রাত পোহালেই বেসিস নির্বাচন। শেষ মুহুর্তে অনেকেই ফেসবুক স্ট্যাটাসে অনেক কথা লিখছেন। খালেদ সাইফুল্যাহ তাঁর ফেসবুকে লিখেছেন, বেসিস নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শেষ। হিসাব নিকাশ চলছে কারা আসছেন আগামীবার। আমার একটা ধারণা ইন্ড্রাস্টির অভিজ্ঞতার পাশাপাশি ব্যক্তি ইমেজ ও বেসিস কেন্দ্রিক যাদের গ্রাউন্ড ওয়ার্ক ভালো তারাই ভালো ফলাফল করবেন এবার। নির্বাচনে অংশগ্রহনকারী সব প্রার্থীর জন্যই শুভকামনা। নির্বাচনকে ঘিরে যিনি একক প্যানেল কিংবা মূলধারা বলে গলা ফাটিয়েছেন তিনি ইতোমধ্যে ছিটকে পড়েছেন। তিনিসহ সবার উদ্দেশ্যে একটি কথাই বলবো অপকৌশল নয় বরং সদস্যদের ম্যান্ডেট নিয়ে নেতা হতে শিখুন, সদস্যদের মতামতকে সন্মানও মূল্য দিতে শিখুন তাহলেই কেবল আপনি গ্রহনযোগ্য নেতা হতে পারবেন। ফাহিম মাশরুর লিখেছেন, আগামীকাল বেসিসের নির্বাচন। সবচেয়ে বেশি সংখ্যক প্রার্থী নিয়ে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এই নির্বাচন অনেক দিক থেকেই আলোড়িত। শুধু বেসিস মেম্বাররা নয়, ইন্ডাস্ট্রি ও ইন্ডাস্ট্রির বাইরের অনেকের আগ্রহের জায়গা তৈরী হয়েছে এই নির্বাচন। মাঝখানে অনিশ্চয়তা তৈরী হলেও সবাই খুশি যে শেষ পর্যন্ত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এবং বেসিস মেম্বাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে আগামী দিনের জন্য তাদের নেতৃত্ব নির্বাচন করতে যাচ্ছে। অভিনন্দন সকল প্রার্থী ও ভোটারদের যারা এই নির্বাচনী উৎসবে শামিল হয়েছেন। আশা করি আগামীকাল সাজসাজ রবে একটি সুষ্ঠু, সুন্দর এবংপরিচ্ছন্ন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। অন্য সকল ট্রেড বডির জন্য এই নির্বাচন একটি উদাহরণ হিসাবে থেকে যাবে। টিম দুর্জয়ের প্রার্থী মোস্তাফা ইসলাম ডিউক লিখেছেন, কাছে পৌঁছতে পারিনি। রাখতে পারিনি হাতে হাত। একটি ঘটনায় ঐক্যবদ্ধ হয়েছি। আপনাদের সমর্থন চেয়েছি। আশা রাখছি, দেখা হবেই। কথাও দিচ্ছি। মুনীর হাসান জিয়া আশরাফকে নিয়ে লেখা এক পোস্টে লিখেছেন, জিয়াকে যারা ভোট দেবেন তারা মনে রাখবেন উৎসাহ ও আস্থা একজন মানুষ আর একটি প্রতিষ্ঠানকে অনেকদূর নিয়ে যেতে পারে। সৈয়দ আলমাস কবীরকে নিয়ে আসিফ আনহাফ লিখেছেন, বেসিস ইলেকশন আগামিকাল। ৩টি প্যানেল থেকেই পছন্দের প্রার্থি থাকছে আমার।তবে প্রেসিডেন্ট হিসেবে সব থেকে যোগ্য সৈয়দ আলমাস কবীর ভাইকেই মনে হয়। কারন গত ৫-৬ বছরে অন্য প্যানেল লিডারদের আমি তেমন বেসিস নিয়ে একটিভ থাকতে দেখি নি। সফটেক্সপো, এপিক্টা, এজিএম, পিকনিক এগুলোতে বাকিদের হয়ত এক্টিভ থাকলে মেম্বারদের সাথে যোগাযোগ বেড়ে যেত। তবে আশা করি সবাই ই এখন থেকে এক্টিভ থাকবেন, ১১০০ মেম্বারদের দায়িত্ব নেওয়ার জন্য মেম্বারদের সাথে এক্টিভ থাকাটাও অনেক জরুরি। উইন্ড অব চেঞ্জের লুনা শামসুদ্দোহা লিখেছেন, নেতৃত্বের বদল হোক , শুভ কামনা সবার জন্য ! বেসিসের এক ভোটার মাসুমুল হাসান জানান, ৩৭ বছরের অতিবাহিত এই জীবনে কোন ইলেকসনে কখনও ভোট দেইনি। সবকিছু ঠিক থাকলে ৩১ মার্চ জীবনের প্রথম ভোট টি ইলেকসনে দিব। বেসিস থেকে নিয়ে অাসলাম ভোটার অাইডি । কাকে কে ভোট দেবেন? কিসের ভিত্তিতে দেবেন? কয়েকজন ভোটার জানান, ভোট হবে যোগ্যতার, সম্পর্কের আর দায়িত্ব পালনে সমর্থদের। এদিক থেকে আত্মবিশ্বাসী প্রার্থী আছেন কয়েকজন। তবে চূড়ান্ত ফল তো ব্যালটেই আসবে। ভোটাররাই বেছে নেবেন যোগ্যদের। তবে এখন পর্যন্ত ব্যালান্সড প্যানেলকেই এগিয়ে থাকার কথা বলেছেন কয়েকন।