দুই ওপেনার কৌশিনি নুতিয়াঙ্গা ও নেতমি পূর্ণা শ্রীলঙ্কাকে দারুণ শুরু এনে দিলেও নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে রানরেট বাড়তে দেননি বাংলাদেশের বোলাররা। এরপর ব্যাট হাতে জয়ের ভিত গড়ে দেন শামীমা সুলতানা। সঙ্গে সাথী রানি ও সোবহানা মোস্তারির কার্যকর ইনিংসে সহজ জয়ই পেয়েছে বাংলাদেশ নারী ‘এ’ দল।
কলম্বোর পি. সারা ওভালে আজ শ্রীলঙ্কা নারী ‘এ’ দলের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে রাবেয়া খানের নেতৃত্বাধীন দলের জয়টা ৭ উইকেটের। ১১৩ রানের লক্ষ্য ৭ বল হাতে রেখে ছুঁয়ে ফেলেছে সফরকারীরা। এ জয়ে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল বাংলাদেশের মেয়েরা। এর আগে ৫০ ওভারের সিরিজ জিতেছে তারা।
‘এ’ দলের সিরিজ হলেও সামনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থাকায় জাতীয় দলের খেলোয়াড়দেরই শ্রীলঙ্কায় পাঠিয়েছে বিসিবি। ৫০ ওভারের সিরিজের শেষ ম্যাচেও ৭ উইকেটে জিতেছিল বাংলাদেশ। ওই ম্যাচের শীর্ষ দুই পারফরমার দিলারা আক্তার ও নিগার সুলতানাকে আজ বিশ্রামে রেখেছিল বাংলাদেশ।
তাঁদের অনুপস্থিতিতে পাওয়া সুযোগটা ভালোভাবেই কাজে লাগিয়েছেন শামীমা। অসুস্থতার কারণে দীর্ঘদিন জাতীয় দলের বাইরে থাকা এই উইকেটকিপার-ব্যাটার খেলেন ৪৪ বলে ৪৮ রানের ইনিংস। ৫টি চার মারা শামিমার ব্যাট থেকেই এসেছে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের ইনিংসের একমাত্র ছক্কাটি।
উদ্বোধনী জুটিতে সাথীকে নিয়ে (২২ বলে ২০) ৪০ রান যোগ করা শামীমা দ্বিতীয় উইকেটে সোবহানার (৩১ বলে ২৮) সঙ্গে গড়েন ৫৬ রানের জুটি।
রৌদ্রোজ্জ্বল দিনে এর আগে টস জিতে শ্রীলঙ্কাকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় বাংলাদেশ। দুই ওপেনার নুতিয়াঙ্গা ও পূর্ণার জুটি ৭০ রান পেরিয়ে গেলেও ১২ ওভার খেলে ফেলেন তাঁরা। তাই শেষ ৮ ওভারে বড় শট খেলা ছাড়া উপায় ছিল না।
সেটা করতে গিয়ে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে দলটি। ৭২/০ থেকে ৮৮/৬—১৬ রানের মধ্যেই ৬ হারানো দলটি শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেটে করে ১১২ রান। শেষ ওভারে আসে ১১ রান।
মাত্র ১২ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন বাংলাদেশের অভিজ্ঞ লেগ স্পিনার ফাহিমা খাতুন। ১টি করে উইকেট নেন জাহানারা আলম, সুলতানা, অধিনায়ক রাবেয়া ও রিতু মনি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর শ্রীলঙ্কা নারী ‘এ’ দল: ২০ ওভারে ১১২/৭ (নুতিয়াঙ্গা ৪৩, পূর্ণা ২৭, সান্দামিনি ১৪; ফাহিমা ৩/১২, সুলতানা ১/৯, রিতু ১/১০, জাহানারা ১/২২, রাবেয়া ১/৩২)।
বাংলাদেশ নারী ‘এ’ দল: ১৮.৫ ওভারে ১১৩/৩ (শামিমা ৪৮, সোবহানা ২৮, সাথী ২০, মুর্শিদা ১১*, নেহার ১*; মালশা ২/২২, তারুকা ১/১৬)।
ফল: বাংলাদেশ নারী ‘এ’ দল ৭ উইকেটে জয়ী।