চতুর্থ প্রজন্মের মোবাইল নেটওয়ার্কের (ফোরজি) যুগে প্রবেশ করলো বাংলাদেশ। ১৯ ফেব্রুয়ারি সোমবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশের চার মোবাইল অপারেটর বাংলালিংক, গ্রামীণফোন, রবি এবং টেলিটককে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন ফোরজির লাইসেন্স হস্তান্তর করার মাধ্যমে নতুন নেটওয়ার্কের যুগে প্রবেশ করল বাংলাদেশ। রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে অনুষ্ঠিত লাইসেন্স হস্তান্তরে মূলত অ্যালফাবেটিক্যালি হিসেবে চার অপারেটরকে লাইসেন্স তুলে দেওয়া হয়। তবে সরকারি অপারেটর হিসেবে টেলিটককে আগে লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। ফোরজি প্রযুক্তি লং টার্ম ইভল্যুশন (এলটিই) নামেও পরিচিত। বিশ্বের ১৫০টির বেশি দেশে বর্তমানে এই প্রযুক্তি চালু আছে। প্রথমে বাংলালিংক, এরপর গ্রামীণফোন, রবি এবং টেলিটককে লাইসেন্স হস্তান্তর করেন ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, বিটিআরসির চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ, স্পেকট্রাম ম্যানেজমেন্ট বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসিম পারভেজ। পর্যায়ক্রমে তারা অপারেটর চারটির প্রধান নির্বাহীদের হাতে ফোরজির লাইসেন্স তুলে দেন। এর কিছু পরেই অনুষ্ঠান স্থল থেকে গ্রামীণফোন এবং বাংলালিংক দেশে ফোরজি চালু করে। অপারেটর দুটির প্রধান নির্বাহীরা সেখান থেকেই তাদের ফোরজি চালু করেন। প্রাথমিক অবস্থায় দেশের সাত শতাধিক বিটিএসে ইতোমধ্যে ফোরজি সেবা চালু করেছে বলে জানিয়েছে গ্রামীণফোন। আর বাংলালিংক দুই শতাধিক বিটিএসে ফোরজি চালু করেছে।অনুষ্ঠানে লাইসেন্স পাওয়ার পর অপারেটরগুলোর প্রধান নির্বাহীরা গ্রাহকের চাহিদাকে প্রাধান্য দিয়ে সর্বোচ্চ সেবা দেবার অঙ্গীকার করেন। ২০ ফেব্রুয়ারি দেশে ফোরজি চালু করে আরেক অপারেটর রবি। প্রথম মোবাইল ফোন অপারেটর হিসেবে দেশের ৬৪টি জেলায় ফোরজি টেলিযোগাযোগ সেবা চালু করার ঘোষণা দেয় রবি আজিয়াটা। সারা দেশের সব জেলায় ফোরজি সেবার জন্য ১ হাজার ৫০০টি সাইট বা মোবাইল টাওয়ারকে ফোরজি সেবা দেওয়ার উপযোগী করেছে মোবাইল অপারেটরটি। এর আগে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি ফোরজি সেবার জন্য স্পেকট্রাম নিলাম অনুষ্ঠিত হয়। ওই নিলামে ফোরজির লাইসেন্স অনুমোদন পাওয়া চার অপারেটরের মধ্যে দুটি অংশ নেয় নতুন করে স্পেকট্রাম কেনার জন্য। সেখানে বাংলাংলিংক ও গ্রামীণফোন নতুন করে স্পেকট্রাম কেনে। বাংলালিংক ১৮০০ ব্যান্ড থেকে ৫ দশমিক ৬ মেগাহার্জ ও ২১০০ ব্যান্ড থেকে ৫ মেগাহার্জ নতুন স্পেকট্রাম কেনে। আর গ্রামীণফোন শুধুমাত্র ১৮০০ ব্যান্ড থেকে স্পেকট্রাম কেনে ৫ মেগাহার্টজ। নিলামের পর গ্রামীণফোন ও বাংলালিংকের তরঙ্গের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ৩৭ ও ৩০দশমিক৬ মেগাহার্টজ। এর আগে গ্রামীণফোনের ৩২, রবির ৩৬ দশমিক ৪, বাংলালিংকের ২০ ও টেলিটকের ২৫ দশমিক ২ মেগাহার্টজ তরঙ্গ ছিলো। রবি আর এয়ারটেল একীভূত হওয়ায় কোনো তরঙ্গ কেনেনি রবি। আর টেলিটকেরও গ্রাহকের চাহিদার তুলনায় বেশি তরঙ্গ রয়েছে। এর আগে দেশে তৃতীয় প্রজন্মের নেটওয়ার্ক বা থ্রিজি চালু হয় ২০১৩ সালের ৮ সেপ্টেম্বর। যাতে অপারেটরদের বেশিরভাগই থ্রিজির আওতায় আনতে সক্ষম হয়েছে বলে দাবি করে আসছিল। দেশে ফোরজি নেটওয়ার্কের জন্য পাঁচ অপারেটর আবেদন করে। কিন্তু নতুন করে বাঁচার সুযোগ থাকলেও মূলধন স্বল্পতার জন্য সেই সুযোগ হারায় দেশের প্রথম মোবাইল অপারেটর সিটিসেল। পরে গত ৮ ফেব্রুয়ারি বিটিআরসি চারটি অপারেটরকে ফোরজি লাইসেন্স দেবার জন্য চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য মন্ত্রীসভায় দৃষ্টি আর্কষণ করে। ১১ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রীসভা চূঢ়ান্ত অনুমোদন দিলে ১৩ ফেব্রুয়ারি স্পেকট্রাম নিলাম অনুষ্ঠান হয়। মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, নেটওয়ার্ক ও সেবার মান অবশ্যই বৃদ্ধি করতে হবে। এ জন্য সরকার অপারেটরদের সব ধরনের সহযোগিতা করে যাবে। ফোরজির সুবিধা ফোরজি’র আসলে কোনো আনুষ্ঠানিক সংজ্ঞা নেই। কিছু বৈশিষ্ট্য দিয়ে ‘ফোরজি’ বোঝা যায়। ‘আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়ন-রেডিও যোগাযোগ’ শাখার ‘ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল টেলিকমিউনিকেশন অ্যাডভান্সড’ (আইএমটিএ) ফোরজির জন্য একটি স্ট্যান্ডার্ড দাঁড় করিয়েছে। সেখানে ‘ফোরজি’ হতে হলে বেশ কয়েকটি যোগ্যতা উতরাতে হয়। আইএমটিএর ওই ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, এই নেটওয়ার্কে ইন্টারনেটের গতি খুবই দ্রুতগতির হবে। কোনো দ্রুতগতির যানবাহন অর্থাৎ বাস বা ট্রেনে এই সেবার ইন্টারনেট গতি হবে প্রতি সেকেন্ডে ১০০ মেগাবাইট। এ ছাড়া আবাসিক ব্যবহারে বা স্থিরাবস্থায় ‘ফোরজি’ নেটওয়ার্কের গতি হবে প্রতি সেকেন্ডে এক গিগাবাইট। ফোরজিতে কি কি সুবিধা পাওয়া যাবে? ফোরজির মূল সুবিধা এই নেটওয়ার্কে সর্বোচ্চ গতিতে তথ্য আদান-প্রদান করা সম্ভব। বলাই হচ্ছে, এর গতি হবে সর্বনিম্ন ১০০ মেগাবাইট। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে হাই ডেফিনিশন টেলিভিশন ও ভিডিও কনফারেন্সের সুবিধা পাওয়া সম্ভব। এ ছাড়া এই প্রযুক্তিতে গ্রাহক সব সময়ই মোবাইল অনলাইন ব্রডব্যান্ডের আওতায় থাকতে পারবে। ফোরজির মাধ্যমে মোবাইলে কথোপকথন ও তথ্য আদান-প্রদানের নিরাপত্তা অনেক বেশি ও শক্তিশালী। এ ছাড়া ফোরজি মোবাইল গ্রাহকদের ভয়েস মেসেজ, মাল্টিমিডিয়া মেসেজ, ফ্যাক্স, অডিও-ভিডিও রেকর্ডিংসহ নানা ধরনের সুবিধা দেয়। এ ছাড়া এর ডাউনলিংকের ক্ষেত্রে লিংক স্পেকট্রাল এফিসিয়েন্সি প্রতি সেকেন্ডে ১৫ বিট এবং আপলিংকের ক্ষেত্রে ৬ দশমিক ৭৫ বিট হবে। ধারণা করে হচ্ছে, ফোরজি আসলে আমাদের জীবনধারায় অনেক পরিবর্তন আসবে। সংশয় কিন্ত দেশের মানুষের ফোরজি নিয়ে এখনো সংশয় কারণটা হলো দেশের সর্বস্তরের মানুষের কাজে এখনো থ্রিজির সুফল ঠিক ভাবে পৌঁছেনি। ফোরজির সুফল নিয়ে সংশয়ের কারণ হচ্ছে ফোরজি সমর্থিত স্মার্টফোনের স্বল্পতা। আশঙ্কা করা হচ্ছে, চালু হলেও ফোরজি থেকে সব গ্রাহক সুবিধা নিতে পারবেন না। কারণ, অনেকের কাছেই ফোরজি সাপোর্ট হ্যান্ডসেট নেই। আর যাদের কাছে উপযুক্ত হ্যান্ডসেট সেট রয়েছে তাদেরও সিম পরিবর্তন করে নিতে হবে। জানা গেছে, বর্তমানে মোবাইল ফোন গ্রাহকের সংখ্যা ১৩ কোটি। এর বিপরীতে হ্যান্ডসেট আছে প্রায় ১০ কোটি। কিন্তু, চালু থাকা হ্যান্ডসেটের ৭০ ভাগই ফিচার ফোন। বাকি ৩০ ভাগ স্মার্টফোন। যার মাত্র পাঁচ ভাগ ফোরজি সেবার জন্য উপযুক্ত।এমতবস্থায়, ফোরজি হ্যান্ডসেট না থাকার পাশাপাশি মানসম্পন্ন সেবা পৌঁছাতে ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্কের দুর্বলতাকে বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছেন অনেকে। দাম দেশে ফোরজি ইন্টারনেটের দাম নিয়েও কথা হচ্ছে। বিটিআরসিতে ফোরজির ডেটা প্যাকেজ নিয়ে এখনো কোনো প্রস্তাব জমা পড়েনি।তবে অপারেটর পর্যায়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অপারেটরগুলো ডেটার দাম কোনো অবস্থাতেই ইউনিট প্রতি বাড়বে না। যে মূল্যে গ্রাহকরা এখন ইন্টারনেট পাচ্ছেন, ফোরজিতে মূল্যটা তেমনই থাকবে। বিষয়টি নিয়ে তারা বিস্তারিত কাজ করছেন। আর বিপণন কৌশল হিসেবে তারা এখন সেটি প্রকাশও করতে চান না। বড় তিন অপারেটরের শীর্ষ এক কর্মকর্তা জানান, দীর্ঘমেয়াদে অবশ্যই ডেটার মূল্য কমবে। সেই কমাটা নির্ভর করছে গ্রাহক কতোটা ব্যবহার করছেন তার ওপর। তবে কম ভলিউমের প্যাকেজে দামের খুব একটা হেরফের হবে না। ওই কর্মকর্তা বলেন, অপারেটরগুলো চায় অল্পদিনের মেয়াদে গ্রাহক অনেক বেশি ইন্টারনেট ব্যবহার করুক। তাহলে তাদের পক্ষে দাম কমানো সহজ হবে।
সিমের জন্য বাড়তি টাকা গ্রামীণফোন সাধারণ গ্রাহকের কাছ থেকে ১১০ টাকা করে নিচ্ছে।রবি আজিয়াটা ও বাংলালিংক নিচ্ছে ১০০ টাকা। তিন অপারেটরই বিশেষ গ্রাহকের কাছ থেকে সিম প্রতিস্থাপনের টাকা নিচ্ছে না।বিশ্লেষকেরা বলছেন, প্রতিস্থাপন কর হিসেবে ১০০ টাকা আদায় করা অযৌক্তিক। চতুর্থ প্রজন্মের (ফোর-জি) টেলিযোগাযোগ সেবার সিম বদলে দিতে গ্রাহকের কাছ থেকে ১০০ থেকে ১১০ টাকা পর্যন্ত নিচ্ছে মোবাইল ফোন অপারেটররা। এই অর্থ নিতে অপারেটরদের যুক্তি হলো, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) নির্দেশনা অনুযায়ী সিম প্রতিস্থাপন কর হিসেবে এ অর্থ নেওয়া হচ্ছে।
সিম প্রতিস্থাপনের এনবিআর নির্ধারিত ১০০ টাকার পাশাপাশি গ্রাহকের কাছ থেকে বাড়তি ১০ টাকা নিচ্ছে এক অপারেটর। আবার এই অর্থ আদায়ে গ্রাহকভেদে বৈষম্যও করছে তারা। বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত গ্রাহকের কাছ থেকে এ বাবদ কোনো টাকা নেওয়া হচ্ছে না।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, যেসব গ্রাহক ফোর-জি ব্যবহারের জন্য সিম বদলাচ্ছেন তাঁরা ইতিমধ্যেই এ বাবদ সব ধরনের কর দিয়েছেন। এতে সিমের মালিকানাও পরিবর্তন হচ্ছে না। একই ব্যবহারকারী শুধু পুরোনো প্রযুক্তি থেকে উন্নত প্রযুক্তির সেবা নিতে সিমটি বদলাচ্ছেন। এ জন্য প্রতিস্থাপন কর হিসেবে ১০০ টাকা আদায় করা অযৌক্তিক।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ফোর-জি সিম প্রতিস্থাপন করতে গ্রামীণফোন সাধারণ গ্রাহকের কাছ থেকে ১১০ টাকা করে নিচ্ছে। রবি আজিয়াটা ও বাংলালিংক নিচ্ছে ১০০ টাকা। তবে তিন অপারেটরই তাদের বিশেষ গ্রাহকের কাছ থেকে সিম প্রতিস্থাপনের টাকা নিচ্ছে না। এ ধরনের গ্রাহকের মধ্যে রয়েছেন গ্রামীণফোনের স্টার, রবির ধন্যবাদ ও বাংলালিংকের প্রিয়জন প্যাকেজের গ্রাহকেরা। এসব গ্রাহক মাসে কমপক্ষে ৫০০ টাকা মোবাইলে খরচ করেন। এসব গ্রাহকের পক্ষে অপারেটররাই সিম প্রতিস্থাপন কর সরকারকে দিচ্ছে। অপারেটররা বলছে, যেসব গ্রাহক বেশি খরচ করেন ব্যবসায়িক কৌশলের অংশ হিসেবে তাঁদের একটু বাড়তি সুবিধা দেওয়া হচ্ছে।
গ্রামীণফোনের হেড অব করপোরেট অ্যাফেয়ার্স মাহমুদ হোসেন বলেন, সরকারের পক্ষে অপারেটররা গ্রাহকের কাছ থেকে ১০০ টাকা সিম প্রতিস্থাপন কর আদায় করছে। বাড়তি যে ১০ টাকা নেওয়া হচ্ছে এ জন্য গ্রাহকেরা দেড় গিগাবাইট ইন্টারনেট ডেটা বিনা মূল্যে পাচ্ছেন, যার বাজারমূল্য ১৪০ টাকা। এর সঙ্গে আছে গ্রাহকসেবার পরিচালন ব্যয়। সব মিলিয়ে কোনোভাবেই গ্রাহকের কাছ থেকে বেশি অর্থ নেওয়া হচ্ছে না।
টেলিযোগাযোগবিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠান লার্ন এশিয়ার জ্যেষ্ঠ গবেষক আবু সাইদ খান বলেন, সিম প্রতিস্থাপনে যেভাবে গ্রাহকের কাছ থেকে অর্থ নেওয়া হচ্ছে তাতে একধরনের শ্রেণি-বৈষম্য রয়েছে। যিনি ধনবান তাঁকে পুরস্কৃত করা হচ্ছে, আর যিনি স্বল্পবিত্তের তাঁকে জরিমানা করা হচ্ছে। এ ধরনের নীতি কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার গতকাল মঙ্গলবার বলেন, ‘নির্দিষ্ট গ্রাহককে বিশেষ ছাড় দেওয়ার বিষয়টি আমার জানা ছিল না। তবে গ্রাহকের মধ্যে বৈষম্য তৈরির কোনো নীতিই সমর্থনযোগ্য নয়। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে আমি বিটিআরসিকে বলব।’ সিম প্রতিস্থাপন করের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, যে কর এনবিআর আরোপ করেছে, তা পুনর্বিবেচনা করতে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করা হবে।
ফোর-জি সেবার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করতে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করে তিন বেসরকারি অপারেটর। ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে রবি, চট্টগ্রামের রেডিসন ব্লু হোটেলে গ্রামীণফোন ও খুলনার সিটি ইন হোটেলে অনুষ্ঠান করে বাংলালিংক।
রবির অনুষ্ঠানে জানানো হয়, সারা দেশের ৬৪টি জেলা শহরে তারা ফোর-জি সেবা চালু করেছে। এ জন্য ১ হাজার ৫০০টি সাইট বা মোবাইল টাওয়ারকে ফোর-জি সেবা দেওয়ার উপযোগী করা হয়েছে। চলতি মাসের মধ্যে আরও ১ হাজার সাইট ফোর-জি নেটওয়ার্কে যুক্ত হবে। এ জন্য এখন পর্যন্ত ২ হাজার ১১৪ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে অপারেটরটি। রবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহতাব উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘প্রতিযোগী অন্যদের তুলনায় আমাদের সেবা ভালো হবে, কারণ আমাদের তরঙ্গ বেশি।’
ঢাকার পাশাপাশি চট্টগ্রামে গতকাল আনুষ্ঠানিকভাবে ফোর-জি সেবা চালু করেছে গ্রামীণফোন। বর্তমানে নগরের দামপাড়া, খুলশী ও নাছিরাবাদ এলাকায় এই সেবা পাওয়া যাচ্ছে। অবশ্য আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেওয়ার আগেই গত সোমবার বিকেল থেকে চট্টগ্রাম শহরের ওই তিনটি এলাকায় ফোর-জি সেবা চালু হয়। আগামী ছয় মাসের মধ্যে সব জেলা শহরে এই সেবা চালু হবে বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়। গ্রামীণফোনের প্রধান মানবসম্পদ কর্মকর্তা কাজী মোহাম্মদ শাহেদ, কোম্পানির হেড অব ডিজিটাল সোলায়মান আলম, চট্টগ্রামের সার্কেল প্রধান শাওন আজাদ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
খুলনায় বাংলালিংকের ফোর-জি সেবা উদ্বোধন করেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান বিক্রয় কর্মকর্তা রিতেশ কুমার সিং। অনুষ্ঠানে খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র মনিরুজ্জামান মনি, বাংলালিংকের আঞ্চলিক পরিচালক এফ এম শাহরিয়ার ওমর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।