে গেল মার্কিন ই-কমার্স জায়ান্ট অ্যামাজনের সেলারদের নিয়ে “বৈশ্বিক সেলার সম্মেলন”। আজ ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ইং শুক্রবার রাজধানীর আগারগাঁও -এ বাংলাদেশ ব্যুরো অব স্ট্যাটিসটিকস (বিবিএস) অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অ্যামাজন এর আন্তার্জাতিক সম্প্রসারণ বিভাগের নির্বাহী মি. শশাঙ্ক পান্ডে, এরিয়া-৭১ এর প্রতিষ্ঠাতা আহসান হাবিব, ই-ক্যাব এর সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াহেদ তমাল ও দেশের তথ্য-প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞগণ। মি. শশাঙ্ক পান্ডে বলেন, অ্যামাজনে বাংলাদেশী বিক্রেতাদের দক্ষতা বৃদ্ধি ও নতুনদের সম্ভাবনা সৃষ্টি করাই আজকের সম্মেলনের মূল উদ্দেশ্য। ই-কমার্স খাতে বাংলাদেশ সম্ভাবনাময় একটি দেশ। এই খাতকে আরও প্রসার করে বাংলাদেশী বিক্রেতারা যেন বিশ্ব বাজারে স্থান করে নিতে পারে এ বিষয়ে অ্যামাজন সার্বিক সহায়তা করবে। এরিয়া-৭১এর প্রতিষ্ঠাতা আহসান হাবিব বলেন, বাংলাদেশে ই-কমার্স শিল্প গত ৭ বছর ধরে একটি দ্রুত বর্ধনশীল খাত হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। এই শিল্পটি ক্রমবর্ধমান অর্থনীতিতে অবদান রাখতে শুরু করেছে। সংশ্লিষ্টরা এবং সরকারও এখন এই খাতটিকে অন্যতম সম্ভাবনাময় খাত হিসেবে বিবেচনা করছে। তিনি বলেন, মার্কিন ই-কমার্স জায়ান্ট অ্যামাজন সারা বিশ্বে তাদের ক্রেতাদের জন্য সহজ শর্তে বাংলাদেশী পণ্য বিক্রি করতে চায়। অ্যামাজনে সেলাররা ফ্রিতেই তাদের পণ্য বিক্রির জন্য লিস্টিং করাতে পারবেন। তারা যেন সহজেই অ্যামাজনে তাদের পণ্য বিক্রি করতে পারেন সেজন্য আমাদের প্রতিষ্ঠান তাদেরকে সব ধরনের সহযোগিতা করবে। দেশীয় সেলারদের পণ্য আন্তর্জাতিক বাজারে প্রবেশ এবং অনলাইন বিজনেস শুরু করার লাইভ এক্সপেরিয়েন্স করানোই আমাদের লক্ষ্য। তিনি আরও বলেন, সেলারদের অনলাইন ব্যবসায় সার্বিক সহযোগীতা করতে আমাদের প্রতিষ্ঠানের একটি বিশেষ টিম তাদের প্রশিক্ষিত করবে। এই টিমটি সেলারদের পাফরম্যান্স ম্যানেজমেন্ট, অর্ডার ম্যানেজম্যান্ট, সর্বোপরি অ্যাকাউন্ট ম্যানেজমেন্ট; যেমন পণ্য লিস্টিং, মূল্য পরিবর্তন, মার্কেটিং এসব বিষয়ে সহযোগিতা করবে। আমরা স্বপ্নদ্রষ্টা এবং আমরা স্বপ্ন দেখি ও বিশ্বাস করি যে, ক্রস বর্ডার ই-কমার্সের মাধ্যমে বাংলাদেশে মিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স আনা সম্ভব। সেই লক্ষ্য পূরণে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।