TechJano

ভাড়ার তালিকা গন্তব্যের নাম লিখে সার্চ দিলেই স্ক্রিনে ভেসে উঠবে

গণপরিবহনে ভাড়া নৈরাজন্য বন্ধ করতে ‘হ্যালো সিএমপি’ নামে একটি অ্যাপস চালু করেছে সিএমপি। এই অ্যাপের মাধ্যমে মিলবে পুলিশের একগুচ্ছ সেবা। বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে ‘হ্যালো সিএমপি’ নামে এই অ্যাপটি উদ্বোধন করেন সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর।

এ সময় তিনি বলেন, ডিজেলের দাম বৃদ্ধির পর ভাড়া নিয়ে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় যাত্রী এবং চালক-হেলপারদের মধ্যে বিতর্ক হচ্ছে। এজন্য আমরা ডিজেলচালিত গাড়িতে লাল এবং গ্যাসচালিত গাড়িতে সবুজ স্টিকার লাগিয়েছি। এর পাশাপাশি একটি অ্যাপ বানিয়েছি, যেটি মেপে ভাড়া দিতে পারবেন সাধারণ যাত্রীরা৷ অ্যাপটিতে গন্তব্যের শুরু এবং শেষ স্থান নির্ধারণ করলেই স্ক্রিনে ভেসে উঠবে ভাড়া তালিকা। ওই তালিকায় থাকবে বাস ও মিনিবাস এবং গ্যাসচালিত ও ডিজেলচালিত ক্যাটাগরির ভাড়া। পাশাপাশি এ সংক্রান্তে বাসের ড্রাইভার কিংবা হেল্পার কর্তৃক ভাড়া আদায় সংক্রান্তে কোন ধরনের হয়রানির শিকার হলে নিকটস্থ ট্রাফিক পুলিশকে অবহিত করতে পারবে। কিংবা তাৎক্ষণিকভাবে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ বা সিএমপির কন্ট্রোল নাম্বার ৩০৩৫২/৬৩৯০২২/ ৬৩০৩৭৫ এ অভিযোগ জানালে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

‘এ উদ্যোগের আওতায় নগরীর গুরুত্বপূর্ণ স্থানের ৭০০টি সিসিটিভি ক্যামেরা প্রাথমিকভাবে নির্বাচন করা হয়। ৭০০টি ক্যামেরার মধ্যে গুরুত্ব বিবেচনায় ৪১১টি ক্যামেরার সংযোগ দেয়া হয় সিএমপির কন্ট্রোল রুমের সাথে। অবশিষ্ট ৩২৪টি ক্যামেরা ২৪ ঘণ্টা অনস্ক্রিন সচল থাকে। এসব ক্যামেরার ধারণকৃত ফুটেজ ১৫ দিন পর্যন্ত হার্ডডিস্কে সংরক্ষিত থাকবে। সার্বক্ষণিক দুইজন অপারেটর এই সকল ক্যামেরার কার্যক্রম মনিটরিং করবে। পাশাপাশি একটি ট্যাকনিক্যাল টিম মাঠ পর্যায়ে কাজ করবে এসকল ক্যামেরার কার্যক্রম সচল রাখার জন্য। নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান জিইসি, ২ নম্বর গেট, বহদ্দারহাট, মুরাদপুর, অক্সিজেন, পতেঙ্গাসহ প্রায় ৭০টি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে এই ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে।’

এর মাধ্যমে একটি ডিজিটাল কন্ট্রোল রুম স্থাপন করে একটি নির্দিষ্ট রুম থেকে সমগ্র মহানগরী এলাকা পর্যবেক্ষণ সম্ভব হবে। ফলে সেবার মান বৃদ্ধি পাবে। অপরাধীদের অপরাধ প্রবণতা কমে যাবে, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ও আসামী সনাক্তকরণ সহজতর হবে।

ভবিষ্যতে এ কার্যক্রমের আওতায় সমগ্র মহানগরী এলাকাকে সিএমপির নিজস্ব ক্যামেরার অধীনে নিয়ে আসা হবে। অপরাধ নিয়ন্ত্রণে স্থাপন করা হবে ফেইস ডিটেকশন ও নাম্বার রিডেবল ক্যামেরা। তৈরী করা হবে ভিডিও ভিত্তিক ক্রাইম ম্যাপ। সম্ভাব্য অপরাধ প্রবণ এলাকা চিহ্নিত করে ঐসকল এলাকায় বিশেষ আইপি ক্যামেরার সাথে ডিউটিরত পেট্রোল গাড়ির সংযোগ স্থাপনের মাধ্যমে অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করা।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার শ্যামল কুমার নাথ, শামসুল আলম, সানা শামীমুর রহমান, উপ-কমিশনার আলী হোসাইনসহ নগর পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

Exit mobile version