TechJano

বিশ্বের ১ম স্যাটেলাইটের অবয়বে এবারের বিশ্বকাপের বল!

স্বাগতিক রাশিয়ায় অনুষ্ঠিতব্য ২০১৮ ফিফা বিশ্বকাপ ফুটবল খেলার আনুষ্ঠানিক বল এর নাম আডিডাস টেলস্টার ১৮। বিশ্বকাপ ম্যাচগুলোতে যে বল ব্যবহার করা হচ্ছে, তার ডিজাইন ১৯৭০ সালের বিশ্বকাপের বলের সঙ্গে মিল রয়েছে । বিশ্ব ফুটবলের প্রধান নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা’র অন্যতম অংশীদার ও ১৯৭০ সাল থেকে ফিফা বিশ্বকাপে বল সরবরাহকারী আডিডাস প্রতিষ্ঠান এ বল তৈরির দায়িত্ব পায়। ১৯৭০ সালের প্রথম অাডিডাস বিশ্বকাপ বলের নাম এবং নকশাটির উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে এটিকে।

অ্যাডিডাসের তৈরি টেলস্টার ১৮ বলটির ডিজাইন করা হয়েছে টেলস্টার স্যাটেলাইটের সঙ্গে মিলিয়ে। বিশ্বের প্রথম যোগাযোগের জন্য তৈরি কৃত্রিম উপগ্রহ ছিল সেটি। যৌথভাবে নাসা আর ততকালীণ বেল কমিউনিকেশনস, যা আজকে এটি অ্যান্ড টি নামে কোম্পানি তৈরি করেছিল সেটি। টেলস্টার কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল ১৯৬২ সালে। তার আদলে প্রথম বল, অ্যাডিডাস টেলস্টার তৈরি হয়েছিল ১৯৭০ সালে।

অ্যাডিডাস এবারের বলে দিয়েছে প্রপেলারের মত প্যানেল। উড়ন্ত অবস্থায় যাতে এদিক ওদিক উড়ে না যায়, যেন ঠিক পথে থাকে সেদিকে সবচেয়ে বেশি নজর দেয়া হয়েছে। বলের মধ্যে আছে এনএফসি চিপ, যার মাধ্যমে বলের নানাবিধ তথ্য ফোনের অ্যাপ থেকেই দেখে নিতে পারছেন রেফারিরা। বলের সঙ্গে স্যাটেলাইটের মিল রাখা অনেকটাই প্রতীকী। যোগাযোগের দুনিয়ায় চলে এসেছি আমরা, ফুটবল খেলাও ব্যতিক্রম নয়, এটাই তার চিহ্ন।

আডিডাস টেলস্টার ১৮ বলটিতেও রয়েছে বিশেষ ফিচার। বলে লাগানো হয়েছে চিপ, এই প্রযুক্তির নাম হচ্ছে এনএফসি, যার পূর্ণরূপ ‘নিয়ার ফিল্ড কমিউনিকেশন’। তবে, এটির খেলোয়াড়দের নিকট এর মূল্য নেই, তাদের কিক বা হেডার সম্পর্কে কোন তথ্য প্রদান করবে না এটি, যদিও অাডিডাস আগের ফুটবলে এটি প্রদান করেছে। ক্রেতারা যারা টেলস্টার ১৮ ক্রয় করবে, তারা একটি স্মার্ট ফোন ব্যবহার করে চিপের সাথে সংযোগ স্থাপন করতে সক্ষম হবে যাতে তারা কনটেন্ট ও ডাটা অ্যাক্সেস করতে পারে, যেটি এ বলের অনন্য বৈশিষ্ঠ্য।

Exit mobile version