বিশ্বব্যাংকের ১২ সদস্যের উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধিদল আজ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের সাথে আগারগাঁওস্থ আইসিটি টাওয়ারে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সভাকক্ষে এক বৈঠকে মিলিত হন।
বৈঠকে প্রতিমন্ত্রী বলেন একদশক পূর্বে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ তথা রুপকল্প-২০২১ ঘোষণা করেন। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষে চারটিঁ স্তম্ভ- মানব সম্পদ উন্নয়ন, কানেক্টিভিটি, ই-গভর্নেন্স ও আইটি ইন্ডাট্রি প্রমোশন বাস্তবায়নে কাজ করছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ। ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নে বটম-আপ পদ্ধতি অনুসরণ করে তৃণমূল থেকে ডিজিটাজেশনের যাত্রা শুরু হয়। প্রথমে গ্রামে বসবাসকারী মানুষের দোড়গোড়ায় সেবা পৌছে দেওয়ার জন্য সারাদেশে সাড়ে ৪ হাজার এর বেশি ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার স্থাপন করা হয়। সরকার ইতোমধ্যে ৩৭৯টি সেবা ডিজিটাইজ করেছে। এসব সেবা মানুষ অনলাইনে গ্রহণ করছে। আগামী ৫ বছরের মধ্যে সকল সেবা ডিজিটাইজ করা হবে।
বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে পলক আরও বলেন বাংলাদেশের প্রত্যন্ত এলাকায় ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট কানেন্টিভিটি পৌছে দেয়া হচ্ছে। যা তথ্য ও প্রযুক্তি ব্যবহারে গ্রাম ও শহরের মধ্যে ডিজিটাল বৈষম্য দূর করবে। কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও আইটি শিল্পের প্রসারের লক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন জেলায় ২৮টি হাই-টেক পার্ক স্থাপন করা হচ্ছে। এসব পার্কগুলো নির্মিত হলে বিপুল সংখ্যক মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন জাতিসংঘের ই-গভর্মেন্ট সূচক উন্নয়নে সরকার তিনটি বিষয়ের ওপর জোর দিচ্ছে। এগুলো হচ্ছে- ডিজিটাইজেশন, ডিজিটাল পেমেন্ট প্ল্যাটফর্ম এবং ইন্টার-অপেরাবল (আন্তঃপরিবাহী) ফ্রেমওয়ার্ক। এগুলো বাস্তবায়িত হলে ই-গভর্মেন্ট সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান বর্তমান ১১৫ থেকে ৫০ এ নেমে আসবে।
বিশ্বব্যাংক প্রতিনিধিদলের সদস্যরা বিগত এক দশকে বাংলাদেশের ডিজিটাইজেশনের অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসা করেন। এছাড়াও তারা এলআইসিটি প্রকল্পের সফল সমাপ্তিতে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, এ প্রকল্পের বিভিন্ন উপাদান যেমন বাংলাদেশ ন্যাশনাল ডিজিটাল এন্টারপ্রাইজ আর্কিটেকচার (বিএনডিএ), টিয়ার-৩ ডাটা সেন্টার এবং কম্পিউটার ইনসিডেন্ট রেসপন্স টীম (সিআইআরটি) বাংলাদেশের জাতীয় সম্পাদে পরিনত হয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধিদলের নির্বাহী পরিচালকদের মধ্যে গেইর হারডি, ডিজে নর্ডকুইস্ট, প্যাট্রিজিয়ো পাগানো, জর্জ শ্যাবেজ পেরেসা, জিন কডি, হার্ভডি ভেলেরকসহ বেশ কয়েকজন হোস্ট এবং অল্টারনেটিভ পরিচালক উপস্থিত ছিলেন।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগরে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মধ্যে সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসনে আরা বেগম, বিসিসি নির্বাহী পরিচালক পার্থ প্রতিম দেব, এলআইসিটি প্রকল্প পরিচালক মো: রেজাউল করিম ও কম্পোনেন্ট টীম লিভার সামি আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।