তথ্য প্রযুক্তিতে নতুন প্রজন্মের তরুণ ইনোভেশনকারীদের নিয়ে ডিজিটাল ডিভাইস এর মাধ্যমে যে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ গড়ার যাত্রা শুরু করেছে, অল্প সময়ের মধ্যে এর একটা প্র্যাকটিকাল পরীক্ষা হয়ে গেল, সে পরীক্ষায় খুব ভালোভাবেই পাস করেছে বাংলাদেশ। ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত ডিজিটাল ডিভাইস অ্যান্ড ইনোভেশন এক্সপোর সমাপনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন।
মন্ত্রী বলেন, সরকারের গতিশীল ও সাহসী নেতৃত্বে কোভিডকালীন ডিজিটাল ডিভাইস নিয়ে তৃণমূলে গণ-মানুষের কাছে পৌঁছানোর কারণে সরকারের উপর মানুষের নতুন করে আস্থা তৈরি হলো। ডিজিটাল ডিভাইস এর ফলে করোনা মহামারিকে সাহসিকতার সঙ্গে মোকাবিলার সঙ্গে মানুষের জীবন ও জীবিকা দুটোই সমান তালে সামনে এগিয়ে চলছে। তিনি বলেন, করোনায় বিশ্ব যখন দিশেহারা তখন প্রধানমন্ত্রীর ওপর নতুন করে তৃণমূলের গণ-মানুষ আস্থা তৈরি হয়েছে।
সরকারের তথ্য যোগাযোগ ও প্রযুক্তি বিভাগ, বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক অথোরিটি, আইডিয়া প্রজেক্ট, এটুআই, স্টার্টআপ বাংলাদেশ প্রাইভেট লিমিটেড এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস) এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজন করা হয় তিনদিনের ডিজিটাল ডিভাইস অ্যান্ড ইনোভেশন এক্সপো-২০২১। এর সমাপনী
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এ.কে.এম রহমতউল্লাহ।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন আইসিটি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব বিকর্ণ কুমার ঘোষ এবং হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসনে আরা বেগম।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল ডিভাইস ও ইনোভেশন এর মধ্যে আমাদের যে উদ্ভাবন বা অর্জন হয়েছে, তার মেধাসত্ত্ব ও পেটেন্ট সংরক্ষণ করতে হবে। সে জন্য আইনের যে প্রয়োজন রয়েছে তা গ্রহণ করতে হবে। যাতে আমাদের উদ্ভাবনী অর্জন কেউ চুরি না করে বা অন্যভাবে কেউ ব্যবহার করতে না পারে। আমাদের মেধাসত্ত্ব ও পেটেন্ট আমাদের মধ্যেই রাখতে হবে। ডিজিটাল ডিভাইস এর সুফলের কারণে তৃণমূল ও গণ-মানুষ প্রধানমন্ত্রীর উপর আস্তা রাখায় ষড়যন্ত্রকারীরা কোনো সুযোগ এখনো পাচ্ছে না বলে মন্তব্য করেন তিনি।
১এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছিলো এই আয়োজনের দ্বিতীয় আসর। এর আগে ২০১৯ সালে ডিজিটাল ডিভাইস অ্যান্ড ইনোভেশন এক্সপোর প্রথম আসর অনুষ্ঠিত হয়।