TechJano

‘বিপদ থেকে আত্নরক্ষার উপায় জানতে হবে’ ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ইন্টারনেটের নিরাপত্তা বিষয়ক জ্ঞান কেবলমাত্র ব্যক্তিগত প্রয়োজনেই নয়, সাইবার নিরাপত্তার জন্য এটি একটি পেশা হিসেবে কাজ করবে।

তিনি ইন্টারনেট নিরাপত্তা বিষয়ক প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রম চালুর প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের বিপদ থেকে আত্নরক্ষার উপায় জানতে হবে। প্রযুক্তির পাশাপাশি ইন্টারনেট নিরাপদ রাখতে সচেতনতা অপরিহার্য।

মন্ত্রী আজ ঢাকায় অ্যাট বাংলাদেশ আয়োজিত সাইবার সিকিউরিটি চ্যালেঞ্জ ২০১৯ শীর্ষক প্রতিযোগিতা উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, জ্ঞান ভান্ডার হিসেবে জ্ঞান আহরণের জন্য ইন্টারনেট ব্যবহার করার বিকল্প নেই। কিন্তু মনে রাখতে হবে ইন্টারনেট প্রতিমূহুর্তে বিপদের কারণও হতে পারে। এই জায়গায় যত্নবান হতে হবে। বিপদ উত্তরণের উপায় জানতে হবে। ইন্টারনেটে বিপদ থেকে নিরাপদ থাকার উপায় জানা থাকলে ইন্টারনেট ব্যবহারে কোন সমস্যা হবে না।

ইন্টানেটে সামাজিকভাবে কিছু কিছু বিপদ থেকে রক্ষায় ডাক ও টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তর একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই প্রকল্পের মাধ্যমে আমরা ইতোমধ্যে ২২ হাজার পর্নো সাইট এবং দুই হাজার জুয়ার সাইট বন্ধ করেছি। একইভাবে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া দেশ ও জাতির জন্য ক্ষতিকর কনটেন্ট প্রযুক্তির মাধ্যমে যতটুকু সম্ভব বন্ধ করা হচ্ছে। তবে প্রযুক্তি দিয়ে ইন্টারনেট নিরাপদ রাখার পাশাপাশি মানুষের মধ্যে ব্যাপক সচেতনতা তৈরি করতে হবে।

জনাব মোস্তাফা জব্বার বাংলাদেশে ইন্টারনেট প্রসারের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরে বলেন, বাংলাদেশে ইন্টারনেটের প্রসার ঘটেছে গত এক দশকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে। তিনি বলেন, ২০০৮ সালে দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারির সংখ্যা ছিল মাত্র ৮ লাখ। গত এগারো বছরে তা দশ কোটি অতিক্রম করেছে। দেশে তথ্যপ্রযুক্তি বিকাশে অভাবনীয় রূপান্তর হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আমরা ডিজিটাল হবো নিরাপদও থাকবো। তিনি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রসংগ তুলে ধরে বলেন, রাষ্ট্র, সমাজ, পরিবার বা সন্তানের জন্য ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটা খুব প্রয়োজন ছিল।

অনুষ্ঠানে অ্যাসোসিও এর সাবেক সভাপতি আবদুল্লাহ এইচ কাফি, বাক্য সাধারণ সম্পাদক তৌহিদ হোসেন, আইএসপিএবি সেক্রেটারি এমদাদুল হক এবং বাংলাদেশ ওমেন আইটি ফোরাম সভাপতি রেজোয়ানা খান বক্তৃতা করেন। সাংবাদিক হাসান জাকির অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।

অনুষ্ঠানে মন্ত্রী প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন। দেশের ৫০টিরও বেশী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সাইবার সিকিউরিটি চ্যালেঞ্জ প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত পর্বে অংশ নেয়।

Exit mobile version