TechJano

ভূমি অফিসে ডিজিটাল সেবা: হয়রানি ও ঘুষ চাইলে জানান ১০৬ নম্বরে

ভূমি অফিসে সেবা নিতে গিয়ে হয়রানির শিকার হলে বা কোনো কর্মকর্তা টাকার জন্য কারও কাজ না করলে সেই অভিযোগ দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) জানাতে বলেছেন সংস্থাটির কমিশনার ড. নাসির উদ্দীন আহমেদ। দুদকের হটলাইন ১০৬ নম্বরে ফোন করে অভিযোগ জানালে গোপনে ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হবে। নেয়া হবে আইনি ব্যবস্থা। মঙ্গলবার রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্সটিটিউটে রাজধানীর কোতোয়ালি, তেজগাঁও ও গুলশান সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসের কার্যক্রমের ওপর ফলোআপ গণশুনানিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
দুদক কমিশনার বলেন, নাগরিকদের দুর্নীতিমুক্ত এবং মানসম্মত সরকারি পরিষেবাপ্রাপ্তি নিশ্চিত করা এবং সামাজিক দায়বদ্ধতা সৃষ্টির জন্য গণশুনানি একটি বিশেষ কৌশল। রাজধানী থেকে উপজেলা পর্যায়ে দুদক ৯৪টি গণশুনানি করেছে। এসব গণশুনানিতে সাধারণ মানুষ ভূমি ব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে বেশি অভিযোগ করেছেন। সাধারণ মানুষ মনে করে, ভূমি রেজিস্ট্রেশন, ভূমির নামজারি এবং জরিপ প্রতিটি ক্ষেত্রেই অনিয়ম, দুর্নীতি এবং হয়রানি রয়েছে। এটা নির্মূল করতে হলে সমন্বিত অভিগমনের কোনো বিকল্প নেই। তিনি বলেন, এসব অভিযোগের বিষয়ে মামলা-মোকদ্দমা ছাড়াও বিভিন্ন আইনি ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিতে হবে।
ভূমি অফিসপ্রধানদের উদ্দেশে দুদক কমিশনার বলেন, ভূমি অফিসের দালাল কারা? এরা কি বাইরের না ভেতরের? অফিসপ্রধান হিসেবে কর্মকর্তাদের দায়িত্ব হচ্ছে নিজে দুর্নীতিমুক্ত থেকে নিজ অফিসকে দুর্নীতিমুক্ত রাখা। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ২০১৫ সালের গণশুনানিতে উত্থাপিত অভিযোগ আজও নিষ্পত্তি না হওয়ার মানে কী? এর কারণ হচ্ছে এসব অফিসের কার্যক্রম প্রাতিষ্ঠানিকরণ হয়নি। কর্তার ইচ্ছায় কর্ম হয়।
দুদক কমিশনার সেবাগ্রহীতাদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা সরাসরি দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের কাছে যাবেন, তারা যদি হয়রানি কিংবা অনৈতিক কোনো কিছু দাবি করে, তাহলে তাৎক্ষণিকভাবে দুদকের অভিযোগ কেন্দ্র বা হটলাইন-১০৬ এ জানাবেন। দুদক এদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে। কারও পদ-পদবির ন্যূনতম গুরুত্ব দেবে না।
গণশুনানিতে ১৩টি অভিযোগ উত্থাপিত হয়। সংশ্লিষ্ট সহকারী কমিশনাররা এসব অভিযোগ নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে নিষ্পত্তির আশ্বাস দেন।
দুদক ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক নাসিম আনোয়ারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত গণশুনানিতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ঢাকার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) শরীফ রায়হান কবীর, গুলশানের সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাকিব হাসান, তেজগাঁয়ের সহকারী কমিশনার শরীফুল আলম তানভীর ও কোতয়ালির সহকারী কমিশনার মাহমুদা আক্তার।
তথ্যসূত্র:যুগান্তর

Exit mobile version