প্রযুক্তি খবর

বৈশ্বিক স্মার্টফোন বিক্রি হয়েছে ৩৩ কোটি দ্বিতীয় প্রান্তিকে

By Baadshah

July 31, 2021

চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে বৈশ্বিক স্মার্টফোন বিক্রি হয়েছে প্রায় ৩৩ কোটি। প্রান্তিকওয়ারি স্মার্টফোন বিক্রি ৭ শতাংশ কমলেও বছরওয়ারি বেড়েছে ১৯ শতাংশ। কাউন্টারপয়েন্টের মার্কেট মনিটর প্রতিবেদনে দেখা গেছে, এশিয়া ও ইউরোপে চলমান করোনা বিধিনিষেধে সৃষ্ট উপকরণ সংকটে স্মার্টফোন বিক্রিতে প্রভাব পড়েছে।

কাউন্টারপয়েন্টের গবেষণা পরিচালক তরুণ পাঠক বলেন, দ্বিতীয় প্রান্তিকে বিক্রির দিক থেকে স্যামসাং শীর্ষস্থান ধরে রাখলেও তাদের বাজার শেয়ার ৩ শতাংশ কমে ১৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। ভারত, মধ্য আমেরিকা, লাতিন আমেরিকা ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মতো বাজারগুলোতে চালান কমায় স্যামসাংয়ের বাজার শেয়ারে এ প্রভাব পড়েছে। চীন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও ইউরোপে শক্তিশালী বিক্রির জেরে এখন পর্যন্ত সেরা প্রান্তিক কাটাল শাওমি। তৃতীয় স্থানে থাকলেও অ্যাপল রেকর্ড পণ্য বিক্রি করেছে। বিশ্বজুড়ে আইফোন ১২ বিক্রির মাধ্যমে বেশ ভালো আয় করেছে অ্যাপল। শীর্ষ পাঁচে অবস্থান ধরে রেখেছে চীনা স্মার্টফোন কোম্পানি অপো ও ভিভো।

প্রতিবেদনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ নিয়ে বিশ্লেষক আমান চৌধুরী বলেন, বৈশ্বিক স্মার্টফোনের পাইকারি চালান থেকে আয় হয়েছে ৯ হাজার ৬০০ কোটি ডলার, যা বছরওয়ারি ২৫ শতাংশ বাড়লেও প্রান্তিকওয়ারি কমেছে ১৬ শতাংশ। দ্বিতীয় প্রান্তিকে আয়ের দিক থেকে অ্যাপলের শেয়ার ছিল রেকর্ড ৪১ শতাংশ। তার পরই রয়েছে স্যামসাং, অপো, শাওমি ও ভিভো। রেডমি নোট ও এমআই ১১ সিরিজের ওপর ভর করে রেকর্ড আয় করল শাওমি। স্মার্টফোন বিক্রিতে বৈশ্বিক আয়ে শাওমির শেয়ার ৯ শতাংশ।

স্মার্টফোন বিক্রিতে সংখ্যায় শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে দক্ষিণ কোরিয়াভিত্তিক প্রযুক্তি জায়ান্ট স্যামসাং। তাদের স্মার্টফোন বিক্রি হয়েছে ৫ কোটি ৭৯ লাখ ইউনিট। বিক্রিতে বছরওয়ারি ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হলেও প্রথম প্রান্তিকের বিপরীতে কমেছে ২৪ শতাংশ। অন্যদিকে অ্যাপলের স্মার্টফোন বিক্রি হয়েছে ৪ কোটি ৮৯ লাখ ইউনিট, যা প্রান্তিকওয়ারি ১৮ শতাংশ কমলেও বছরওয়ারি বেড়েছে ৩০ শতাংশ।

শীর্ষ পাঁচে অবস্থান ধরে রাখলেও অপোর স্মার্টফোন বিক্রি প্রান্তিকওয়ারি ১২ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৩ কোটি ৩৬ লাখ। প্রথম প্রান্তিকে ১১ শতাংশ বাজার শেয়ার থাকলেও দ্বিতীয় প্রান্তিকে তা ১০ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। অপর চীনা স্মার্টফোন ব্র্যান্ড ভিভোর বিক্রি হয়েছে ৩ কোটি ২৫ লাখ ইউনিট।