কী আছে অ্যাপলের নতুন ৩ আইফোনে?

ট্রেন্ডিং

বাংলাদেশে আইফোনের দাম কত হবে? কী আছে নতুন ৩ আইফোনে?

By Baadshah

September 13, 2018

প্রতিবছরের মতো এবারও সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে নতুন তিন আইফোনের ঘোষণা দিয়েছে মার্কিন প্রতিষ্ঠান অ্যাপল। ক্যালিফোর্নিয়ায় স্টিভ জবস থিয়েটারে স্থানীয় সময় বুধবার তিন আইফোনসহ বেশ কিছু নতুন পণ্যের ঘোষণা দেয় অ্যাপল।

আইফোন এক্সএস, আইফোন এক্সএস ম্যাক্স এবং আইফোন এক্সআর-এই তিন নতুন মডেল বাজারে এনেছে অ্যাপল। নতুন এই তিন ফোনের মধ্যে নিয়ে সবচেয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে এবং অপেক্ষাকৃত কম ফিচার রয়েছে আইফোন এক্সআরে।

কিন্তু ফোনগুলোতে কী আছে, দামই বা কত?

বিবিসি ও সিএনএনের তথ্য অনুযায়ী, আইফোন এক্সএসের দাম ৯৯৯ মার্কিন ডলার, আইফোন এক্সএস ম্যাক্স ১০৯৯ ডলার এবং আইফোন এক্সআরের দাম ৭৪৯ ডলার।

আইফোন এক্সএস এবং আইফোন এক্সএস ম্যাক্স প্রি-অর্ডার করা যাবে ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে। যুক্তরাষ্ট্রসহ বাকি দেশগুলোতে কিনতে পাওয়া যাবে ২১ সেপ্টেম্বর থেকে। আইফোন এক্সআর প্রি-অর্ডার করা যাবে ১৯ অক্টোবর থেকে। বিশ্বের ৫০টি দেশে কিনতে পাওয়া যাবে ২৬ অক্টোবর থেকে।

আইফোন এক্সএস এবং আইফোন এক্সএস ম্যাক্স পানি নিরোধক। দুই মিটার পানির নিচে ৩০ মিনিট পর্যন্ত থাকলেও কিছু হবে না ফোন দুটির। এদের ডিসপ্লে আগের তুলনায় অনেক ঝকঝকে।

নতুন এই দুই আইফোনে ছবি, ভিডিও, ভিডিও এডিটিং এবং গ্রাফিক্স-এর জন্য ভালো ধারণ ক্ষমতা রয়েছে। এর ধারণ ক্ষমতা সর্বোচ্চ ৫১২ জিবি। সংরক্ষণ করা যাবে দুই লাখ ছবি।

আইফোন এক্স-এর চেয়ে এক্সএস-এর ব্যাটারিতে চার্জ থাকবে ৩০ মিনিট বেশি। অন্যদিকে এক্সএস ম্যাক্স-এ ব্যাটারির চার্জ থাকবে দেড় ঘণ্টা বেশি। আইফোন এক্সএস এবং আইফোন এক্সএস ম্যাক্সে ১২ মেগাপিক্সেলের দুটি ক্যামেরা আছে।

আইফোন এক্সএস ও আইফোন এক্সএস ম্যাক্সের চেয়ে অপেক্ষাকৃত কম ফিচার আইফোন এক্সআরে। ৬.১ ইঞ্চি ডিসপ্লের এই ফোন পাওয়া যাবে চারটি কালারে। সাদা, কালো, কোরাল এবং লাল এই কালারে বাজারে আসবে ফোনটি।

বাংলাদেেশে দাম কত?

সাধারণত, আইফোন ঘোষণার পরপরই বাংলাদেশে পাওয়া যায় না। অন্যান্য দেশে বিক্রি শুরু হলে অনেকে দুচারটি নতুন আইফোন এনে চড়া দামে বিক্রি করেন। নতুন আইফোন হাতে পেতে তাই দুই বা তিন মাস অপেক্ষা করতে হবে বাংলাদেশে। পরে গ্রামীণফোনসহ মোবাইল অপারেটররা বা কয়েকটি প্রতিষ্ঠান এদেশে আইফোন বিক্রি শুরু করবে। বাংলােদেশে নতুন আইফোন সাধারণত আসল দামের চেয়ে ২০-৩০ হাজার টাকা বেশি হয়। সে হিসেবে এবারের কোনো আইফোন এক লাখের নিচে হবে না।

তবে, রিফারবশিড আইফোন কেনার আগে সতর্ক থাকুন। যাঁরা নতুন আইফোন একটু কমে পেতে চান তারা মাস ছয়েক অপেক্ষা করুন। যারা দ্রুত কিনবেন, তারা বাইরের নির্ভরযোগ্য কাউকে দিয়ে আনিয়ে নিতে পারেন।