বিবিধ

বেসিস নির্বাচনে জয়ী হয়ে মোহাম্মদ নূরুজ্জামান যা করতে চান

By Baadshah

March 25, 2018

ড্যাফোডিল পরিবারের প্রধান নির্বাাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ নূরুজ্জামান পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা সম্পন্ন করার পর মানব সম্পদ উন্নয়নে অবদান রাখার লক্ষ্যে তথ্য প্রযুক্তি ও শিক্ষাখাতে ক্যারিয়ার গড়েন। দীর্ঘ পঁচিশ বছরের গৌরবময় বর্ণাঢ্য কর্মজীবনে তিনি সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন শিক্ষা ও শিল্প-প্রতিষ্ঠানের সম্পর্ক উন্নয়নে। এজন্য তিনি শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও গবেষণার মাধ্যমে দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়নের পাশাপাশি একাডেমি ও শিল্প-প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সেত-ুবন্ধন রচনার চেষ্টা করেছেন। এই চেষ্টার ফল স্বরূপ দীর্ঘ কর্মজীবনে মোহাম্মদ নূরুজ্জামান বেশ কিছু শিক্ষা ও শিল্প-প্রতিষ্ঠানের মধ্যে টেকসই ও কার্যকর অংশীদারীত্বমূলক সম্পর্ক নির্মাণ করতে সফল হয়েছেন। ড্যাফোডিল ফ্যামিলির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে মোহাম্মদ নূরুজ্জামান বহুমুখী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে থাকেন। তিনি শিক্ষা বিভাগের নীতিনির্ধারণসহ সকল বিভাগের নিয়ন্ত্রণ ও ব্যবস্থাপনা, গবেষণা ও উন্নয়ন পরিচালনা, প্রশিক্ষণ পরিচালনা ও প্রশিক্ষকদের পরিচালনা, নিয়োগ প্রক্রিয়া পরিচালনা, কর্পোরেট প্রশিক্ষণ ব্যবস্থাপনা, স্থানীয় ও বৈশ্বিক পর্যায়ে মৈত্রী স্থাপন, প্রকল্প তত্ত¡াবধান, পাঠ্যক্রম সমš^য় ইত্যাদি কর্মকান্ড পরিচালনা করেন। মোহাম্মদ নূরুজ্জামান একজন দক্ষ প্রযুক্তিবান্ধব মানুষ। তাঁর উদ্যোগে বাংলাদেশে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় সফটওয়্যার কোয়ালিফিকেশন টেস্টার সনদ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান “আন্তর্জাতিক সফটওয়্যার টেস্টিং কোয়ালিফিকেশন্স বোর্ড’’ (আইএসটিকিউবি) অধীন বাংলাদেশে সফটওয়্যার টেষ্টিং বোর্ড গঠন করেন। তিনি ব্যক্তিগত উদ্যোগে এবং আন্তর্জাতিক সংগঠন সমূহের সহায়তায় দেশে এবং বিদেশে সফটওয়্যার শিল্পের গুণগত মান নিশ্চিত ও বিকাশে অবদান রেখে চলেছেন। একজন আত্ম-উন্নয়নশীল ব্যক্তি হিসেবেও রয়েছে তাঁর খ্যাতি। তিনি নিজের আত্ম-উন্নয়নের লক্ষ্যে নিয়মিতভাবে দেশে বিদেশের বিভিন্ন সেমিনার, প্রশিক্ষণ, কর্মশালা ও সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন। তিনি ভারত, নেপাল, থাইল্যান্ড, তাইওয়ান, মালয়েশিয়া, হংকং, কোরিয়া, চীন, জার্মানি, ইতালি, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, তুরস্ক, অস্ট্রেলিয়া, চেক প্রজাতন্ত্র, সুইজারল্যান্ড, ফ্রান্স, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও জাপানসহ বিশ্বের প্রায় চল্লিশটি দেশ ভ্রমণ করেছেন। ড্যাফোডিল পরিবারের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই মোহাম্মদ নূরুজ্জামান এ গ্রæপের ক্রমাগত ও টেকসই অগ্রযাত্রায় গুরুত্বপূর্ন ভ‚মিকা রাখেন। তাঁর পেশাদারীত্ব, দূরদর্শিতা, লক্ষভেদী সিদ্ধান্ত, নীতিনির্ধারণ, কৌশলপত্র প্রণয়ন, রাজস্ব লক্ষ্য নির্ধারণ, মুনাফা সংযোজন এবং ইতিবাচক নেতৃত্বের মাধ্যমে ইতোমধ্যে তিনি নিজের দক্ষতা ও যোগ্যতার প্রমাণ দিয়েছেন এবং ড্যাফোডিল পরিবারের উর্ধ্বতন ব্যবস্থাপকদের ¯^প্ন পূরণে নেতৃত্ব দিয়ে চলেছেন। শুধু নিজেকেই নেতৃত্বের উচ্চতর আসনে নিয়ে যাননি মোহাম্মদ নূরুজ্জামান, বরং অনেক সুযোগ্য নেতাও তৈরি করেছেন যারা যেকোনো প্রতিষ্ঠানে পেশাদারত্বের সঙ্গে নেতৃত্ব দিতে সক্ষম। এমনকি নিজ প্রতিষ্ঠানের মধ্যেই উদ্যোক্তা তৈরিতেও তাঁর ভূমিকা উল্লেখযোগ্য। মোহাম্মদ নূরুজ্জামান বৃটিশ কম্পিউটার সোসাইটি, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান সমিতি, বাংলাদেশে সফটওয়্যার টেস্টিং কোয়ালিফিকেশন্স বোর্ড, ইন্টারন্যাশনাল সফটওয়্যার টেস্টিং কোয়ালিফিকেশন্স বোর্ডসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সম্মানিত সদস্য। তিনি বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব এমআইএস প্রফেশনালসের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। এসবের বাইরেও মোহাম্মদ নূরুজ্জামান বিভিন্ন সামাজিক কর্মকান্ডে নিজেকে যুক্ত রেখেছেন। তিনি উত্তরণ সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা ও মহাসচিব, অ্যাফোর্ডের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি, অ্যালাইটের প্রতিষ্ঠাতা ও সহসভাপতি এবং মেঘনা উপজেলা সমিতির প্রতিষ্ঠাতা ও মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। মোহাম্মদ নূরুজ্জামান বিশেষ করে ৩ টি সেক্টরে নিবিঢ়ভাবে অবদান রেখে চলেছেন। ১. সফটওয়্যার শিল্প ও শিক্ষার দূরত্ব হ্রাস করার জন্য ইন্ডাষ্ট্রি-একাডেমিয়া সেতু-বন্ধন (লিংকেজ) তৈরীতে দীর্ঘদিন কাজ করে যাচ্ছেন এবং শিল্পের চাহিদা অনুযায়ী স্কিল্ড জনবল তৈরিতে প্রতিনিয়ত কাজ করে চলছেন। ২. সফটওয়্যার খাতকে বিদেশে বিশেষ করে ইউরোপ ও আমেরিকার দেশগুলোতে জনপ্রিয় করার জন্য এবং মানসম্পন্ন সফটওয়্যার তৈরিতে কাজ করে যাচ্ছেন। বাংলাদেশ সফটওয়্যার টেষ্টিং বোর্ড ও ইন্টারন্যাশনাল সফটওয়্যার টেষ্টিং কোয়ালিটি বোর্ডের বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করে চলছেন এবং সফটওয়্যার রপ্তানির নতুন নতুন বাজার তৈরিতে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। ৩. ড্যাফোডিল ইনস্টিটিউট অব আইটি সহ অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় দেড় সহ¯্রাধিক অ্যালামনাই যুক্তরাজ্য, জার্মানী, অষ্ট্রেলিয়া, কানাডাসহ বিভিন্ন দেশে স্থায়ীভাবে বসবাস করছে এবং আইটি শিল্পের অনেক উচ্চ পদে অধিষ্ঠিত রয়েছে, এসব প্রথিতযশা মেধাবী পেশাদারদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ ও তাদের নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে সফটওয়্যার বাজার সৃষ্টিতে অবদান রেখে চলছেন। তিনি মনে করেন, সফটওয়্যার ইন্ডাষ্ট্রিতে বাংলাদেশে প্রচুর সম্ভাবনা ও প্রচুর পণ্য রয়েছে কিন্তু পর্যাপ্ত বিপণন সুবিধা বা মার্কেটিং আউট লেট না থাকায় প্রত্যাশিত সাফল্য বা কাংখিত লক্ষ্য অর্জন করা সম্ভব হচ্ছে না। বিশ্বজুড়ে নন র‌্যাসিডেন্ট বাংলাদেশীদের (এনআরবি) টেওয়ার্ক, বিশেষ করে ১৯৯৭ সাল থেকে পাস করা ডিআইআইটির প্রায় ১৫০০ আইটি গ্র্যাজুয়েটদের নেটওয়ার্ক যারা যুক্তরাজ্য, জার্মানী, অষ্ট্রেলিয়া, কানাডাসহ বিভিন্ন দেশে স্থায়ীভাবে বসবাস করছে এবং অনেকেই আন্তর্জাতিকভাবে আইটি শিল্পের অঙ্গনে গুরুত্বপূর্ন পদে অধিষ্ঠিত রয়েছে, তাদের নেটওয়ার্ক এবং আইএসটিকিউবি’র নেটওয়ার্ক যথার্থভাবে কাজে লাগাতে পারলে এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের যতগুলো দূতাবাস রয়েছে তাদের প্রত্যেকের সাথে ’এনআরবি’দের নেটওয়ার্ক ডেভেলপ করে সফটওয়্যার রপ্তানীর জন্য বিশাল বাজার তৈরি করা সম্ভব বলে মনে করেন মোহাম্মদ নূরুজ্জামান। আসন্ন বেসিস নির্বাচনে মোহাম্মদ নূরুজ্জামান পরিচালক পদে অংশ নিয়েছেন। তিনি সকলের দোয়া ও সমর্থন চাচ্ছেন। তিনি নির্বাচিত হলে, বেসিসের পক্ষ থেকে বিশেষ উদ্যোগ নিবেন। বাংলাদেশের সমস্ত প্রমিনেন্ট সফটওয়্যার গুলোকে প্যাকেজের আওতায় এনে সমস্ত প্রোডাক্টগুলোকে সারা পৃথিবীতে মার্কেটিং করার ব্যাপারে কাজ করতে আগ্রহী এ প্রযুক্তিবিদ। ন্যাসকমের মত আউট সোর্সিং ইন্ডাষ্ট্রিতে বেসিসও বাংলাদেশে বৃহৎ অবদান রাখতে পারবে কারণ বাংলাদেশের আউট সোসিং ইন্ডাস্ট্রির বেশিরভাগ নিয়ন্ত্রকই ডিআইআইটি’র শিক্ষার্থীরা। বেসিসের ছায়াতলে আসতে পারলে ডিআইআইটি’র এ নেটওয়ার্ককে কাজে লাগিয়ে বেসিসকে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিয়ে বাংলাদেশের জন্য সফটওয়্যার শিল্পের অবাধ বাজার সৃষ্টি করতে সক্ষম হবেন। মোহাম্মদ নূরুজ্জামান বেসিসের দায়িত্ব পেলে তিন মাসের মধ্যে সম্পূর্ন নিজস্ব উদ্যোগে তার এ বিশাল নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ, মালয়েশিয়া, অষ্ট্রেলিয়া, জার্মানী, দুবাইসহ ৬টি দেশকে লক্ষ্য নির্ধারণ করে বেসিস এবং বাংলাদেশের আইটি ইন্ডাষ্ট্রিকে ব্র্যান্ডিং এবং সফটওয়্যার মাকেটিং করার লক্ষ্যে লিয়াজো অফিস স্থাপন করবেন, সেখানে বেসিসের কোন আর্থিক বিনিয়োগ প্রয়োজন হবে না। আগামি তিনমাসের সফটওয়্যার খাতকে আরো বেশী প্রসারিত করতে আগ্রহী। যেহেতু আইসিটি মন্ত্রণালয়, কেন্দ্রীয় ব্যাংক (বাংলাদেশ ব্যাংক) সফটওয়্যার রপ্তানীতে ১০% ইনসেনটিভ প্রদান করছে সেহেতু তারাও এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করবেন। আমাদের দেশ থেকে বহু ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দল বিভিন্ন দেশ ভ্রমন করেছেন অথচ কাজের কাজ কিছুই হয়নি। কোথাও আমাদের অফিস বা মার্কেটিং আউট লেট স্থাপিত হয়নি। ন্যাসকম যদি সারা পৃথিবীতে তাদের নেটওয়ার্ক তৈরি করতে পারে তাহলে বেসিসের পক্ষেও সারা পৃথিবীতে মার্কেটিং নেটওয়ার্ক তৈরি করা সম্ভব বলে মনে করেন মোহাম্মদ নূরুজ্জামান। সর্বোপরি তিনি দেশীয় সফটওয়্যার শিল্পকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তুলে ধরতে চান।