ই-কমার্স খাতসহ তথ্যপ্রযুক্তি খাত সংকটে। ই-ক্যাব দারুণ কিছু সুপারিশ করেছে বাজেট প্রতিক্রিয়ায়। প্রেসক্লাবের আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ই-ক্যাব সভাপতি শমী কায়সার, সাধারণ সম্পাদক আবদুল ওয়াহেদ তমাল, আবদুল হক অনুসহ সংগঠনটির উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তারা।
২০১৮ – ২০১৯ অর্থ বছরের জন্য ঘোষিত বাজেট বিষয়েই-ক্যাব এর প্রতিক্রিয়ায় তারা জানান, ই-কমার্স বাংলাদেশে একেবারেই নবীন ও সম্ভাবনাময় একটি খাত। দেশে ডিজিটাল অবকাঠামোগত উন্নয়নে অনেকদূরে অগ্রসর হলেও, ডিজিটাল প্রক্রিয়ায় পণ্য ক্রয় ও আর্থিক লেনদেন অংশগ্রহণ বিষয়ে অনলাইন ভোক্তার সংখ্যা অনেক কম। আস্থাশীল ই-কমার্স ব্যবস্থার অভাব ও অনলাইন ভীতি এখনও অধিকাংশ মানুষের মধ্যেই বিদ্যমান। এমতাবস্থায়, দেশের ই-কমার্স খাত সংশ্লিষ্ট উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীগণ নিয়মিত লোকসান দিয়ে সীমিত পরিসরে অনলাইন ব্যবসা বা ভার্চুয়্যাল ব্যবসায় টিকে আছে।
এছাড়া, ডেলিভারী চ্যানেল ও জনভীতি সহ বেশকিছু প্রতিবন্ধকতা ও যথাযথ ই-কমার্স বান্ধব পরিবেশের অভাবে দেশের ই-কমার্স খাত যথেষ্ট আস্থাশীলতা অর্জন করতে অদ্যাবধি সক্ষম হয়নি; ফলে এ খাতে আকাঙ্খিত প্রবৃদ্ধি অর্জন এখনও সম্ভব হয়ে উঠেনি। অথচ, তথ্য ও প্রযুক্তি সেবা ও ই-কমার্স খাত অত্যন্ত সম্ভাবনাময় যা নিকট ভবিষ্যতে দেশে তথ্য-প্রযুক্তি ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা, ডিজিটাল বৈষম্য দূরীকরণ, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ প্রক্রিয়া ত্বরান্বিতকরণ, ই-ব্যবসায় রূপান্তর, নতুন বাজার অন্বেষণ সাপেক্ষে রপ্তানীমুখী শিল্প বিকাশ, রপ্তানী আয় বৃদ্ধি, নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি, প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে রুরাল ই-কমার্স সম্প্রাসারণ ও স্থানীয় পর্যায়ে আত্মকর্মসংস্থান ও সাধারণ কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি সহ জিডিপির হার বৃদ্ধির মাধ্যমে টেকসই জাতীয় অর্থনীতি বিনির্মাণে তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা যায়। এ প্রেক্ষিতে, সরকারের সার্বিক সহযোগিতা ও পৃষ্ঠপোষকতা ব্যতিরেকে দেশে আইসিটি ও ই-কমার্স খাতের কাঙ্খিত বিকাশ কোনভাবেই সম্ভবপর নয়।
ই-ক্যাব এর পক্ষ হতে আমরা ২০১৮ – ২০১৯ অর্থ বছরের জন্য ঘোষিত বাজেট গভীরভাবে বিশ্লেষণ করেছি। দেশে আইসিটি ও ই-কমার্স খাতের উন্নয়ন প্রক্রিয়া অগ্রগায়নের স্বার্থে আমরা মনে করি যে, প্রয়োজনীয় সুস্পষ্টতা, ঘোষিত বাজেট প্রস্তাবনা হতে কর ও মূসক অব্যাহতি এবং ‘মূসক অব্যাহতি প্রদান’ অংশে তথ্য ও প্রযুক্তি সেবা এবং ভার্চুয়াল ই-কমার্স পণ্য ও সেবা ক্রয়-বিক্রয় অন্তর্ভুক্ত করা একান্ত প্রয়োজন।
ভার্চুয়াল বিজনেস বিষয়ে ই-ক্যাবের প্রস্তাব হচ্ছে- ভার্চুয়াল বিজনেস ও সেবা তথা ই-কমার্স বিজনেস ও সেবা এর উপর মূসক আরোপ হতে অব্যাহতি প্রদান; এবং “ভার্চুয়াল বিজনেস” ও “অনলাইনে পণ্য বিক্রয়” এর সংজ্ঞা সমন্বিত করে ই-ক্যাব কর্তৃক পূর্বে প্রস্তাবকৃত নিমোক্ত সংজ্ঞা দ্বারা প্রতিস্থাপন করা যেতে পারেঃ “যাদের কোন নিজস্ব বিক্রয় কেন্দ্র নাই, ইলেক্ট্রনিক নেটওয়ার্ক ব্যবহারের মাধ্যমে পণ্য ক্রয়-বিক্রয় ও আর্থিক লেনদেনের জন্য ‘ক্যাশ অন ডেলিভারী’ পদ্ধতি ব্যবহার কওে থাকে; এবং যাদের নিজস্ব বিক্রয় কেন্দ্র আছে, তথাপি ইলেক্ট্রনিক নেটওয়ার্ক এর মাধ্যমে ক্রয়-বিক্রয় ও অনলাইনে পেমেন্ট সম্পাদন করে থাকে, তাহাদের পণ্য ক্রয়-বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে বিবেচনা করা হবে”।
ভার্চুয়াল বিজনেসে ৫ শতাংশ কর আরোপের প্রস্তাব করার প্রেক্ষিতে ইক্যাব এ প্রস্তাব রেখেছে।
কৃষি,শল্পি, ভারী প্রকৌশল শল্পি, টক্সেটাইল এবং রপ্তানি খাতরে ন্যায্য র্স্বাথ সংরক্ষণ এবং দশেীয় শল্পিরে বকিাশ ও প্রতরিক্ষণরে লক্ষ্যে কতপিয় পণ্য ও সবোর বভিন্নি র্পযায়ে নতুনভাবে অব্যাহতি প্রদান বা অব্যাহতরি ময়োদ বৃদ্ধরি প্রস্তাব-এই অংশে ‘তথ্য ও প্রযুক্তি সেবা এবং ভার্চুয়াল ই-কমার্স পণ্য ও সেবা ক্রয়-বিক্রয়’-কে অন্তর্ভুক্তকরণ।
‘ই-কমার্স ও অনলাইনশপিং’ কে ITES এর থেকে অন্তর্ভুক্ত করা হোক এবং ‘ই-কমার্স ও অনলাইন শপিং’ হতে উদ্ভুত আয়করযোগ্য আইনের বহির্ভুত করা হোক।