দেশ

বেসিস, বিসিএস, বাক্যের সনদের গুরুত্ব বাড়ল

By Baadshah

February 09, 2018

বাংলাদশের সফটওয়্যার, হার্ডওয়্যার ও বিপিও খাতের তিন সংগঠনের সনদের গুরুত্ব বাড়ল এবার। তথ্যপ্রযুক্তি রপ্তানিতে ১০ শতাংশ নগদ সহায়তা বা ভর্তুকি পেতে বেসিস বিসিএস ও বাক্যের প্রত্যয়ন সনদ বাধ্যতামূলক। বাংলাদেশ ব্যাংকের উপ-মহাব্যবস্থাপক হারুন-অর-রশিদ স্বাক্ষরিত তথ্যপ্রযুক্তিতে রপ্তানি ভর্তুকির সার্কুলারে বলা হয়েছে, ভর্তুকির আবেদনপত্রের সাথে সংগঠনগুলোর প্রত্যয়ন সনদ দাখিল করতে হবে।‘ সফটওয়্যার রপ্তানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস), হার্ডওয়্যার রপ্তানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস) এবং আইটিইএস রপ্তানির ক্ষেত্রে বেসিস অথবা বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কল সেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং (বিএসিসিও) এই প্রত্যয়ন সনদ দেবে’। সার্কুলারে সনদের নমুনা ফরমও সংযুক্ত করে দেয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে সনদ প্রদানে অনিয়মের বিষয়টিও মাথায় রেখেছে সরকার। তাই শাস্তির বিধানও রাখা হয়েছে।

এসব বিষয়ে সংঘটিত অনিয়মের সাথে রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের কোনো কর্মকর্তা যুক্ত থাকলে অথবা মিথ্যা তথ্য দিয়ে অনিয়মে সহযোগিতা করলে রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশন বা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে উপযুক্ত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া যাবে। রপ্তানিতে ১০ শতাংশ নগদ সহায়তা বা ভর্তুকি দেয়ার সিদ্ধান্ত ও প্রজ্ঞাপন দেয়া হয়েছিল ২০১৭ সালেই। আগস্টে দেয়া বাংলাদেশ ব্যাংকের ওই প্রজ্ঞাপনে বাংলাদেশ হতে সফটওয়্যার, আইটিইএস (ইনফরমেশন টেকনোলজি এনাবল সার্ভিসেস) এবং হার্ডওয়্যার রপ্তানির বিপরীতে নগদ সহায়তা মিলবে এবং কী হারে মিলবে তা বলা হয়েছিল। এর আওতায় খাতের বিবরণ ও নীতি জানানো হয়নি।বৃহস্পতিবার ব্যাংকটির বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগের এই সার্কুলারে সফটওয়্যার, আইটিইএস ও হার্ডওয়্যারের আওতাভুক্ত পণ্য বা সেবার তালিকাসহ এর নীতি ও ভর্তুকির পাওয়ার বিস্তারিত জানানো হয়েছে। দেশে নিজস্ব কারখানায় বা প্রতিষ্ঠানে তৈরি সফটওয়্যার, আইটিইএস ও হার্ডওয়্যার রপ্তানির বিপরীতে নিট এফওবি মূল্যের ওপর ১০ শতাংশ হারে উৎপাদনকারী বা প্রস্তুতকারক-রপ্তানিকারকের ভর্তুকি প্রাপ্য হবে।তবে বিশেষায়িত অঞ্চল যেমন ইপিজেড, ইজেড, এইচটিপি এ অবস্থিত প্রতিষ্ঠান হতে রপ্তানির ক্ষেত্রে আলোচ্য সুবিধা প্রযোজ্য হবে না ।

এবারের প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এই নগদ সহায়তার সিদ্ধান্ত অবশেষে কার্যকর করা হলো। সফটওয়্যারের ক্ষেত্রে দেশের অভ্যন্তরে ডেভলপ করা সকল সফটওয়্যার এই নগদ সহায়তা পাবে।ইনফরমেশন টেকনোলজি এনাবেল সার্ভিসেস (আইটিইএস)-এ তালিকায় জায়গা পেয়েছে ডিজিটাল কনটেন্ট ডেভেলমেন্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট, অ্যানিমেশন টুডি ও থ্রিডি, গ্রাফিক ইনফরমেশন সার্ভিসেস (জিআইএস), আইটি সাপোর্ট অ্যান্ড সফটওয়্যার মেইনটেন্যান্স সার্ভিসেস, ওয়েবসাইট সার্ভিসেস, বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সি, ডেটা এন্ট্রি, ডেটা প্রসেসিং, কল সেন্টার, গ্রাফিক্স ডিজাইন (ডিজিটাল সার্ভিস), সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (এসইও), ওয়েব লিস্টিং, ই-কমার্স অ্যান্ড অনলাইন শপিং, ডকুমেন্ট কনভারসেশন, ইমেজিং অ্যান্ড আর্কাইভিং, সফটওয়্যার অথবা অ্যাপ্লিকেশন কাস্টমাইজেশন, ওয়েব ডেভেলমেন্ট, ওয়েবসাইট হোস্টিং, ডিজিটাল ডেটা।হার্ডওয়্যারের ক্ষেত্রে দেশের অভ্যন্তরে উন্নয়ন করা কিংবা সংযোজন করা বা একত্রীকৃত সব রকম ডিজিটাল যন্ত্র, যন্ত্রাংশ ও আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি এই সহায়তা পাবে।

উদাহরণ হিসেবে সার্কুলারে বলা হয়েছে, কম্পিউটার, ল্যাপটপ, স্মার্টফোন, ট্যাবলেট কম্পিউটার, আইওটি ডিভাইস, আইওটি বা ইন্টারনেট এনাবলড ডিভাইস, ডিজিটাল ডিসপ্লে ডিভাইস, সেমি কন্ডাক্টর এবং এ সংশ্লিষ্ট সকল যন্ত্র-যন্ত্রাংশ-আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি।সার্কুলারে বলা হয়, সফটওয়্যার ও আইটিইএস রপ্তানির ক্ষেত্রে ন্যূনতম ৩০ শতাংশ ও হার্ডওয়্যার রপ্তানির ক্ষেত্রে ন্যূনতম ২০ শতাংশ স্থানীয় মূল্য সংযোজনের শর্ত প্রযোজ্য হবে। আলোচ্য খাতে রপ্তানি ভর্তুকি ও ডিউটি ড্র-ব্যাক বা শুল্ক বন্ড সুবিধা একসাথে প্রযোজ্য হবে না।এতে বলা হয়েছে, ইতোমধ্যে রপ্তানি হওয়া পণ্যের বিপরীতে নগদ সহায়তা পেতে আগামী ৬০ দিনের মধ্যে আবেদন করতে হবে। সূত্র: টেকশহর ডটকম।