কোথায় যাবে রাজধানীবাসী? দ্রুত যোগাযোগে পাঠাও যেটুকু আশার পথ দেখাচ্ছিল, নরঘাতক বাসের চালকেরা যাত্রীদের পিষে মারছে। এর কি কোনো প্রতিকার নেই? কে থামাবে বাস চালকদের?
পুলিশ জানায়, রাজধানীর দক্ষিণ খান এলাকায় বাসা থেকে মোটরসাইকেলে করে অফিসে যাচ্ছিলেন মোহাম্মদ নাজমুল হাসান ফুয়াদ (৩৫)। বিমানবন্দর চত্বর ছেড়ে আসার পরপরই বিআরটিসির একটি যাত্রীবাহী বাস তাঁকে বহনকারী পাঠাও সার্ভিসের মোটরসাইকেলটিকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। প্রচণ্ড ধাক্কায় রাস্তায় ছিটকে পড়েন ফুয়াদ ও মোটরসাইকেলচালক মফিজুল ইসলাম (২৫)। তাঁদের ধাক্কা দেওয়ার পরও বেপরোয়া বাসটি থামেনি। উল্টো ফুয়াদের মাথার ওপর বাসের সামনের চাকা তুলে দেন এর চালক আজিজুল হক ওরফে সোহাগ। চাকায় পিষ্ট হয়ে ফুয়াদের মাথা ফেটে যায়। ঘটনাস্থলে প্রাণ হারান তিনি।
বুধবার সকাল নয়টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ জানায়।
দুর্ঘটনার সময় শেয়ার রাইডের চালকের মাথায় হেলমেট থাকলেও আরোহীর মাথায় হেলমেট ছিল না।
হেলমেট নিয়ে এ এক যন্ত্রণা। অধিকাংশ ক্ষেত্রে পাঠাও চালকেরা যাত্রীর জন্য হেলমেট রাখছেন না। এটি সতর্ক হওয়ার সময় এসেছে।
নিহত ফুয়াদ তথ্যপ্রযুক্তি ও টেলিযোগাযোগ সেবা খাতের কোম্পানি এডিএন টেলিকমের রেভিনিউ অ্যাসুরেন্স বিভাগের সিনিয়র অফিসার ছিলেন।
দুর্ঘটনার পর বাসটির চালক আজিজুল হক সোহাগকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে বলে জানা গেছে। এসব বাস চালকদের কখনো কিছু হয় বলে শোনা যায় না। কেন? এর উত্তর সবার জানা। কিন্তু অসহায় যাত্রীর পাশে কেউ কি নেই?