ইন্ডিয়ার প্রিমিয়াম প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইভ্যালু ইনফোসল্যুশনস বিভিন্ন কোম্পানি ও উদ্যোগকে সাইবার নিরাপত্তা ও প্রযুক্তি বিষয়ক সল্যুশনসের ক্ষেত্রে তাদের ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা পরিচালনায় সহযোগিতা প্রদান করে আসছে। সম্প্রতি আইভ্যালু ভিএমওয়্যারের সাথে যৌথভাবে বাংলাদেশে একটি পার্টনার সামিট আয়োজন করেছে। এই সামিট আয়োজনের লক্ষ্য হল, অংশীদার প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে মিলে একটি ইতিবাচক বাস্তুসংস্থান গড়ে তোলা যেন ভিএমওয়্যারের সেবাগুলোর গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি পায় ও সেবাগুলো সহজেই কাঙ্ক্ষিত গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে দেয়া যায়। এছাড়াও আইভ্যালু’র টিমিং এগ্রিমেন্টের মাধ্যমে অংশীদাররা তাদের নিজস্ব বাজারে ভিএমওয়্যারের সেবা ও মান বৃদ্ধি করতে সহায়তা পাবে। বাংলাদেশ সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়কে এগিয়ে নেয়ার লক্ষ্যে এই সামিটের পরিকল্পনা করা হয়।
আইভ্যালু’র বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটানের কান্ট্রি ম্যানেজার হোসাইনুল গাফফার বলেন, “বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটানে ভিএমওয়্যার প্রযুক্তি ছড়িয়ে দেয়ার সুযোগ পেয়ে আমরা অনেক উচ্ছ্বসিত। আমাদের প্রথম দুই প্রান্তিকে আমরা আমাদের চ্যানেল অংশীদারদের মাধ্যমে উল্লেখযোগ্য জয় প্রত্যক্ষ করেছি এবং ওয়ার্কস্পেস ওয়ান-এ ভিএমওয়্যারের জন্য সবচেয়ে বড় চুক্তির একটি সম্পন্ন করেছি। এছাড়াও আমরা আমাদের অংশীদার এবং তাদের গ্রাহকদের সাথে তথ্য আদান প্রদানের জন্য নির্দিষ্ট সেশনে অংশ নিয়েছি। আমাদের চ্যানেল ও আন্তঃসম্পর্কই আমাদের মূল শক্তি এবং এটি কাজে লাগিয়ে আইভ্যালুর লক্ষ্য হল অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সেবাগুলো দ্রুততম সময়ে অংশীদারদের কাছে পৌঁছে দেয়া। বর্তমানে, বাংলাদেশে প্রায় ৩৫ টি ওইএম(OEM) বিতরণের অনুমোদন আছে আইভ্যালুর এবং এই নেটওয়ার্ক প্রসারিত করতে আমরা মুখিয়ে আছি। আমি চ্যানেল সম্প্রদায়কে তাদের সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ জানাতে চাই।”
বাংলাদেশের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাত ২০২০-২১ অর্থবছরে ১.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রপ্তানি আয় অর্জন করে এবং স্থানীয় বাজারে ১.৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সমতুল্য বাজার শেয়ার ধরে জিডিপিতে ০.৭৬ শতাংশ অবদান রেখেছে। এছাড়াও ১ মিলিয়নেরও বেশি কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরির মাধ্যমে এই খাত পূর্বের তুলনায় ভাল অবস্থান অর্জন করেছে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতের রপ্তানি নেতৃত্বাধীন শিল্পের সাফল্যের পাশাপাশি বেসরকারি খাত এবং বাংলাদেশ সরকার দ্বারা অনুসৃত সহায়ক নীতির উপর ভর করে, দেশ এখন নিজেকে জ্ঞান-ভিত্তিক এবং ফোরআইআর(4IR)চালিত নগদহীন অর্থনীতিতে রূপান্তরিত করতে চায়।
আইভ্যালু ইনফোসল্যুশনের এপিএসি এন্টারপ্রাইজ বিজনেসের ভাইস প্রেসিডেন্ট নাদিম হোসেন বলেন, “মার্কেট হিসেবে বাংলাদেশ সবসময়ই আকর্ষণীয়। এই মার্কেটের সাথে আমি বিগত ১০ বছর ধরে জড়িত রয়েছি। গত দুই বছরে আইটি সেবার ব্যবহার এবং গ্রহণযোগ্যতা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে এবং এই যাত্রায় যুক্ত হতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। আন্তর্জাতিক মার্কেটের মত বাংলাদেশেও আইভ্যালু’র মূল লক্ষ্য থাকবে নাইচ স্ট্যাক যথা নেটওয়ার্কিং, ইনফ্রাস্ট্রাকচার, ক্লাউড এবং এন্টারপ্রাইজ সিকিউরিটি। আমরা বিশ্বাস করি, এই সকল উল্লেখিত ক্ষেত্রে সেবার মাধ্যমে আমরা চ্যানেল পার্টনার কমিউনিটির সাথে যথাযথভাবে যুক্ত হতে পারব এবং তারা বিভিন্ন ওইএম থেকে গ্রাহকদের নানাবিধ সেবার পাশাপাশি অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সল্যুশন সরবরাহ করতে পারবে। আইভ্যালুতে আমরা সবসময় শীর্ষস্থানীয় সল্যুশন প্রদানের চেষ্টা করি যার মাধ্যমে আমাদের অংশীদাররা তাদের ব্যবসায় দক্ষতা বৃদ্ধি এবং ভারসাম্য রক্ষায় সাহায্য করবে। আমরা সবসময় চেষ্টা করি আমাদের অংশীদার এবং ওইএমদের অপারেশন টার্ন অ্যারাউন্ড টাইম (টিএটি) কমিয়ে আনা।” আন্তর্জাতিক মানের অবকাঠামো স্থাপন; অনুকূল এবং টেকসই ব্যবসা পরিবেশ তৈরি করা; আইটি/আইটিইএস ভিত্তিক ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইকোসিস্টেম তৈরি করা এবং ওয়ান স্টপ প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে আইটি/আইটিইএস ব্যবসা ও শিল্পের জন্য সমস্ত পরিষেবা নিশ্চিত করা বাংলাদেশের বর্তমান কৌশলের মধ্যে অন্যতম। আইভ্যালু’র বাড়তি সুবিধা হচ্ছে চারটিরও বেশি অত্যাধুনিক বিশ্বস্ত গ্রাহক বেস হিসাবে শীর্ষ ১০০টি ব্র্যান্ড যা বাজার ৫ গুন সম্প্রসারণ করে এবং ১৩ টিরও বেশি জায়গায় শক্তিশালী দল রয়েছে৷ আইভ্যালু সর্বদা ডিজিটাল সম্পদ সুরক্ষা, অপ্টিমাইজেশান এবং ট্রান্সফরমেশন এরিয়াকে অগ্রাধিকার দিয়েছে, গ্রাহক জীবন চক্র এবং পণ্য জীবন চক্র গ্রহণ কাঠামোর সুবিধা প্রদান করেছে। সামিটে অংশগ্রহণকারী অংশীদারদের কাছে আইভ্যালুর বিস্তৃত পোর্টফোলিও, শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তি, নমনীয় চুক্তি, সহজ-সরল ব্যবসা ও ভিএমওয়্যারের মূল্য কাঠামোর সুবিধা তুলে ধরা হয়।