দেশ

বৈপ্লবিক পরিবর্তন হবে ৫-জি প্রযুক্তি সম্প্রসারিত হলে চিকিৎসা ক্ষেত্রে : মোস্তাফা জব্বার

By Baadshah

October 17, 2021

৫জি প্রযুক্তি সম্প্রসারিত হলে চিকিৎসা ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সুচিত হবে। এর ফলে প্রত্যন্ত গ্রামে বাড়ীতে বসেই চিকিৎসা করানোর সুযোগ আসছে। তিনি চিকিৎসাক্ষেত্রে বিস্ময়কর এই সুযোগ কাজে লাগাতে সংশ্লিষ্টদের প্রস্তুতি গ্রহণের আহ্বান জানান।

মন্ত্রী গতকাল শনিবার রাতে নারীরোগতত্ত্ব বিষয়ক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সংগঠন এন্ডমেট্রিয়সিস অ্যাডনোমাইয়োসিস স্যোসাইটি অব বাংলাদেশ(ইএএসবি) আয়োজিত ফাস্ট ভার্চুয়াল ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্সের সমাপনি অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত থেকে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ আহ্বান জানান।

মন্ত্রী ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে ইন্টারনেটের মাধ্যমে চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট সফলজনকভাবে দেশের ৮০টি উপজেলায় চিকিৎসাকেন্দ্র চালু এবং তা সফলজনকভাবে পরিচালনা করছে উল্লেখ করে বলেন, ৪জি প্রযুক্তির দিয়েই দেশে টেলিমেডিসিন সেবা সম্প্রসারণ আমরা করেছি। ফাইভ-জি প্রযুক্তি চিকিৎসাক্ষেত্রে অভাবনীয় পরিবর্তন আনবে বলে উল্লেখ করেন দেশে ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশের অগ্রদূত জনাব মোস্তাফা জব্বার।

নারী ও কিশোরীদের বয়:সন্ধিকালিন কিছু সমস্যা ও তা থেকে উদ্ভুত রোগ সম্পর্কে ব্যাপক সচেতনতার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে শিক্ষায় ডিজিটাল রূপান্তরের পথপ্রদর্শক মোস্তাফা জব্বার বলেন, প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে শিক্ষায় নারীদের অংশ গ্রহণ অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। এ বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষিকাদের সচেতন করতে পারলে ভাল কাজ হবে। অনেক জটিল রোগের উৎপত্তি বাধাগ্রস্ত হবে। এছাড়া সচেতনতার জন্য টিভি চ্যানেলসমূহের পাশাপাশি ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করার প্রয়োজনীয়তার উপর মন্ত্রী গুরুত্বারোপ করেন।

মন্ত্রী এই ব্যাপারে সম্ভাব্য সব ধরণের সহযোগিতা প্রদানের দৃঢ় আগ্রহ ব্যক্ত করেন। তিনি এই ধরণের একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন করার জন্য আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ রাষ্ট্রটির মাতৃকুলসহ সকল নাগরিকের নিরাপদ স্বাস্হ্য নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব।

ইএএসবি সভাপতি প্রফেসর শামেলা চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে জাতীয় অধ্যাপক প্রফেসর সালেহা বেগম চৌধুরী মূল প্রবন্ধ উপস্হাপন করেন। অনুষ্ঠানে সংগঠনের কর্মকর্তা প্রফেসর শাহানারা চৌধুরী, প্রফেসর এমএ তাহের এবং প্রফেসর মলয়কান্তি চক্রবর্তী বক্তৃতা করেন।

বক্তারা মাতৃস্বাস্হ্য বিশেষ করে প্রত্যন্ত অঞ্চলের সুবিধা বঞ্চিত নারী জনগোষ্ঠীর মধ্যে স্বাস্হ্য সুরক্ষার বিষয়ে জনসচেতনা তৈরির এবং তাদের সুচিকৎসা নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।