ইনফিনিক্স বিগত কয়েক বছর ধরে ক্রমবর্ধমান উদ্ভাবনী ডিভাইস তৈরি করছে। ডিজাইন ও প্রযুক্তির সমন্বয়ে তরুণদের হাতে পরবর্তী প্রজন্মের অধিকতর উন্নত মানের মোবাইল ডিভাইস পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে নিজেদের পণ্যের মানোন্নয়নে প্রতিনিয়ত চেষ্টা করে যাচ্ছে তারা।
মাস দুয়েক আগে ‘এপ্রিল ফুল ডে’ তে ফাঁস করা হয়েছিল রহস্যঘেরা ইনফিনিক্সের নতুন ১৫০ ওয়াট চার্জিং প্রযুক্তির। যা তারা ভবিষ্যতের ডিভাইসগুলোতে যুক্ত করার পরিকল্পনা করছিল। পরে জানা গেল কৌতুহলবশত ‘এপ্রিল ফুল ডে’ তে আপলোড করা ওই প্রযুক্তির খবর আসলে নিছক কোনও রসিকতা ছিল না। কার্যতই সেটি ছিল তাদের ১৬০ ওয়াট চার্জিং প্রযুক্তির টিজার মাত্র।
সম্প্রতি এক্সডিএ ফাঁস করা এক খবরে দেখা যায়, সেটি ছিল ইনফিনিক্সের সম্প্রতি উদ্ভাবিত ১৬০ ওয়াট আলট্রা ফাস্ট চার্জিং প্রযুক্তি সমর্থনকারী নতুন ও বিস্ময়কর ইনফিনিক্স ফোনের ঝলক মাত্র। ইনফিনিক্স তাদের পরবর্তী প্রজন্মের ফোনের মধ্যে ১৬০ ওয়াটের চার্জিংয়ের মতো বিস্ময়কর নতুন নতুন প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের সমন্বয় করতে যাচ্ছে। যা তাদের গ্রাহকদের প্রত্যাশাকে অক্ষুন্ন রেখে অবিশ্বাস্য সব স্মার্টফোন তৈরির পথচলাকে আরও সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আর দুর্দান্ত প্রযুক্তির সমন্বয় তৈরি নতুন ফোনগুলো উৎকর্ষতার সীমা ছাড়িয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে ইনফিনিক্সের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের সাক্ষী হবে বলে আশা করাই যায়। আসুন তবে জেনে নেয়া যাক কি থাকছে ১৬০ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং প্রযুক্তিতে। এক জটিল প্রযুক্তির নাম ১৬০ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং।
বর্তমানে বাজারে থাকা ৬সি সেল ব্যাটারির চার্জিং গতি ১৬০ ওয়াটের অনেক নিচে। ৬সি সেল ব্যাটারির গতি অপোর ১২৫ ওয়াটের (ব্র্যান্ডডেড ফ্ল্যাশ চার্জ) এর কাছাকাছি। অন্যদিকে, সম্প্রতি সবচেয়ে ফাস্ট চার্জিং প্রযুক্তি ১০সি সেলের ২০০ ওয়াট চার্জিং সিস্টেম নিয়ে আসার ঘোষণা দিয়েছে শাওমি।
প্রযুক্তির উৎকর্ষতার স্মার্টফোনের বাজারে নেতৃত্ব দেওয়া প্রতিযোগীদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে শক্তিশালী অবস্থানে ঠিক বজায় রেখেছে ইনফিনিক্স। যে দ্রুততার মধ্যে অতীতে বিভিন্ন পণ্য নিয়ে এসেছে ইনফিনিক্স সেটা বজায় রাখলে এবং শাওমি তাদের ২০০ ওয়াটের প্রযুক্তি বাজারে আনতে কিছুটা বেশি সময় নেয়। তবে এটা আশাই করা যায় ১৬০ ওয়াটের চার্জিং প্রযুক্তি প্রথমে বাজারে নিয়ে আসার সুযোগ পাবে ইনফিনিক্স।