একুশ শতকের দীর্ঘতম রক্তিম লাল পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ দেখলো বিশ্ববাসী। শুক্রবার রাতে এই চন্দ্রগ্রহণ স্থায়ী ছিলো প্রায় পৌনে দুই ঘন্টা। এই শতাব্দীতে এমন গ্রহণ আর দেখা যাবে না। শতাব্দীর দীর্ঘতম চন্দ্রগ্রহণকে ঘিরে উচ্ছ্বাস ও উন্মাদনা ছিল গোটা বিশ্বে। ২৭ জুলাই মধ্যরাতের এই বিরল মহাজাগতিক ঘটনা ঘিরে উচ্ছ্বাস কম ছিল না এশিয়াতেও।
৬ ঘণ্টার গ্রহণে কখনো চাঁদের অনুজ্জ্বল ধূসর, কখনো বা রক্ত-লাল ‘ব্লাড মুন’ রূপ দেখা গেছে। মধ্যরাতের আকাশে রক্তবর্ণ লাল চাঁদের শোভা দেখতে গোটা দুনিয়ার কৌতূহল ছিল চোখে পড়ার মত। সোশ্যাল মিডিয়াতেও আসে সেই বিরল মহাজাগতিক ঘটনার ছবি। শতাব্দীর দীর্ঘতম চন্দ্রগ্রহণ দেখলো বিশ্ববাসী. শতাব্দীর দীর্ঘতম পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ দেখলো বিশ্ব।
ইউরোপ, মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া, এশিয়া এবং দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলোর থেকে পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ উপভোগ করেছেন কোটি কোটি মানুষ। তবে বাংলাদেশের আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকায় অনেকেই এই মহাজাগতিক দৃশ্য দেখতে পাননি।
ঢাকার স্থানীয় সময় অনুযায়ী এই চন্দ্রগ্রহণের উপচ্ছায়া পর্যায় শুরু হয়েছে রাত ১১টা ১৩ মিনিটে, আংশিক চন্দ্রগ্রহণ শুরু রাত ১২টা ২৪ মিনিটে, পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ শুরু রাত দেড়টায়। পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণ সমাপ্ত রাত ৩টা ১৩ মিনিটে এবং আংশিক চন্দ্রগ্রহণ সমাপ্ত হয় রাত ৪টা ১৯ মিনিটে।
ঢাকার বিজ্ঞান জাদুঘরে দর্শনার্থীদের জন্য চন্দ্রগ্রহণ দেখার আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশের আকাশে মেঘ থাকায় চন্দ্রগ্রহণ দেখতে সমস্যা হলেও রাত জেগে শতাব্দীর দীর্ঘ চন্দ্রগ্রহণ দেখেছেন অনেকেই। একটা সময় লাল গ্রহ মঙ্গলও এসে পড়ে পৃথিবীর কাছে।
পরবর্তীতে এতো দীর্ঘ আরেকটি পূর্ণ চন্দ্রগ্রহণের জন্য বিশ্বকে অপেক্ষা করতে হবে আরও ১০৫ বছর, ২১২৩ সাল পর্যন্ত। সেইবারের পূর্ণ গ্রহণ সময়কালে এই গ্রহণটিকেও ছাড়িয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: