ভূমিকম্প একটি ভয়ানক আতঙ্ক এবং বিধ্বংসের নাম। ভূমিকম্পের পরবর্তী ‘আফটারশক’র পূর্বাভাস পেতে এখন সাহায্য করবে গুগলের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। আর এই কাজে গুগলের প্রযুক্তিবিদদের সাহায্য করবেন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈজ্ঞানিকরা।
বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, ভূমিকম্প সাধারণত কয়েকটি স্তরে ঘটে। একটি মূল কম্পনের পরে আসে কয়েকটি ‘আফটারশক’। সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি মূল কম্পনের সময়ে ঘটলেও আফটারশকে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণটা নেহাত কম হয় না। মূল কম্পনের পূর্বাভাস পাওয়া না গেলেও কী ভাবে আফটারশক থেকে জনতাকে সাবধান করা যায়, সেটা নিয়েই গুগলের সঙ্গে একযোগে গবেষণা করছিলেন হার্ভার্ডের বিজ্ঞানীদের একটি দল।
গবেষকদের প্রধান ফোয়েবে ডিভেরিস জানান, ১১৮টি বড় ভূমিকম্প এবং তার আফটারশকগুলোর তথ্য বিচার করে কিছু তালিকা বানানো হয়েছে। সেখানে মূল ভূমিকম্পের কতক্ষণ পরে কতখানি বড় আফটারশক দেখা যায়, সেই তথ্যগুলো বিশ্লেষণ করা হয়।
ডিভেরিস আরও জানান, সারা বিশ্বের ভূমিকম্প ও ভূমিকম্পের পরবর্তী কম্পনের তথ্য বিশ্লেষণের আওতায় রাখা হয়েছিল। সেই তথ্যকে গুগলের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে মেশানো হয়। মিশ্রিত তথ্য থেকে নিশ্চিত হওয়া যায়, অন্তত ৯৭ শতাংশ ক্ষেত্রে নিখুঁত ভবিষ্যদ্বাণী করা যেতে পারে।