TechJano

বাণিজ্য মেলার গ্রীন টেকনোলজিতে ওয়ালটনের সুদৃশ্য প্যাভিলিয়ন

৯ জানুয়ারি শুরু হচ্ছে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা-২০১৯। এটি দেশের সর্ববৃহৎ পণ্য মেলা হিসেবে পরিচিত। এবারের মেলাতেও ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’ খ্যাত প্রযুক্তি পণ্য প্রদর্শন ও বিক্রি করতে তিন-তলা বিশিষ্ট সুদৃশ্য প্রিমিয়ার প্যাভিলিয়ন তৈরি করছে ওয়ালটন। প্যাভিলিয়ন নির্মাণে অনুসরণ করা হয়েছে গ্রীন টেকনোলজী মেথড। ভিতরে থাকছে সুদৃশ্য মূর্যাযলচিত্র। আরো থাকছে ৯৮ ইঞ্চির বড় পর্দার এলইডি টিভি। সর্বাধিক সংখ্যক মডেল এবং লেটেস্ট প্রযুক্তি পণ্য নিয়ে মেলার অন্যতম প্রধান আকর্ষণ হতে যাচ্ছে ওয়ালটনের প্যাভিলিয়ন।

তিনতলা প্যাভিলিয়নের প্রবেশদ্বারের ডিজাইনে থাকছে নান্দনিক টেরা-কোটা। প্রথম তলায় প্রদর্শন ও বিক্রির জন্য থাকছে ফ্রিজ, টিভি, এসি, ওয়াশিং মেশিন, ইলেকট্রিক ও মাইক্রোওয়েব ওভেন, ইন্ডাকশন কুকার, ব্লেন্ডার, গ্যাসস্টোভ, বৈদ্যুতিক পাখা, ইলেকট্রিক সুইস-সকেট, এসিড লেড রিচার্জেবল ব্যাটারিসহ কয়েক শতাধিক মডেলের বিশ্বমানের ইলেকট্রনিক্স, ইলেকট্রিক্যাল ও হোম অ্যাপ্লায়েন্সেস। আরো থাকছে হেল্প ডেস্ক। দ্বিতীয় তলায় থাকছে মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ, ডিজিটাল ডিভাইস অ্যান্ড এক্সেসরিজ, লিফট, কম্প্রেসার, জেনারেটরসহ বিভিন্ন ধরণের ইন্ডাস্ট্রিয়াল সলিউশনস। তৃতীয় তলায় থাকছে সুবিশাল স্টোর।

বাণিজ্য মেলায় ওয়ালটন প্যাভিলিয়ন পরিচালনার দায়িত্বে থাকা প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক মো: হুমায়ুন কবীর বলেন, এবার কিছু চমক থাকছে। প্যাভিলিয়নের ভিতরে থাকছে দেশের ইলেকট্রনিক্স শিল্পখাতের পথিকৃৎ এসএম নজরুল ইসলামের মূর্যাকলচিত্র। আরো থাকছে ৯৮ ইঞ্চির বড় পর্দার এলইডি টিভি। যেখানে ওয়ালটন পণ্যের অত্যাধুনিক উৎপাদন প্রক্রিয়া এবং কর্পোরেট ডক্যুমেন্টারি প্রদর্শিত হবে। এতে করে, মেলায় আগত ক্রেতা-দর্শণার্থীরা ওয়ালটন পণ্যের উৎপাদান সম্পর্কে বাস্তুব জ্ঞান পাবেন।

বিপুল পরিমান ক্রেতা, দর্শণার্থীর চাপ মোকাবেলা ও নিরাপত্তার নিশ্চিত করার বিষয়ে অধিক জোর দিয়েছে ওয়ালটন। কাঠামো নির্মান, অভ্যন্তরীন সাজসজ্জ্বায়, বৈদ্যুতিক সংযোগ স্থাপনে ব্যবহার করা হয়েছে ফায়ার রেসিস্ট্যান্ট ক্যাবলস, স্টিলের কাঠামো, এসিপি (এ্যালুমিনিয়াম কম্পোজিট প্যানেল) বোর্ড, গ্লাস ইত্যাদি। প্যাভিলিয়নের বিভিন্ন ফ্লোরে যাতায়াতের জন্য থাকছে সুপরিসর লিফট। ওয়ালটনের তৈরি এই লিফট প্রদর্শন ও বিক্রিও করা হবে।

প্রকৌশলী শাদী মোহাম্মদ রুম্মান জানান, ৭ হাজার ৫’শ বর্গফুট আয়তনে দৃষ্টিনন্দন ওয়ালটন প্যাভিলয়নের নির্মাণ কাজে অনুসরণ করা হয়েছে গ্রীন টেকনোলজী মেথড। মেলা শেষে এসব ম্যাটেরিয়ালস দীর্ঘস্থায়ী কাঠামো নির্মাণেও কাজে লাগবে। স্টিল ও এসিপি বোর্ডগুলোর ৯০ শতাংশই পরবর্তীতে ব্যবহারযোগ্য। ইন্টেরিয়র ডেকোরেশনে ব্যবহার করা হচ্ছে ফায়ার রেসিস্ট্যান্ট এসিপি (এ্যালুমিনিয়াম কম্পোজিট প্যানেল), গ্লাস এবং স্টিলের ফ্রেম। প্যাভিলিয়নে বাইরে থাকছে সবুজের সমারোহ।

মেলায় ওয়ালটন পণ্য প্রদর্শন ও বিক্রিতে প্রায় একশ এক্সিবিটর কাজ করবে। দেশী-বিদেশী ক্রেতা, দর্শনার্থীদের কাছে বাংলাদেশে তৈরি প্রযুক্তি পণ্যের উচ্চ গুণগতমান ও অন্যান্য বিশেষ দিক তুলে ধরতে এক্সিবিটরদের দেয়া হয়েছে উচ্চতর প্রশিক্ষণ। পণ্যে ব্যবহৃত অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও উৎপাদন প্রক্রিয়া সম্পর্কে বাস্তব জ্ঞান দিতে তাদেরকে ওয়ালটন কারখানা ঘুরে দেখানো হয়েছে।

মেলার প্রস্তুতি প্রসঙ্গে ওয়ালটন প্যাভিলিয়ন (নম্বর-২৩) নির্মানের দায়িত্বে নিয়োজিত সেলিম রেজা জানান, বাইরের কাঠামোর কাজ শেষ। চলছে অভ্যন্তরীণ সাজ-সজ্জার কাজ। তিনি বলেন, প্রযুক্তি পণ্যে ওয়ালটন দেশের এক নম্বর ব্র্যান্ড। যে কারনে ওয়ালটনের প্রতি সবার একটি বাড়তি আকর্ষণ থাকে এবং সবাই পণ্য কিনতে বা দেখতে আসেন। একসঙ্গে যাতে অনেক ক্রেতা-দর্শনার্থী প্রবেশ এবং বের হতে পারে সেজন্য ১৮ ফুট চওড়া প্রবেশদ্বার করা হচ্ছে। নিচতলা থেকে দ্বিতীয় তলায় উঠার সুবিধার্থে থাকছে অত্যাধুনিক সুপরিসর লিফট। পাশাপাশি থাকবে ৭ ফুট চওড়া সিঁড়ি।

উল্লেখ্য, গত ১২ বছর ধরে মেলায় সেরা ভ্যাটদাতার পুরস্কার চালু হওয়ার পর থেকে প্রতিবছর শীর্ষ ভ্যাটদাতার সম্মান অর্জন করে আসছে ওয়ালটন। এছাড়া প্রায় প্রতিবছরই সেরা প্যাভিলিয়নের পুরস্কার পেয়ে আসছে ওয়ালটন। দেশের এক নম্বর ব্র্যান্ড হিসেবে ওয়ালটনের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি পণ্যের প্রতি ক্রেতা-দর্শণার্থীদের বাড়তি আকর্ষণ থাকে। সে কারণে প্রযুক্তিপ্রেমীরা ওয়ালটন প্যাভিলিয়নে ভিড় করেন।

Exit mobile version