বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্কের উদ্যোগে ঢাকায় অবস্থিত নর্দান ইউনিভার্সিটি মিরপুর রোড ক্যাম্পাসে আয়োজিত হল স্নাতক পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে একটি চাকুরি প্রস্তুতিমূলক কর্মশালা। সেই সাথে উদযাপিত হলো বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্কের ১৫ তম জন্মদিন। ফুলেল শুভেচ্ছা এবং কেক কেটে আয়োজনটি উদ্বোধন করেন ইউনিভার্সিটির ব্যাবসায় অনুষদের সহকারী অধ্যাপক এবং কো-অর্ডিনেটর মোঃ শরিফুল ইসলাম। সাথে ছিলেন ইউনিভার্সিটির সিনিয়র প্রভাষক ফারজানা চৌধুরী, প্রভাষক অলি উল্লাহ চৌধুরি এবং মারিয়ামা মুয়াফা। আরও উপস্থিত ছিলেন বিডিওএসএন এর প্রধান সমন্বয়ক এবং নর্দার্ন ইউনিভার্সিটির সিনিয়র প্রভাষক মাহবুবা মনি এবং প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর মুন্তাসির মোর্শেদ।
উদ্বোধনের পর মোট ৫৩ জন স্নাতক পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে আয়োজিত হয় একটি চাকুরি প্রস্তুতিমূলক কর্মশালা। পড়াশুনার পাট চুকিয়ে কর্মক্ষেত্রে প্রবেশের পূর্বে কি কি দক্ষতা অর্জন করা জরুরি, সে সম্পর্কে একটি পূর্ণাঙ্গ ধারণা প্রদান করা হয় এই কর্মশালায়। ইউনিভার্সিটি পর্যায়ে পড়াশুনা শেষ করার পরও প্রয়োজনীয় দক্ষতার অভাবে দেশে বৃদ্ধি পাচ্ছে শিক্ষিত বেকার সংখ্যা। পাশাপাশি কর্মক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে মেয়েদের সীমিত অংশগ্রহণ। সামাজিক ট্যাবু এবং প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে ইউনিভার্সিটি পর্যন্ত পৌঁছাতে পারলেও কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করতে পারেননা অনেক নারী শিক্ষার্থী। এর কারণ হিসেবে বিডিওএসএন এর এক জরিপে দেখা গেছে সঠিক দিকনির্দেশনা এবং প্রয়োজনীয় দক্ষতার অভাবে পড়াশুনার পর্ব শেষেই ঝরে পড়ছেন এসব নারী। শিক্ষিত বেকার এবং ঝরে পড়া নারীর সংখ্যা কমিয়ে আনতে শুরু থেকে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্ক (বিডিওএসএন)। এরই ধারাবাহিকতায় বিডিওএসএন সূচনা করে “মিসিং ডটার” কার্যক্রম যেখানে কর্মক্ষেত্রে নারীর সরব উপস্থিতি নিশ্চিতকরনের লক্ষ্যে আয়োজন করা হয় বিভিন্ন দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ, চাকরি প্রস্তুতিমূলক কর্মশালা, ক্যারিয়ার টক, ইন্টার্ণশিপ কিংবা ২ থেকে ৩ দিনের চাকরি সংযুক্তি ইত্যাদি।
এই “মিসিং ডটার” কার্যক্রমের আওতায় বিডিওএসএন এর ৩ বছর মেয়াদি প্রকল্পের আওতায় নারী দক্ষ কর্মী তৈরীর জন্য কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ ওপেন সোর্স নেটওয়ার্ক। নর্দান ইউনিভার্সিটি এর সহকারী অধ্যাপক এবং কো-অর্ডিনেটর মোঃ শরিফুল ইসলাম বলেন, “পড়াশুনা শেষ হওয়ার পূর্বেই কর্মক্ষেত্রের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে পারলে নারী পুরুষ সমান ভাবে দেশের টেকসই উন্নয়নে অবদান রাখতে পারবে”। তিনি বিডিওএসএন এর জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানান এবং এর সকল কার্যক্রমের প্রশংসা করেন।